এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই ভোটের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল! দুর্নীতির খোঁচাই অস্ত্র বিরোধীদের!

উন্নয়নকে হাতিয়ার করেই ভোটের ময়দানে ঝাঁপাচ্ছে তৃণমূল! দুর্নীতির খোঁচাই অস্ত্র বিরোধীদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের নির্বাচনের পরিপ্রেক্ষিতে ইতিমধ্যেই রাজ্যের সমস্ত রাজনৈতিক দল প্রচারে নেমে পড়েছে। রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের প্রচারের হাতিয়ার হয়ে উঠেছে শুধুমাত্র উন্নয়ন। রাজ্যের উন্নয়নকে সাথে নিয়ে তৃতীয় বারের জন্য বাংলার মসনদ দখলের স্বপ্ন দেখছে এখন শাসকদল। তবে উন্নয়ন হয়েছে কি হয়নি, সে ব্যাপারে সার্টিফিকেট দিচ্ছে এলাকার মানুষ। যেমন পূর্বস্থলী এলাকায় তপশিলি উপজাতিদের ষাট জন পরিবারের একটা ছোট্ট গ্রামে এতদিন পর্যন্ত আলো ছিলনা। কিন্তু বর্তমান শাসনকালে সেই গ্রামে পৌঁছেছে বিদ্যুৎ। কাঁচা রাস্তা থেকে তৈরি হয়েছে পাকা রাস্তা। এলাকায় পানীয় জলের অপর্যাপ্ত সরবরাহ পাওয়া যাচ্ছে।

এছাড়া একাধিক সরকারি প্রকল্প নিয়ে বাসিন্দারা যে খুশী তা তাঁদের কথাতেই ধরা পড়ছে। পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা লড়াইয়ে শাসকদল ‘আঁধার কলোনি’ মডেল সামনে রেখে প্রচারে নেমেছে। অন্যদিকে পূর্বস্থলী এলাকার শ্রীরামপুর পঞ্চায়েত এলাকায় দীর্ঘ 34 বছরের বাম শাসনের আমলে বিদ্যুৎ পৌঁছায়নি। কিন্তু 2011 সালের তৃণমূল রাজ্যের শাসক পদে এসেই তৃণমূল বিধায়ক স্বপন দেবনাথ দেবনাথ এর হাত ধরে এই এলাকায় বিদ্যুৎ নিয়ে আসে। গ্রামের বাড়ি বাড়ি বিদ্যুৎ পৌঁছে যায়। এরপর কাঁচা রাস্তা ঢালাই হয়। শুধু তাই নয়, পাশাপাশি পূর্বস্থলী বিধানসভায় একাধিক মাধ্যমিক স্তরে থাকা স্কুল উচ্চ মাধ্যমিকে উন্নীত হয়েছে।

কই সাথে পূর্বস্থলীর বিখ্যাত তাঁতশিল্পের কথা ভেবে ইতিমধ্যেই কালনা ব্লকের ধাত্রীগ্রামে 4 কোটি টাকা ব্যয়ে একটি তাঁতের হাট তৈরি হয়েছে এবং আরেকটি সাত কোটি টাকা ব্যয়ে শ্রীরামপুর অঞ্চলে তাঁতের হাট তৈরি হয়েছে বলে জানা যায়। বলা হচ্ছে, এই তাঁতের হাট হওয়ার কারণে বহু মানুষ উপকৃত হচ্ছেন। কর্মসংস্থান হয়েছে অনেক মানুষের। পাশাপাশি এলাকাবাসীর দাবি ছিল একটি ফায়ার স্টেশন তৈরি করার। সেটাও তৈরি হচ্ছে নশরদপুর এলাকায়। পূর্বস্থলীর বিভিন্ন জায়গায় কৃষকদের কথা মাথায় রেখেই তৈরি হয়েছে কিষাণ মান্ডি। এ প্রসঙ্গে পূর্বস্থলীর নাদনঘাট এলাকার বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, পাড়ায় পাড়ায় কাজ হয়েছে। রাস্তা হয়েছে, ড্রেন হয়েছে, আলো হয়েছে, জল এসেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রসঙ্গত, পূর্বস্থলী দক্ষিণ বিধানসভা মূলত বরাবর তৃণমূল জিতে আসছে। 2016 বিধানসভা নির্বাচনে তৃণমূলের স্বপন দেবনাথ এই কেন্দ্রে প্রায় 37 হাজার ভোটে জয়লাভ করেন। লোকসভা নির্বাচনেও প্রায় কুড়ি হাজার ভোটের কাছাকাছি এগিয়েছিল তৃণমূল। ফলে বোঝাই যাচ্ছে, পূর্বস্থলী বিধানসভা কেন্দ্র কিন্তু শাসকদলের লড়াইয়ের ক্ষেত্রে যথেষ্ট সুবিধাজনক জমি।  যদিও এলাকার বিরোধীরা উন্নয়নের দাবি পুরোপুরি উড়িয়ে দিয়েছেন। তাঁদের অভিযোগ, এলাকার মানুষের উন্নয়ন সেভাবে হয়নি।

তাঁরা আরও দাবি করেছেন, পূর্বস্থলীর মানুষ তৃণমূলকে ভোট দেবেন না। তবে বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, উন্নয়নের আসল মূল্যায়ন করবেন এলাকাবাসীরা। আর সেক্ষেত্রে পূর্বস্থলীর মানুষরা কিন্তু শাসকদলের উন্নয়নের দিকেই কথা বলছেন। খুব স্বাভাবিকভাবে পূর্বস্থলীর উন্নয়নের নিরিখে এলাকার বাসিন্দারা শাসক শিবির তৃণমূলকে কিন্তু বেশ কিছুটা এগিয়ে রাখলেন। যথারীতি তা ঘাসফুল শিবিরকে অতিরিক্ত আত্মবিশ্বাস জোগাবে বলে মনে করা হচ্ছে।

 

আপনার মতামত জানান -

ট্যাগড
Top
error: Content is protected !!