এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল বিধায়কের হতাশা ফুটে উঠল ফেসবুকের দেওয়ালে, জল্পনা তুঙ্গে

তৃণমূল বিধায়কের হতাশা ফুটে উঠল ফেসবুকের দেওয়ালে, জল্পনা তুঙ্গে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবারের বিধানসভা নির্বাচনে যে প্রার্থীকে নিয়ে সবথেকে বেশি আলোচনা হয়েছে, তার মধ্যে অন্যতম হলেন বলাগড়ের তৃণমূল বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী। একটা সময় শুধুমাত্র রিক্সা টেনে তিনি নিজের রোজগার চালিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি সাহিত্যজগতেও যথেষ্ট পরিচিত। গরিবীয়ানা কি বস্তু, তিনি তা হাড়ে হাড়ে জানেন। এহেন মনোরঞ্জন ব্যাপারী বিধায়ক হওয়ার পর আরো বেশি মানুষের জন্য কাজ করতে আগ্রহী হন। কিন্তু সেই কাজ করতে গিয়েই তাঁর চিন্তা বহুগুণে বেড়ে গিয়েছে। আর সেই চিন্তা তিনি ভাগ করে নিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়।

মনোরঞ্জন ব্যাপারী যেহেতু নিজেই অভাবী সংসারে বড় হয়েছেন, তাই গরীব, অভাবী মানুষের দুঃখ-কষ্ট, তাঁদের কতটা অসহায় করে তোলে, তা নিয়ে তিনি যথেষ্ট ওয়াকিবহাল। কিন্তু বিধায়ক হবার পর কাজ করতে গিয়ে তাঁকে এই হতাশা আরও পেয়ে বসেছে। আর সে কথাই তিনি জানিয়েছেন সোশ্যাল মিডিয়ায়। তিনি জানিয়েছেন, এতদিন পর্যন্ত তিনি রাজনীতির বাইরে থেকে জানতেন মানুষের দুঃখ-দুর্দশা নিয়ে, সেটা একরকম ছিল। কিন্তু এখন নির্বাচনে জিতে একজন রাজনৈতিক প্রতিনিধি হিসেবে তাঁর ওপর মানুষের আশা-আকাঙ্ক্ষা প্রতিনিয়ত বেড়েই চলেছে। তার বাড়িতে সর্বক্ষণ ভিড় লেগে থাকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

বিভিন্ন মানুষ বিভিন্ন আশায় তাঁর দরজায় আসেন। কিন্তু মনোরঞ্জন ব্যাপারী জানিয়েছেন, তিনি সামান্য মানুষ। তাঁর ক্ষমতাও সীমিত। সেক্ষেত্রে তিনি যথেষ্ট কষ্ট পাচ্ছেন। সাধারণ মানুষের প্রবল চাহিদা শুধুমাত্র খাদ্য, বাসস্থান, রোজগার এবং স্বাস্থ্য নিয়ে। সম্প্রতি বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারী একটি টোটো কেনেন এবং তিনি ফেসবুকে জানিয়েছিলেন, এবার থেকে তিনি সাধারণ মানুষের দরজায় পৌঁছে যাবেন। তিনি সবার কাছে পৌঁছান বা তাঁর কাছে মানুষ পৌঁছাক, সর্বক্ষেত্রে অভাবী মানুষের দুর্দশার বহর তিনি নিজের চোখেই দেখছেন, যা চূড়ান্ত কষ্ট বাড়িয়ে তুলছে বিধায়কের।

এবার নিজেই তিনি সেই জীবন যন্ত্রণার কথা তুলে ধরলেন ফেসবুকের দেওয়ালে। খুব স্বাভাবিকভাবেই রাজনীতির অলিন্দে অভাবী মানুষের বঞ্চনা, দুর্দশার কথা সেভাবে আলোচনা হতে দেখা গেলেও কাজ কতটা হয় তা নিয়ে কিন্তু বরাবরই প্রশ্নচিহ্ন উঠেছে। তাই বলাগড়ের বিধায়ক মনোরঞ্জন ব্যাপারীর অভাবী মানুষের দুর্দশা দূর করতে কি করতে পারেন আগামী দিনে কিংবা সরকারি সহায়তায় তিনি কতটা মানুষের জন্য সাহায্য করতে পারেন সেটাই এখন দেখার।

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!