এখন পড়ছেন
হোম > অন্যান্য > ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজের মধ্যে সময়সীমা বাড়ল! টিকার অকালেই কি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন

ভ্যাক্সিনের দুটি ডোজের মধ্যে সময়সীমা বাড়ল! টিকার অকালেই কি কেন্দ্রীয় সিদ্ধান্ত? উঠছে প্রশ্ন


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দেশে তীব্রভাবে বাড়ছে করোনার সংক্রমণ। প্রতিদিন প্রায় সাড়ে তিন লক্ষ মানুষ নতুন করে করোনা আক্রান্ত হচ্ছেন। সেই সঙ্গে দৈনিক চার হাজার বা তার কাছাকাছি মানুষের মৃত্যু ঘটছে করোনা সংক্রমণে। দেশের করোনা পরিস্থিতিকে আরো ভয়াবহ করে তুলেছে ভ্যাকসিনের প্রচণ্ড অভাব। অনেকেই ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে ফিরে আসছেন। কোনোক্রমে যদি কেউ প্রথম ডোজ নিয়েছেন, পরবর্তী ডোজ পেতে তীব্র সমস্যার সম্মুখীন হচ্ছেন তাঁরা।

এই অবস্থায় কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ এক বিশেষ ঘোষণা করা হয়েছে গতকাল। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছে, কেউ কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেবার পর ১১২ দিনের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে পারবেন। ইতিপূর্বেও কোভিশিল্ডের দুই ডোজের মধ্যে ব্যবধান বাড়ানো হয়েছিল কেন্দ্রের পক্ষ থেকে। এই ঘোষণা স্বস্তি দিয়েছে বহু মানুষকে। তবে, অনেকেই প্রশ্ন করতে শুরু করেছেন যে, ভ্যাকসিনের আকালের কারণেই কি কোভিশিল্ডের দুটি ডোজের মধ্যেকার সময়সীমা বাড়িয়েছে কেন্দ্র?

দেশে যখন তীব্র ভাবে চলছে করোনার ভ্যাকসিনের অভাব। ভ্যাকসিন নিতে গিয়ে নাজেহাল হচ্ছেন দেশবাসী। সেই পরিস্থিতিতে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে ঘোষণা করা হয়েছে যে, এবার থেকে কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেওয়ার পর ১২ থেকে ১৬ সপ্তাহ অর্থাৎ ১১২ দিনের মধ্যে এর দ্বিতীয় ডোজ নেওয়া যাবে। ইতিপূর্বে কেন্দ্রের পক্ষ থেকে জানানো হয়েছিল, কোভিশিল্ডের প্রথম ডোজ নেবার পর চার সপ্তাহের মধ্যে দ্বিতীয় ডোজ নিতে হবে। পরে এই ব্যবধান বাড়িয়ে আট সপ্তাহ করা হয়। এবার এই ব্যবধান আরো বাড়িয়ে দিল কেন্দ্রীয় সরকার।

ভ্যাকসিন এর অভাবের কারণেই কি দুই ডোজের ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্র? এই প্রশ্ন করেছেন একাধিক ব্যক্তি। তবে, কেন্দ্র এই বিষয়টিকে গুরুত্ব দেয়নি। নীতি আয়োগ এর সদস্য ডাক্তার বিনোদ কুমার পল এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, বৈজ্ঞানিক তথ্যের ওপর ভিত্তি করেই কোভিশিল্ডের দুই ডোজের সময়সীমা বাড়ানোর সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে।

কারণ অক্সফোর্ডের গবেষণায় দেখা গেছে, কোভিশিল্ডের দুই ডোজের ব্যবধান বাড়িয়ে দিলে অধিক ফলপ্রসূ হচ্ছে। কেন্দ্রের এই সিদ্ধান্তে আনন্দিত সিরাম ইনস্টিটিউটের কর্ণধার আদর পুনাওয়ালা। তিনি জানিয়েছেন, এটি একটি বৈজ্ঞানিক সিদ্ধান্ত। নির্দিষ্ট তথ্যের ওপর ভিত্তি করে সরকার এই সিদ্ধান্ত নিয়েছে। তবে, কোভ্যাকসিনের দুই ডোজের ব্যবধান বাড়ানো হয়নি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেই বলতে শুরু করেছেন, দেশের ভ্যাকসিনের অভাবের কারণেই কোভিশিল্ডের দুই ডোজের ব্যবধান বাড়িয়েছে কেন্দ্র? দেশবাসীর অসন্তোষকে প্রশমিত করতেই কি কেন্দ্রর এই ঘোষণা? একাধিক রাজ্যে ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে তীব্র সমস্যায় রাজ্যবাসী। পশ্চিমবঙ্গে ভ্যাকসিনের অভাবের কারণে বেশ কিছু হাসপাতাল ও চিকিৎসা কেন্দ্রে বারবার ভ্যাক্সিনেশন প্রক্রিয়া বন্ধ হয়ে পড়ছে। আরও বেশি পরিমাণে ভ্যাকসিন চেয়ে একাধিকবার মুখ্যমন্ত্রী চিঠি দিয়েছেন কেন্দ্রকে। রাজ্যে ভ্যাকসিন এলেও তা প্রয়োজনের তুলনায় যথেষ্টই কম।

এদিকে দেশের করোনা জয়ীদের ভ্যাকসিন প্রদানের সময়সীমা বৃদ্ধি ব্যাপারেও আলোচনা চলছে। করোনা মুক্ত হওয়ার পর সাধারণত চার থেকে ছ সপ্তাহ পর ভ্যাকসিন দেওয়া হয়ে থাকে। এই সময়সীমা আরও বাড়ানো যায় নিন? সে বিষয়ে আলোচনা চলছে। এ প্রসঙ্গে আইসিএমআরের মহামারীবিদ্যা বিভাগের প্রধান সমীরণ পাণ্ডা জানালেন, কোন করোনা আক্রান্ত মানুষের দেহে সাধারণ তিন মাস পর্যন্ত অ্যান্টিবডি সক্রিয় অবস্থায় থাকে। তাই এর পরে ভ্যাকসিন নিতে পারেন তিনি। এই সময়সীমা ৬ মাস করা যাবে কিনা? সে বিষয়ে আলোচনা চলছে।

দেশে ভ্যাকসিনের চূড়ান্ত অভাবের মধ্যেও কেন্দ্রীয় সরকার চলতি বছরের মধ্যেই পর্যাপ্ত ভ্যাকসিন দেশের কাছে চলে আসবে, বলে আশাবাদী। একাধিক বিদেশি সংস্থার সঙ্গে কেন্দ্রের আলোচনা চলছে। জানা গেছে, দেশে প্রতিদিন ২৫ লক্ষ ভ্যাকসিন তৈরি হতে পারে, যা প্রয়োজনের তুলনায় নিতান্তই অপ্রতুল। বিদেশ থেকে রপ্তানি না বাড়ালে পরিস্থিতি মোকাবিলা করা সম্ভব নয় বলেই, মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!