প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশের রাজনৈতিক যুদ্ধের ময়দানে নামতে এই মুহূর্তে চূড়ান্ত ব্যস্ততা বাংলার রাজনৈতিক দলগুলির অন্দরে। ইতিমধ্যেই প্রতিটি রাজনৈতিক দল ঘর গুছিয়ে নেওয়ার দিকেই মন দিয়েছে। কিন্তু তার সাথেই চলছে দলবদলের পালা। আর সেক্ষেত্রে তৃণমূল বিজেপির নাম প্রথম সারিতে রয়েছে বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। দক্ষিণবঙ্গের পর এবার তৃণমূল নজর দিয়েছে উত্তরবঙ্গে। 2019 এর লোকসভা নির্বাচনে যে মাটিতে তৃণমূল পুরোপুরি নিশ্চিহ্ন হয়ে গিয়েছিলো, সেখানেই আবার তারা ঘুরে দাঁড়াচ্ছে বলে মনে করা হচ্ছে।

সম্প্রতি উত্তরবঙ্গের কোচবিহার জেলার মাথাভাঙা বিধানসভা এলাকা থেকে বিপুল পরিমাণে সদস্য বিজেপি থেকে এসে যোগদান করলেন তৃণমূলে। যথারীতি এই ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তৃণমূলের আত্মবিশ্বাস তুঙ্গে। শনিবার কোচবিহারের মাথাভাঙ্গা বিধানসভা এলাকার লতাপাতা অঞ্চলের 41 টি বিজেপি সমর্থনকারী পরিবার যোগ দিলেন তৃণমূলে। জানা গিয়েছে, তাঁদের হাতে পশ্চিমবঙ্গ সরকারের অনগ্রসর দপ্তরের ভারপ্রাপ্ত মন্ত্রী মাননীয় শ্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন দলীয় পতাকা তুলে দিয়ে দলে স্বাগত জানিয়েছেন।

দলবদল অনুষ্ঠানে মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন ছাড়াও উপস্থিত ছিলেন কোচবিহার জেলা পরিষদের সভাধিপতি উমাকান্ত বর্মন, পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি দীপ্তি তরফদার রায় সহ আরো অনেকে। সূত্রের খবর, এদিন 41 টি পরিবারের মোট 419 জন বিজেপি কর্মী সমর্থক তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করেন। অন্যদিকে দলবদল করেই বিজেপি কর্মী সমর্থকরা জানিয়েছেন, তাঁরা তৃণমূল নেত্রীর উন্নয়নের সঙ্গী হতেই দলবদল করেছেন। এ প্রসঙ্গে মন্ত্রী বিনয় কৃষ্ণ বর্মন জানিয়েছেন, বিভিন্ন গ্রামে বিজেপি ভয় দেখিয়ে মানুষকে তাঁদের সমর্থন করতে বাধ্য করেছিল।

কিন্তু বর্তমানে সমস্ত ভয় কাটিয়ে সেইসব মানুষরা আবার ভালোবেসে তৃণমূলে ফিরে আসছেন। এই ব্যাপক রদবদল সম্পর্কে অবশ্য গেরুয়া শিবির থেকে কোনো প্রতিক্রিয়া পাওয়া যায়নি। বিশেষজ্ঞদের মতে, একুশের বিধানসভা নির্বাচনের আগে যেভাবে গেরুয়া শিবির থেকে একের পর এক নেতাকর্মী এসে যোগ দিচ্ছেন তৃণমূলে, তা তৃণমূলকে উত্তরবঙ্গের মাটিতে লড়াই করার জন্য অতিরিক্ত অক্সিজেনের যোগান দেবে। তবে আগামী দিনের বিধানসভা নির্বাচনী লড়াইতে তৃণমূল ও বিজেপি যে একে অপরকে কড়া টক্কর দিতে চলেছে, সে বিষয়ে নিশ্চিত রাজনৈতিক মহল।