এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উলটপুরাণ বাংলায়! বিজেপির হুমকিতে ভয়ে ‘ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন’ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা! জানুন বিস্তারে!

উলটপুরাণ বাংলায়! বিজেপির হুমকিতে ভয়ে ‘ঘরে ঢুকে যাচ্ছেন’ তৃণমূল নেতা-কর্মীরা! জানুন বিস্তারে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – যখন যারা শাসকদলের ক্ষমতায় থাকে, তখন তাদের দাপট থাকে দেখার মত। বিগত দিনে বাম সরকারের সময় যেমন তৃণমূলের পক্ষ থেকে শাসকদলের বিরুদ্ধে দমন-পীড়নের অভিযোগ করা হত, ঠিক একই অভিযোগ বর্তমানে তৃণমূল সরকারের বিরুদ্ধে করছে বিরোধী দল বিজেপি। তবে গোটা ব্যাপারটি স্বাভাবিক বলে ধরে নেওয়া গেলেও, খুব কম ক্ষেত্রেই শোনা গেছে যে, বিরোধী দলের পক্ষ থেকে শাসক দলের নেতা-কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়া হয়েছে। তবে এবার সেরকমই ঘটনা ঘটল রাজ্যে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, সম্প্রতি ফুটবল খেলা দেখে বাড়ি ফেরার পথে বোমা ফেটে মৃত্যু হয় বিজেপি কর্মী দীপক মন্ডলের। আর তারপর থেকেই উত্তপ্ত পূর্ব মেদিনীপুরের ময়নার বাকচা সহ আশেপাশের গ্রামগুলো। বর্তমানে বাকচায় ঘোষিত বনধ চলছে। এদিন বেশকিছু দোকানের ঝাঁপ খোলার চেষ্টা হলেও তা বিজেপির পক্ষ থেকে বন্ধ করে দেওয়া হয় বলে অভিযোগ। জানা গেছে, এলাকায় বেশ কিছু তৃণমূল কর্মী দোকান খুলতে উদ্যত হয়েছিলেন। কিন্তু বাড়ি বাড়ি গিয়ে বিজেপির লোকেরা হুমকি দিয়ে সেই দোকান খুলতে বারণ করে।

স্বাভাবিকভাবেই শাসক দলের পক্ষ থেকে এতদিন বিরোধীদের হুমকি অত্যাচার করার অভিযোগ উঠলেও, এবার ময়নায় যেভাবে বিরোধীদের পক্ষ থেকে তৃণমূলের কর্মীদের ঘরে ঢুকিয়ে দেওয়ার অভিযোগ উঠল, তাতে বিজেপি প্রভাব যে রাজ্যে ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে, সেই ব্যাপারে একপ্রকার নিশ্চিত বিশেষজ্ঞরা। আর বিজেপির পক্ষ থেকে দোকান বন্ধ করবার জন্য চাপ দেওয়ার অভিযোগ তুলে ইতিমধ্যেই গেরুয়া শিবিরের বিরুদ্ধে সরব হয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে ময়না ব্লক তৃণমূল সভাপতি সুব্রত মালাকার বলেন, “দীর্ঘদিন ধরে আমাদের বহু কর্মী ঘরছাড়া। তাদের ফেরানোর জন্য জেলার পুলিশ সুপারের পাশাপাশি রাজ্য নেতৃত্বকে জানিয়েছি। সোমবার থেকে বাকচার বেসিক বাজারে দলীয় কর্মীদের দোকান বন্ধ রাখতে বাধ্য করা হচ্ছে। তাদের বিজেপির কর্মসূচিতে যেতে চাপ দেওয়া হচ্ছে।”

তবে তৃণমূল নেতা একথা বললেও নানা মহলে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে, তাহলে তৃণমূল কি করছে? তারা তো শাসকদলে রয়েছে। তাদের সাংগঠনিক শক্তি কি তাহলে ধুলোয় মিশে গেল? পূর্ব মেদিনীপুরের মত শক্ত ঘাঁটিতে বিজেপি চাপ দিয়ে দোকান বন্ধ করছে, তাদের কর্মীদের নিজেদের দলে টানছে, অথচ তৃণমূল চুপ করে বসে আছে কেন? কেন তারা রাজনৈতিক শক্তি প্রদর্শন করতে পারছে না?

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এদিন তৃণমূলের তোলা এই অভিযোগকে সম্পূর্ণরূপে অস্বীকার করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। এই প্রসঙ্গে তমলুক সাংগঠনিক জেলা বিজেপির সভাপতি নবারুন নায়েক বলেন, “যারা একসময় এলাকার মানুষের উপর অত্যাচার করেছে, তারাই এখন ঘরছাড়া। আর যারা অন্যায় করেছে বলে ভয় পেয়েছে, তারাই দোকান খোলার সাহস দেখাচ্ছে না। তৃণমূলের এসব অভিযোগ হাস্যকর।” তবে বিজেপি এবং তৃণমূলের মধ্যে এই বিষয় নিয়ে রাজনৈতিক তরজার সৃষ্টি হলেও বিশেষজ্ঞরা বলছেন, যখন যারা ক্ষমতায় থাকে, তখন তাদের প্রভাব সবথেকে বেশি থাকে। এক্ষেত্রে ময়নার বাকচায় কিছুটা উলটপুরান ঘটনার সাক্ষী থাকল মানুষ। যেভাবে তৃণমূলের পক্ষ থেকে “বিজেপির হুমকিতে সবাই দোকান খুলতে পারছে না” বলে অভিযোগ করা হচ্ছে, তাতে তৃণমূলের সাংগঠনিক শক্তি কোথায় গেল !

তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে যদি তৃণমূলের এই অভিযোগ সত্যি হয়, তাহলে ক্ষমতায় আসার আগেই বিজেপির এই ভীতি প্রদর্শনের রাজনীতি মানুষ কতটা গ্রহণ করবে, তা নিয়েও সংশয় রয়েছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, কবে শান্ত হয় বাকচা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!