এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মেদিনীপুর > নতুন করে ঘুম ওড়াতে চলেছে সাধের নন্দীগ্রামই! পরিস্থিতি সামলাতে ছুটছেন মন্ত্রী থেকে জেলাশাসক

নতুন করে ঘুম ওড়াতে চলেছে সাধের নন্দীগ্রামই! পরিস্থিতি সামলাতে ছুটছেন মন্ত্রী থেকে জেলাশাসক


বিগত বাম সরকারের আমলে জমি আন্দোলনে প্রশাসনের ঘুম উড়িয়ে দিয়েছিলেন নন্দীগ্রামের মানুষ। তারপর থেকেই নন্দীগ্রামকে একটু সমঝে চলেন সকলেই। এই নন্দীগ্রামের ওপর ভর করেই গত 2011 সালে ক্ষমতায় এসেছিল তৃণমূল কংগ্রেস। মুখ্যমন্ত্রী হয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর এবার ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড় আমপানের দাপট সেই নন্দীগ্রামে পড়ার পরেই বিভিন্ন পরিষেবা বিচ্ছিন্ন হয়ে যাওয়ার সাথে সাথেই সমস্ত কিছু স্বাভাবিক করতে ময়দানে নেমে পড়ল প্রশাসন।

যেখানে ছুটতে শুরু করেছেন প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তি থেকে শুরু করে নেতা-মন্ত্রী, বিধায়ক সকলেই। প্রত্যেকের চিন্তা রয়েছে, বিগত বাম আমলে নন্দীগ্রামের মানুষের প্রতিবাদ-প্রতিরোধের কথা। তাই সেদিক থেকে এই ঘূর্ণিঝড়ের ফলে রাস্তায় গাছ পড়ে যাওয়া থেকে শুরু করে বিদ্যুৎ পরিষেবা বিঘ্নিত হলে যদি নন্দীগ্রামের মানুষ আবার অতীতের রূপ দেখাতে শুরু করেন, তাহলে পরিস্থিতি বেগতিক হয়ে যেতে পারে। তাই শুরু থেকেই সমস্যা সমাধান করতে ময়দানে নেমে পড়েছেন সকলে।

সূত্রের খবর, দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক হয়, তার জন্য বৃহস্পতিবার নন্দীগ্রাম 1 ব্লক অফিসে গিয়ে প্রশাসনিক বৈঠক করেন নন্দীগ্রামে তৃণমূল বিধায়ক তথা রাজ্যের মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। এদিনের এই বৈঠকে উপস্থিত ছিলেন বিডিও সুব্রত মল্লিক, হলদিয়ার মহকুমাশাসক অবনীত পুনিয়া, গ্রাম পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি, সহ সভাপতি এবং বিদ্যুৎ দপ্তরের সাব স্টেশনের স্টেশন ম্যানেজার। জানা গেছে, এদিন নন্দীগ্রামের দুর্গত এলাকাগুলো পরিদর্শন করেন পূর্ব মেদিনীপুরের পুলিশ সুপার ইন্দ্রাণী মুখোপাধ্যায়।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যেখানে উপস্থিত ছিলেন জেলার জেলাশাসক পার্থ ঘোষ। রাত পর্যন্ত নন্দীগ্রামে থেকে দ্রুত যাতে পরিস্থিতি স্বাভাবিক করা হয়, তার জন্য সকলকে নির্দেশ দেন জেলাশাসক। বর্তমানে নন্দীগ্রামে বিদ্যুৎ পরিষেবাও অনেকটাই বিচ্ছিন্ন বলে জানা গেছে। তাই দ্রুত যাতে সেই পরিষেবাও স্বাভাবিক করা যায়, তার জন্য আপ্রাণ চেষ্টা করছেন বিদ্যুৎ দপ্তরের কর্মীরা। তবে ঠিক কত ক্ষতি হয়েছে নন্দীগ্রামে? এদিন এই প্রসঙ্গে জেলাশাসক পার্থ ঘোষ বলেন, “ক্ষয়ক্ষতির রিপোর্ট সংগ্রহের কাজ চলছে। এখনও চূড়ান্ত রিপোর্ট আসেনি।”

বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শাসকের রক্তচক্ষুর বিরুদ্ধে নন্দীগ্রামের মানুষের প্রতিবাদ, প্রতিরোধ গোটা বাংলার মানুষ আগেও দেখেছে। আর নন্দীগ্রামের মানুষের এই প্রতিবাদের ফলে বাংলায় যে পরিবর্তন হয়েছে, তাও সকলের জানা। তাই এই পরিস্থিতিতে ভয়াবহ দুর্যোগের ফলে নন্দীগ্রামের মানুষের কোনো পরিষেবায় যাতে আঘাত না আসে, তার জন্য তড়িঘড়ি সেই এলাকার সমস্ত কিছু ঠিক করতে উদ্যোগী হয়েছে প্রশাসন। সকলেরই আতঙ্কের কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে অতীতে নন্দীগ্রামের মানুষের প্রতিবাদের বিষয়টি।

তাই এখন দ্রুত এলাকার পরিস্থিতি স্বাভাবিক করতে সেখানে পড়ে থাকতে দেখা যাচ্ছে নেতা-মন্ত্রী থেকে শুরু করে প্রশাসনিক কর্তা ব্যক্তিদের। বিশেষ করে রাজ্য-রাজনীতিতে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উত্থানের পিছনে এই নন্দীগ্রামের অবদান অনস্বীকার্য। আর তাই রেলমন্ত্রী হয়ে তিনি চালু করেছিলেন নন্দীগ্রাম এক্সপ্রেস। ফলে, নন্দীগ্রাম সবসময়ই তৃণমূল নেত্রীর আবেগের জায়গা। আর তাই আমপানে টলমল নন্দীগ্রামকে আবার স্বমহিমায় ফিরিয়ে আনতে প্রাণপাত করছেন সবাই।সব মিলিয়ে এখন নন্দীগ্রামের পরিস্থিতি কবে স্বাভাবিক হয়, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!