এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ভাইপো নাকি বাঘের বাচ্চা! তাহলে ইডির মুখোমুখি হতে এত ভয় কিসের? অস্বস্তিতে মমতার মন্ত্রী!

ভাইপো নাকি বাঘের বাচ্চা! তাহলে ইডির মুখোমুখি হতে এত ভয় কিসের? অস্বস্তিতে মমতার মন্ত্রী!


প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে যেভাবেই হোক, হিরো করতে হবে। তাই সেই চেষ্টা তৃণমূলের কমবেশি সকল নেতারাই দিল্লির মাটি থেকে করে দেখিয়েছেন। তবে অভিষেকবাবুর কাছে কে কত নাম্বার পাবেন, কার পদ কতদিন থাকবে, তা তো পরে বোঝা যাবে। তবে অরূপ বিশ্বাস অবশ্য দিল্লিতে সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে একেবারে বাঘের বাচ্চা বলে তার চরম প্রশংসা করেছেন। তার কথার মধ্যে এমনটাও উঠে এসেছে যে, অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের ভয়ে নরেন্দ্র মোদী এবং অমিত শাহরা নাকি কাঁপতে শুরু করেছে। কিন্তু মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস যখন ভাইপোকে “বাঘের বাচ্চা” বলছেন, তখন এত বড় মাপের ব্যক্তি হয়েও এত বীরত্ব দেখালেও কেন দিল্লিতে বসে থাকতে হলো সেই তথাকথিত বাঘের বাচ্চাকে? তিনি তো এক পয়সাও দুর্নীতি করেননি। তারপরেও কেন ইডির দপ্তরে না গিয়ে দিল্লির আন্দোলনে যোগ দিলেন যুবরাজ! তা নিয়ে পাল্টা প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে বিরোধীরা।

প্রসঙ্গত, এদিন দিল্লির যন্তর মন্তরে তৃণমূলের পক্ষ থেকে ধর্না কর্মসূচির আয়োজন করা হয়। যেখানে বক্তব্য রাখতে গিয়ে রাজ্যের মন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস বলেন, “অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় বাঘের বাচ্চা। তাকে দেখে নরেন্দ্র মোদী, অমিত শাহরা ভয়ে কাঁপতে শুরু করেছে।” আর এখানেই প্রশ্ন, অরূপবাবু আপনি অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি করতে এই ধরনের কথা প্রকাশ্য সভায় বলতেই পারেন। তাতে আপনার পয়েন্ট হয়তো তৃণমূলে অনেকটাই বাড়বে। আপনি হয়তো দীর্ঘ দিন মন্ত্রী থাকবেন। কিন্তু আপনি যাকে বাঘের বাচ্চা বলছেন, তার যদি এতই সাহস থাকবে, তাহলে তিনি আজকে কেন আন্দোলনে এলেন? নিজের সততার প্রমাণ দিতে তাকে তো কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার দপ্তরে উপস্থিত হয়ে বুঝিয়ে দিতে হত যে, তিনি কোনো কিছুকেই ভয় পান না! কেন বিচারপতি অমৃতা সিনহার নির্দেশকে চ্যালেঞ্জ করে তাকে ডিভিশন বেঞ্চের দ্বারস্থ হতে হল?

বিরোধীদের কটাক্ষ, তৃণমূলের সকলেই বুঝে গিয়েছেন, দল এখন ধীরে ধীরে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের হাতে চলে যাচ্ছে। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তৃণমূলের মুখ বটে। কিন্তু যা সিদ্ধান্ত নিচ্ছেন, তা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ই নিচ্ছেন। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ নেতা-মন্ত্রীরা সেই অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি রাখতে, দিল্লির মঞ্চ থেকে তাকে এমন সব প্রশংসাসূচক বাক্যে সম্বোধন করেছেন, যা শুনে হাসছে সাধারণ মানুষও। অরূপ বিশ্বাস তো সব কিছুকে পেছনে ফেলে দিয়ে একেবারে যুবরাজকে বাঘের বাচ্চা বলে সম্বোধন করেছেন। অরূপবাবু হয়তো বুঝেছেন, তাকে আর বেশিদিন মন্ত্রী রাখা হবে না। সেই কারণেই এই ধরনের ভারী ভারী শব্দ দিয়ে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে খুশি রাখার মরিয়া চেষ্টা করতে দেখা গিয়েছে তাকে বলেই দাবি বিরোধীদের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সততার প্রতীক হতে গেলে তার নিচে কখনও লিখতে হয় না যে, তিনি সততার প্রতীক। মানুষ তার স্বভাব, তার চরিত্র দেখেই বুঝে যান, তিনি সততার প্রতিমূর্তি। তাই বাঘের বাচ্চা কেউ যদি হন, তাহলে তার লড়াই করার মানসিকতা দেখেই সাধারণ মানুষের কাছে তার ভাবমূর্তি স্পষ্ট হয়ে যায়। তার জন্য কাউকে বড় বড় গলায় বাঘের বাচ্চা সম্বোধন করে নিজেদের যুবরাজকে হিরো বানাতে হবে না। যদি তিনি বাঘের বাচ্চাই হতেন, তাহলে যতই গুরুত্বপূর্ণ রাজনৈতিক কর্মসূচি থাক, আজকে অন্তত কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার মুখোমুখি হতেন। বুঝিয়ে দিতেন, তিনি কোনো কিছুকেই ভয় পান না। তাহলে বিরোধীরাও বলতো যে, হ্যাঁ, ছেলেটার দম রয়েছে। দিনের শেষে তেমনটাই দাবি রাজনৈতিক সমালোচকদের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!