এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল: দলের হেভিওয়েট নেতার লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আরেক প্রভাবশালীর

তৃণমূলের গোষ্ঠীকোন্দল: দলের হেভিওয়েট নেতার লক্ষ লক্ষ টাকার দুর্নীতির অভিযোগ আরেক প্রভাবশালীর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট: তৃনমূলের গোষ্ঠী কোন্দল এবং নেতাদের দুর্নীতি – এই দুটি বিষয় এখন প্রধান সমস্যায় ফেলছে ঘাসফুল শিবিরকে। স্বাভাবিক ভাবে এতদিন বিরোধীদের তরফ থেকেই তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে সরব হতে দেখা যায়। কিন্তু এবার তৃনমূলের এক পঞ্চায়েতের প্রধানের দুর্নীতি নিয়ে সরব হলেন প্রাক্তন প্রধান। যার ফলে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবং দুর্নীতি দুই শাসকদলকে অস্বস্তিতে ফেলবে বলেই মত রাজনৈতিক মহলের।

সূত্র মারফত খবর, পুরাতন মালদহের মঙ্গলবাড়ি পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধানের বিরুদ্ধে প্রাক্তন প্রধান দুর্নীতির অভিযোগ তুলে সরব হয়েছেন। এদিন এই প্রসঙ্গে প্রাক্তন প্রধান মাসিদুর রহমান বলেন, “এলাকায় 100 দিনের কাজের দুটি পুকুর খনন না করেই প্রায় 10 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করা হয়েছে।” তবে বর্তমান প্রধান সুরাইয়া বিবি অবশ্য প্রাক্তন প্রধানের তোলা অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছেন। আর প্রাক্তন এবং বর্তমান প্রধান দুজনেই তৃণমূলের হওয়ায় এবং একে অপরের বিরুদ্ধে অভিযোগ তোলায় এখন রীতিমত অস্বস্তিতে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, এই পঞ্চায়েতে 100 দিনের কাজ প্রকল্পে 10 লক্ষ টাকা আত্মসাত হয়েছে বলে অভিযোগ উঠেছে। যে মৌজায় পুকুর খনন করা হয়েছে বলে দেখানো হয়েছে, সেগুলো প্রত্যেকটি আগেই খোড়া হয়েছে এবং তা দেখিয়ে বিল তুলে নেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ। আর যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে। আর সেই অভিযোগ তুলে ধরেই বর্তমান প্রধানকে কটাক্ষ করছেন তৃণমূলের প্রাক্তন প্রধান মাসিদুর রহমান। এদিন তিনি বলেন, “পঞ্চায়েতের অধীনে দুটি পুরনো পুকুরকে 100 দিনের কাজের আওতায় দেখিয়ে পঞ্চায়েত কর্তৃপক্ষ 10 লক্ষ টাকা আত্মসাৎ করেছে। এতে তৃণমূল নেতা এবং পঞ্চায়েত কর্মীরা জড়িত। ভুয়ো জব কার্ডে লেনদেন হয়েছে। এই নিয়ে লিখিত অভিযোগ করে প্রশাসনের কাছে ব্যবস্থা নেওয়ার দাবি জানিয়েছি।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সত্যিই কি তাহলে তিনি দুর্নীতির সঙ্গে যুক্ত? এদিন এই প্রসঙ্গে মঙ্গলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতের বর্তমান প্রধান সুরাইয়া বিবির স্বামী জামিরুল ইসলাম বলেন, “পঞ্চায়েতে পুকুর নিয়ে কোনো বেআইনি কাজ হয়নি। যা হয়েছে সব আইনমাফিক। যা অভিযোগ হয়েছে, তার কোনো সত্যতা নেই।” কিন্তু প্রাক্তন এবং বর্তমান প্রধান যেভাবে একে অপরের দিকে অভিযোগ তুলতে শুরু করলেন, তাতে তো অস্বস্তিতে পড়ছে তৃণমূল কংগ্রেস! গোটা পরিস্থিতি যেদিকে এগিয়ে যাচ্ছে, তাতে কি তৃণমূলের বিড়ম্বনা বাড়বে না?

এদিন এই প্রসঙ্গে পুরাতন মালদহ ব্লকের তৃণমূলের আহবায়ক জওহর ঘোষ বলেন, “মঙ্গলবাড়ী গ্রাম পঞ্চায়েতে তৃণমূলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব নেই। পঞ্চায়েতের কাজকর্ম স্বাভাবিক রয়েছে। কোনো বেনিয়ম হয়ে থাকলে প্রশাসন সেটা তদন্ত করে দেখুক। প্রাক্তন প্রধান এখন দলে থেকেই বর্তমান প্রধানের বিরুদ্ধে কি অভিযোগ করেছেন, সেটি আমরা খতিয়ে দেখব।” তবে যে যাই বলুন না কেন, যেভাবে তৃণমূলের অন্দরে একদিকে দুর্নীতি এবং অন্যদিকে সেই দুর্নীতিকে কেন্দ্র করে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব প্রকাশ্যে চলে এল, তাতে মালদহ জেলা তৃণমূল নেতৃত্ব চরম চাপে পড়ল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল‌। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!