নজরে বিধানসভা ভোট! নেতাদের দুর্নীতি সামাল দিতে প্রতি পঞ্চায়েতে ‘দলের চোখ’ নিয়োগ করছে তৃণমূল তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য July 1, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের লড়াইটা তৃণমূলের কাছে খুব একটা সহজ নয়। যত দিন যাচ্ছে, বিজেপির দাপট বাড়ছে। গেরুয়া শিবির এবার রাজ্য দখলকে কার্যত পন করে নিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করা সহ দলের গোষ্ঠী কোন্দল বন্ধ করতে সবথেকে বেশি জোর দিয়েছে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। ইতিমধ্যেই বিধানসভা ভিত্তিক কমিটি করে সংগঠনকে শক্তিশালী করার কাজ শুরু হয়েছে। আর এবার প্রতিটি পঞ্চায়েতে একজন করে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করার কথা ভাবছে তৃণমূল কংগ্রেস। যেখানে একদম বুথ থেকে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে তার রিপোর্ট এনে সেখানে সংগঠন কেমন, কোন নেতার তার ভাবমূর্তি কেমন, তার খোঁজখবর নেওয়া হবে। অর্থাৎ আগামী দিনে নীচুস্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে যাতে বিরোধীরা কোনরকম অভিযোগ তুলতে না পারে, তার জন্যই প্রতি পঞ্চায়েতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে তৃণমূল তাদের সংগঠনকে শক্তিশালী করবে বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল। সূত্রের খবর, আগামী 10 জুলাইয়ের মধ্যে বীরভূম জেলার 167 টি গ্রাম পঞ্চায়েত এলাকা থেকে 167 জন পর্যবেক্ষক ব্লক কমিটির পক্ষ থেকে বেছে নেওয়া হবে। ইতিমধ্যেই পর্যবেক্ষকদের নাম জমা পড়তে শুরু করেছে। চূড়ান্ত অনুমোদন পাওয়ার পরেই তারা দলের কাছে মাঠে নেমে পড়বেন বলে খবর। কিন্তু কি কাজ হবে পর্যবেক্ষকদের? শাসক দলের তরফে দাবি করা হচ্ছে, সাংগঠনিক শক্তি বৃদ্ধি করার পাশাপাশি দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ রাখতে তারা পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদের সম্পর্কে সঠিক তথ্য নেবেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - আর তা দলকে রিপোর্ট করবেন। অর্থাৎ সকল পরিস্থিতিতে পঞ্চায়েতের কোন নেতা মানুষের পাশে থাকে এবং কোন নেতা থাকেন না, তার রিপোর্ট জমা দিয়ে সেই পঞ্চায়েতে দলের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করার মূল কাজ করবেন এই পর্যবেক্ষকরা। অনেকে বলছেন, বর্তমান পরিস্থিতিতে তৃণমূলের বিভিন্ন নেতার বিরুদ্ধে নানা দুর্নীতির অভিযোগ উঠছে। এক্ষেত্রে সবথেকে বেশি অভিযোগ উঠছে পঞ্চায়েত স্তরের নেতাদের বিরুদ্ধে। তাই সেই পঞ্চায়েতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ করে কেউ যাতে দুর্নীতি না করতে পারেন, তার জন্যই বীরভূম জেলা তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই উদ্যোগ নেওয়া হল। তবে তৃণমূল এই উদ্যোগ নিয়ে দলকে চাঙ্গা করতে চাইলেও তাকে কটাক্ষ করতে ছাড়ছে না বিরোধীরা। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা বিজেপির সভাপতি শ্যামাপদ মন্ডল বলেন, “বাঁশঝাড়ে কি করে আপনি তালগাছ খুঁজবেন! যে দলটার চুনোপুটি থেকে রাঘববোয়াল দুর্নীতিতে ডুবে, সেখানে কে কার বিচার করবে! এটা শুধু মানুষের নজর ঘোরানোর কৌশল। কিন্তু মানুষ এত বোকা নয়।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে বীরভূম জেলা সিপিএমের সম্পাদক মনসা হাসদা বলেন, “আমার তো মনে হচ্ছে, সবাই মিলে এক ছাতার তলায় এসে দুর্নীতি করবে। তারই কৌশল নিয়েছে তৃণমূল।” তবে দিনের শেষে একটা প্রশ্ন থেকেই যাচ্ছে, তৃণমূল নিজেদের ভাবমূর্তি স্বচ্ছ করতে পর্যবেক্ষকদের মাধ্যমে নীচুতলার নেতাদের রিপোর্ট নেওয়ার চেষ্টা করলেও, যদি পর্যবেক্ষকরা এক্ষেত্রে দুর্নীতিগ্রস্ত বেরিয়ে যায়, তাহলে তারা আদৌ জেলা নেতাদের প্রকৃত রিপোর্ট দেবেন কিনা, তা নিয়ে একটা প্রশ্ন তৈরি হয়েছে দলের অন্দরেই। সব মিলিয়ে নিচুতলার দুর্নীতি বন্ধ করতে এবং সংগঠনকে চাঙ্গা করতে বীরভূম জেলা তৃণমূলের প্রতি পঞ্চায়েতে পর্যবেক্ষক নিয়োগ কতটা সাফল্য পায়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -