এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > তৃণমূল ভবনে উপস্থিত হতেই মুকুলকে নিয়ে চাপে দুই হেভিওয়েট, জেনে নিন কারণ!

তৃণমূল ভবনে উপস্থিত হতেই মুকুলকে নিয়ে চাপে দুই হেভিওয়েট, জেনে নিন কারণ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  এক সময় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায়ের বাড়ি উত্তর 24 পরগণা জেলাতে হলেও, সারা রাজ্যজুড়ে তৃণমূলের সংগঠন দেখভাল করতেন তিনি। শুধু রাজ্য নয়, দেশের বাইরেও তৃণমূলের সংগঠন দেখভাল করার জন্য মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিশ্বস্ত সৈনিক ছিলেন তিনি। কিন্তু প্রায় সাড়ে তিন বছর আগে তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করেছিলেন মুকুল রায়। তবে 2021 সালের বিধানসভা নির্বাচনের পর আজ আবার গেরুয়া শিবির ছেড়ে ঘাসফুল শিবিরের নাম লেখাতে চলেছেন বঙ্গ রাজনীতির চাণক্য বলে জল্পনা ছড়িয়েছে।

আর কিছুক্ষণের মধ্যেই তা চূড়ান্ত হয়ে যাবে। এদিকে মুকুল রায় তৃণমূল ভবনে প্রবেশ করতে না করতেই তৃণমূলের দুই মন্ত্রী এবং সাংসদের চিন্তা ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। যার মধ্যে একজন উত্তর 24 পরগনা জেলা তৃণমূল সভাপতি তথা রাজ্যের মন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং অপরজন বারাসাতের তৃণমূল সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদার।

বর্তমানে উত্তর 24 পরগনা জেলার দায়িত্ব কার হাতে থাকবে, তা নিয়ে এই দুই নেতা-নেত্রীর মধ্যে ঠান্ডা লড়াই চলছে। আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায়ের মত নেতা যদি আজ সত্যিই তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন, তাহলে উত্তর 24 পরগনা জেলায় এই দুই নেতা, নেত্রীর বদলে মুকুল রায় নির্ণায়ক শক্তি হয়ে উঠতে পারেন বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত বিশ্বস্ত জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক তৃতীয় তৃণমূল সরকারের আমলে গঠিত মন্ত্রিসভায় অনেকটাই কোণঠাসা হয়ে রয়েছেন। এতদিন খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী থাকলেও, এবার তাকে অপেক্ষাকৃত কম গুরুত্বপূর্ণ বন দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়েছে। সেদিক থেকে খাদ্য দপ্তরের মন্ত্রী করা হয়েছে বারাসাতের সাংসদ কাকলি ঘোষ দস্তিদারের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত রথীন ঘোষকে।

শুধু তাই নয়, সম্প্রতি তৃণমূলের সাংগঠনিক বৈঠকে কাকলি ঘোষ দস্তিদারকে রাজ্য তৃণমূল মহিলা কংগ্রেসের সভানেত্রী করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই তৃণমূল যখন “এক ব্যক্তি এক পদ” নীতি গ্রহণ করেছে, তখন জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে হয় মন্ত্রী, তা না হলে জেলা সভাপতি পদ থেকে সরিয়ে দেওয়া হতে পারে বলে গুঞ্জন সৃষ্টি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করলে উত্তর 24 পরগনা জেলার পাশাপাশি রাজ্যের সংগঠনের একটা বড় দিক মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তার হাতে তুলে দিতে পারেন বলে গুঞ্জন তৈরি হয়েছে। কেননা তৃণমূলের সেকেন্ড-ইন-কমান্ড মুকুল রায় বিজেপিতে যোগদান করার পর তার অনেক অনুগামীরা তৃণমূল কংগ্রেসেই থেকে গিয়েছিলেন। সেদিক থেকে উত্তর 24 পরগনা জেলায় মুকুল রায়ের অনুগামীরা অনেকে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক, আবার অনেকে কাকলি ঘোষদস্তিদারের লবিতে যোগ দিয়েছিলেন।

স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে সক্রিয় হলে সেই সমস্ত তার অনুগামীরা আবার দাদার হাত ধরে জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক এবং কাকলি ঘোষ দস্তিদারের সঙ্গ ত্যাগ করতে পারেন। যা উত্তর 24 পরগনা জেলায় কাকলি ঘোষ দস্তিদার এবং জ্যোতিপ্রিয় মল্লিককে অনেকটাই চাপে ফেলে দেবে বলে দাবি বিশেষজ্ঞদের।

একাংশ বলছেন, মুকুল রায় তৃণমূলের পুরনো খেলোয়ার। একসময় তৃণমূল কংগ্রেসকে তৃণমুকুল কংগ্রেস বলে অভিহিত করা হত। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের থেকে দলীয় সংগঠনের কখন কোথায় কী সিদ্ধান্ত নেওয়া হবে, তা চূড়ান্ত করতেন মুকুল রায়। কিন্তু 2017 সালে দলের সঙ্গে সম্পর্ক ছিন্ন করে বিরোধী শিবির বিজেপিতে নাম লেখান তিনি। ক্রমেই তৃণমূলের সঙ্গে তার সম্পর্কের অবনতি হতে শুরু করে। তবে সেই মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে ফিরে আসবেন, এটা কেউ স্বপ্নেও কল্পনা করতে পারেনি।

তবে সাম্প্রতিক কালে বিজেপি নেতৃত্বের সঙ্গে ক্রমাগত দূরত্ব বাড়তে শুরু করে তার। আর এই পরিস্থিতিতে আজ তৃণমূল ভবনে উপস্থিত হতে দেখা যায় মুকুল রায়কে। আর কিছুক্ষণের মধ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘোষণার পরিপ্রেক্ষিতে পাকাপাকিভাবে ঘাসফুল শিবিরে নাম লেখাবেন তিনি। আর তার আগে মুকুল রায়ের জেলা উত্তর 24 পরগনায় দুই তৃণমূলের হেভিওয়েট নেতা- নেত্রীর রাজনৈতিক প্রভাব এবং প্রতিপত্তি অনেকটাই কমতে পারে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!