মমতার চিন্তা বাড়িয়ে এবার নতুন দল খুললেন এককালের মমতা ঘনিষ্ঠ, জোর শোরগোল! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা রাজনীতি রাজ্য October 12, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভোটের আগে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকারের বিরুদ্ধে নতুন করে বিরোধিতা শুরু হয়েছে। তবে এবার কোনো বিরোধী দলের তরফ থেকে নয়, বরং নতুন দল করার কথাই ঘোষণা করা হয়েছে। আর যা নিয়ে আপাতত তৃণমূলের অন্দরেই তৈরি হয়েছে চরম উত্তেজনা। তবে এই নতুন রাজনৈতিক দল তৈরির কথা ঘোষণা করলেন কে? জানা গেছে তিনি হলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকি। এদিন ভাঙড়ে তিনি এই ঘোষণা করেন বলে জানা গেছে। সেই সঙ্গে তিনি এটাও জানিয়ে দিয়েছেন যে, ডিসেম্বরে এই দল আনুষ্ঠানিকভাবে আত্মপ্রকাশ করবে। আর এই মন্তব্য নিয়েই তৈরি হয়েছে জল্পনা। তথ্য সূত্রে জানা গেছে, ফুরফুরা শরিফের এই পীরজাদা অনেকদিন ধরেই নাকি রাজ্য সরকারের বিরোধী। ফলে আগামী ভোটের আগেই রাজ্যে নতুন রাজনৈতিক দল গঠন নিয়ে অনেকদিন থেকেই জল্পনা তৈরি হয়েছিল। বস্তুত এর আগেও রাজনৈতিক নেতাদের ফুরফুরা শরিফে যেতে দেখা গিয়েছে। তবে এবার সরারবি রাজনৈতিক দলও তৈরির কথা ঘোষণা করলেন ফুরফুরা শরিফের পীরজাদা আব্বাস সিদ্দিকির। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - ভাঙড়ের চণ্ডীপুর ফুটবল মাঠে এদিন তাঁকে ডিসেম্বরেই নতুন দল ঘোষণার কথা বলতে শোনা যায়। এরপর নতুন দল তৈরীর পর জানুয়ারিতে জীবনতলার মাঠে লক্ষাধিক মানুষের সভা করা হবে বলেও জানান তিনি। সেইসঙ্গে উত্তর ২৪ পরগনা, দক্ষিণ ২৪ পরগনা, হাওড়া, হুগলি জেলায় তাঁরা প্রার্থী দেবেন বলেও জানান তিনি। তবে এটা প্রথম না, এর আগেও ভাঙড়ে সভা করতে দেখা গেছে আব্বাস সিদ্দিকিকে। অগাস্ট মাসে হওয়া সেই সভায় নাকি ভাঙড়ের তৃণমূলের সমর্থনকারিরা তাঁর অনুগামীদের ওপর হামলা চালিয়েছিল বলেও অভিযোগ করেছিলেন তিনি। এই প্রসঙ্গে তাঁকে ক্যানিং-এর তৃণমূল বিধায়ক সওকত মোল্লার বিরুদ্ধে অভিযোগও করতে দেখা গিয়েছিল। তবে এদিন, ভাঙড়ের সভা থেকে রাজ্যের শাসকদল তৃণমূলকে হুঁশিয়ারি দিয়ে তাঁকে বলতে শোনা গেছে যে, তৃণমূলের শক্তঘাঁটি বলে পরিচিত ভাঙড় ও ক্যানিং নাকি তাদের দলই দখল করবে। সেই সঙ্গে দক্ষিণ ২৪ পরগনায় তৃণমূল একটিও আসন পাবেন না বলেই জানিয়ে দেন তিনি। তবে শুধু এই কথাতেই থেকে থাকেননি তিনি, তাঁর কথায়, তাদের দল যদি ক্ষমতায় আসে তাহলে কোনও আদিবাসীকে মুখ্যমন্ত্রী করা হবে এবং মুসলিম সম্প্রদায় থেকে স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী করা হবে বলেও জানান তিনি। তবে এক্ষেত্রে রাজনিতিবিদদের মতে, যেহেতু, রাজ্যের যেসব আসনে মুসলিম সম্প্রদায়ের মানুষ সংখ্যাগরিষ্ঠ বেশিরভাগ সেখানেই তৃণমূল আসন দখল করে রয়েছে। তাই সেখানে একটু ভোটের হেরফেরেই ফল বদলে যেতে পারে। তাই যদি শেষ পর্যন্ত আব্বাস সিদ্দিকি দল গঠন করেন, তাহলে তার প্রথম আঘাত তৃণমূলের ওপরেই গিয়ে পড়বে বলে আশঙ্কা প্রকাশ করা হচ্ছে। আপনার মতামত জানান -