প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- ভাঙ্গরের পরিস্থিতি যখন চরম উত্তপ্ত হতে শুরু করেছে, ঠিক তখনই নবান্নে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে সাক্ষাৎ করতে চেয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু সেখানে মুখ্যমন্ত্রী তাকে সময় দেননি বলে অভিযোগ। আর এই পরিস্থিতিতে মনোনয়ন পর্বের শেষ দিনে এক আইএসএফ কর্মীর মৃত্যুর পরে রীতিমতো সোচ্চার হয়েছিলেন আইএসএফ বিধায়ক। নবান্নে গিয়েও যেভাবে তাকে ফিরে আসতে হয়েছে এবং যেভাবে মুখ্যমন্ত্রী তার সঙ্গে কথা বলেননি, তাতে গোটা ঘটনায় মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে কড়া ভাষায় আক্রমণ করলেন নওশাদ সিদ্দিকী।

প্রসঙ্গত, এদিন এই ব্যাপারে নওশাদ সিদ্দিকীকে একটি প্রশ্ন করা হয়। আর সেই প্রশ্নের উত্তর দিতে গিয়ে এই আইএসএফ বিধায়ক বলেন, “যদি সেদিন মুখ্যমন্ত্রী আমার সঙ্গে কথা বলতেন, তাহলে হয়তো আজকে ভাঙরের এই মারাত্মক ঘটনা ঘটত না। যদি উনি সেদিন একটু আমাকে সময় দিতেন। কিন্তু উনি সেদিন সময় দেননি। তাহলে এর দায় তো পুলিশ মন্ত্রীকে নিতে হবে।”

বিশেষজ্ঞদের মতে, রাজনৈতিক বিরোধ থাকলেও মুখ্যমন্ত্রী হিসেবে ভাঙ্গরের পরিস্থিতি নিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সঙ্গে দেখা করতে গিয়েছিলেন নওশাদ সিদ্দিকী। কিন্তু যে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বারবার প্রশাসনের দল এবং রং না দেখার কথা বলেন, সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ভাঙ্গরের উত্তপ্ত পরিস্থিতির পরেও বিরোধী বিধায়কের সঙ্গে দেখা পর্যন্ত করেননি‌। যাকে কার্যত সমালোচনা করেছে বিরোধীরা। আর এই পরিস্থিতিতে সাক্ষাৎ না করা নিয়ে এবার ভাঙ্গরের ঘটনায় মুখ্যমন্ত্রীর ঘাড়েই দায় চাপালেন নওশাদ সিদ্দিকী। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।