ত্রিপুরায় হেভিওয়েট যোগদান নিয়ে বড়োসড় ঘোষণা মমতা ব্যানার্জ্জীর, জল্পনা তুঙ্গে কলকাতা তৃণমূল রাজ্য August 18, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এই মুহূর্তে রাজনৈতিক চর্চার কেন্দ্রবিন্দুতে রয়েছে ত্রিপুরা। একুশের বিধানসভা নির্বাচনের পর থেকেই তৃণমূলের সর্বভারতীয় সাধারণ সম্পাদক অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বিভিন্ন রাজ্যে সংগঠন বিস্তারের কথা বলেছিলেন। আর সেই সূত্রে ত্রিপুরার উপর প্রথম নজর দেওয়া হয়েছে। তবে যতটা সহজ সেখানে সংগঠন তৈরী করার কথা ভাবা হয়েছিল, ততটা সহজে কিন্তু কাজ হচ্ছেনা। তার কারণ অবশ্যই ত্রিপুরার বিজেপি সরকার। বারংবার ত্রিপুরায় তৃণমূলকে বাধার মুখে পড়তে হচ্ছে, কিন্তু তা সত্বেও তৃণমূল লড়াই চালিয়ে যাচ্ছে। আর সেই সূত্রেই ত্রিপুরা ইস্যু নিয়ে এবার বড়োসড়ো ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। কার্যত আজকে নবান্নের সভাগৃহ থেকে মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষণা করলেন ত্রিপুরার প্রাক্তন স্পীকার তথা বর্ষীয়ান নেতা জিতেন সরকার তৃণমূলে যোগ দিতে চলেছেন। সেই অনুযায়ী তিনি তৃণমূল নেত্রীকে চিঠিও দিয়েছেন বলে দাবী করেন তৃণমূল সুপ্রীমো। মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, জিতেন সরকার তাঁকে জানিয়েছেন, তিনি একা নন, একাধিক নেতৃত্বকে সঙ্গে নিয়ে তৃণমূলে আসছেন। এ প্রসঙ্গে বলতে গিয়ে আজকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী ত্রিপুরা সরকারের বিরুদ্ধে একাধিক ক্ষোভ উগরে দিয়েছেন। পাশাপাশি তিনি জানান, পাঁচবারের বিধায়ক জিতেন সরকার তথা ত্রিপুরার বর্ষীয়ান নেতা তৃণমূলে আসতে চাইছেন। তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তাঁকে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে যোগাযোগ করার কথা বলেছেন বলেও জানান। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - সম্প্রতি জাতীয় কংগ্রেসের মহিলা সভানেত্রী সুস্মিতা দেব তৃণমূলে যোগদান করেছেন। আর এবার জিতেন সরকারের নাম প্রকাশ্যে ঘোষণা করায় স্বাভাবিকভাবেই রাজনৈতিক মহলে চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। ত্রিপুরায় যতই বাধা দেওয়া হোক না কেন, তৃণমূল আগামী দিনে ত্রিপুরায় জিতবে এবং সরকার গড়বে বলে আজকে ঘোষণা করেন মুখ্যমন্ত্রী। কার্যত তিনি সেখানে বাংলার প্রকল্পগুলি শুরু করবেন বলে জানিয়েছেন। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরার সংগঠনের কাজে তৃণমূল ছাত্র নেতাদের সঙ্গে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তৃণমূলের শীর্ষ নেতৃত্বের বেশ কয়েকজনকে। কিন্তু প্রত্যেকবারই তৃণমূলের পক্ষ থেকে অভিযোগ উঠছে, বিজেপির বিরুদ্ধে অত্যাচারের। ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় তৃণমূল ও বিজেপির বেশ কয়েকটি সংঘর্ষের ঘটনা সামনে এসেছে। অন্যদিকে ইতিমধ্যেই ত্রিপুরায় বাম কংগ্রেস কিংবা বিজেপি ছেড়ে তৃণমূলে যোগদানের সংখ্যাও কিন্তু বাড়ছে বলে জানা যাচ্ছে। সর্বোপরি ত্রিপুরার হেভিওয়েট রাজনৈতিক নেতা জিতেন সরকারের তৃণমূলে যোগদান দলের সাংগঠনিক ভিত শক্তপোক্ত করবে ত্রিপুরায় বলেই মনে করা হচ্ছে। পাশাপাশি ত্রিপুরায় তৃণমূলের সাংগঠনিক পরিধিও বিস্তার লাভ করবে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -