এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > উপ-নির্বাচন নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল, রফাসূত্র বেরোলো কি? জেনে নিন!

উপ-নির্বাচন নিয়ে কমিশনের দ্বারস্থ তৃণমূল, রফাসূত্র বেরোলো কি? জেনে নিন!

প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –  রাজ্যের একাধিক বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচন বাকি রয়েছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নিজের ভবানীপুর বিধানসভা কেন্দ্রের লড়ার কথা রয়েছে। 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নন্দীগ্রাম বিধানসভা কেন্দ্রে লড়াই করলেও, পরাজিত হয়েছেন বিজেপির শুভেন্দু অধিকারীর কাছে। কিন্তু তারপরেও তিনি মুখ্যমন্ত্রী পদে শপথ নিয়েছেন। সেদিক থেকে তাকে মুখ্যমন্ত্রী থাকতে গেলে শপথ নেওয়ার ছয় মাসের মধ্যে যে কোনো একটি বিধানসভা কেন্দ্র থেকে জিতে আসতে হবে। কিন্তু রাজ্যের বেশ কয়েকটি বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের সময়সীমা ঘাড়ের কাছে নিঃশ্বাস ফেললেও এখনও পর্যন্ত এই ব্যাপারে কমিশনের পক্ষ থেকে কোনো উদ্যোগ গ্রহণ করা হয়নি।

সেদিক থেকে গোটা ঘটনার পেছনে বিজেপির চক্রান্ত রয়েছে বলেও দাবি করতে দেখা যাচ্ছে তৃণমূলের একাংশকে। আর এই পরিস্থিতিতে রাজ্যের যে সমস্ত বিধানসভা কেন্দ্রের উপনির্বাচনের কথা, তা যাতে দ্রুত করানো যায়, তার জন্য নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে সাক্ষাত করে তৃণমূলের পাঁচ সদস্যের একটি প্রতিনিধিদল। আর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে দেখা করে বাইরে বেরিয়ে আসার পরেই গোটা বিষয় সম্পর্কে অবহিত করেন তৃণমূল নেতারা। যেখানে করোনা পরিস্থিতি খতিয়ে দেখেই এই ব্যাপারে কমিশনের পক্ষ থেকে ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলে জানিয়ে দেন তারা।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

সূত্রের খবর, বৃহস্পতিবার তৃণমূল সাংসদের একাংশ কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে দেখা করেন। আর তারপরেই বাইরে বেরিয়ে এসে গোটা বিষয়ে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে তাদের কী আলোচনা হয়েছে, তা ব্যাখ্যা করেন তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায়‌। কবে হতে চলেছে পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচন? এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল সাংসদ সুদীপ বন্দ্যোপাধ্যায় বলেন, “পশ্চিমবঙ্গে করোনা পরিস্থিতি যে নিয়ন্ত্রণে, তা আমরা কমিশনের আধিকারিকদের বুঝিয়ে বলেছি। সঙ্গে জানিয়েছি, মানুষ উপনির্বাচন চাইছে। প্রচারের জন্য কম সময় দিলেও আপত্তি নেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের। কমিশনের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, নিয়ম মেনেই উপনির্বাচন হবে। গোটা দেশে 20 টি বিধানসভা আসনে উপনির্বাচন হওয়ার কথা। কমিশনের সঙ্গে কথা বলে উপনির্বাচনের ব্যাপারে আমরা যথেষ্ট আশাবাদী।”

অর্থাৎ এতদিন এই উপনির্বাচনকে পিছিয়ে দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যাতে মুখ্যমন্ত্রী না থাকতে পারেন, তার চেষ্টা করা হচ্ছে বলে বিজেপির বিরুদ্ধে সরব হতে দেখা গিয়েছিল ঘাসফুল শিবিরের একাংশকে। কিন্তু এই ব্যাপারে কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনের সঙ্গে আলোচনা করার পরেই তৃণমূলের প্রতিনিধিদল যে যথেষ্ট সন্তুষ্ট, তা তাদের সংবাদমাধ্যমের সামনে বিবৃতি দেওয়ার মধ্য দিয়েই পরিষ্কার হয়ে গেল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

অনেকে বলছেন, তৃণমূল চাইছে, দ্রুত যাতে উপনির্বাচন করিয়ে নেওয়া হোক। কেননা পরবর্তীতে করোনা পরিস্থিতির দোহাই দিয়ে তৃতীয় ঢেউ আসার সময় আবার এই উপনির্বাচন পিছিয়ে দেওয়া হতে পারে। তাই বিন্দুমাত্র সময় নষ্ট না করে করোনা পরিস্থিতি যখন কিছুটা হলেও নিয়ন্ত্রণে, তখন যাতে সেই উপনির্বাচন করানো হয়, তার জন্য তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই প্রতিনিধিদলের কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের সঙ্গে সাক্ষাত। তবে সেই সাক্ষাতের পর কেন্দ্রীয় নির্বাচন কমিশনারের কথা অনুযায়ী যে যথেষ্ট খুশি তৃণমূলের প্রতিনিধিরা, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। সব মিলিয়ে কবে হয় পশ্চিমবঙ্গের বিধানসভা উপনির্বাচন, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!