এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > পরীক্ষার খাতা দেখা আর ভোটের প্রশিক্ষণ – দুইয়ের মাঝে দিশেহারা শিক্ষককুল

পরীক্ষার খাতা দেখা আর ভোটের প্রশিক্ষণ – দুইয়ের মাঝে দিশেহারা শিক্ষককুল

এ যেন অনেকটা গোদের উপর বিষফোঁড়ার মত। একেই আসন্ন লোকসভা নির্বাচন উপলক্ষে ভোটের প্রশিক্ষণ শুরু হয়ে গিয়েছে। আর তার সাথে উচ্চমাধ্যমিকের খাতা দেখার চাপ। আর এই দুই চাপে রীতিমতো বিপর্যস্ত রাজ্যের শিক্ষক মহল। জানা গেছে, সমগ্র শিক্ষা অভিযানের রাজ্য প্রকল্প অধিকর্তার অফিস থেকে ইতিমধ্যেই জানিয়ে দেওয়া হয়েছে, এপ্রিল মাসের প্রথম থেকে দ্বিতীয় সপ্তাহের মধ্যে প্রথম সামেটিভ পরীক্ষা শেষ করে সেই ব্যাপারে একটি ফল প্রকাশ করে তার বিস্তারিত রিপোর্ট 24 এপ্রিলের মধ্যে পাঠিয়ে দিতে হবে।

আর এতেই চরম সমস্যায় পড়েছেন শিক্ষকরা। অন্যদিকে গত দু’বছর ধরে রাজ্যের কলেজ বিশ্ববিদ্যালয়গুলিতে সিবিসিএস পদ্ধতিতে পঠন পাঠন ও পরীক্ষা গ্রহণ শুরু হওয়ায় পরীক্ষার সংখ্যাও অনেকটাই বেড়ে গিয়েছে। আর স্কুলশিক্ষা ক্ষেত্রে বেশ কিছু পরিবর্তন আসলেও মিড ডে মিল থেকে শুরু করে অন্যান্য প্রকল্পগুলিতে সেখানকার প্রধান শিক্ষক এবং শিক্ষকদের অনেকটা সময় দিতে হলে সেই নির্দিষ্ট সময়সীমার মধ্যে বিভিন্ন তথ্য জোগাড় করে তারা তাদের রিপোর্ট পাঠানোর জন্য তাদের অন্যান্য কাজ ক্ষতিগ্রস্ত হচ্ছে। ফলে তারা কি করে সেই রিপোর্ট পাঠানোর কাজ সম্পন্ন করবেন এই স্বল্প সময়ের মধ্যে! তা নিয়ে চিন্তায় রয়েছেন অনেকেই।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

শিক্ষকদের একাংশের মতে, পরীক্ষা নেওয়ার বিষয়টি স্কুলগুলোর উপরই ছেড়ে দেওয়া হোক। কিন্তু তা না করে যেভাবে তাদের উপর ডেডলাইন চাপিয়ে দেওয়া হচ্ছে, তা খুবই হতাশাজনক। কারণ শিক্ষা দপ্তরের বোঝা উচিত যে, শিক্ষকরাও মানুষ। তারা যদি ভোটের প্রশিক্ষণ বা খাতা দেখার মত কাজে ব্যস্ত থাকেন, তাহলে পরীক্ষা গ্রহন কিভাবে সম্ভব হবে তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন অনেকেই। এদিকে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে প্রত্যেক বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনী রেখে সুষ্ঠুভাবে যাতে নির্বাচন প্রক্রিয়া অনুষ্ঠিত করা যায়, তার জন্য আগামী 8 এপ্রিল নির্বাচন কমিশনের দ্বারস্থ হচ্ছে শিক্ষক-শিক্ষাকর্মী-শিক্ষানুরাগী ঐক্যমঞ্চ বলে জানা গেছে।

এদিন এই প্রসঙ্গে এই কমিটির যুগ্ম সম্পাদক কিংকর অধিকারী বলেন, “সব বুথে কেন্দ্রীয় বাহিনীর দিতে না পারলে 7 দফায় ভোট করে কোনো লাভ হবে না। আর এই কেন্দ্রীয় বাহিনীর ব্যাপারটা যদি নিশ্চিত না হয় তাহলে অনেক শিক্ষক নির্বাচনী প্রশিক্ষণকে বয়কট করবেন এবং বিক্ষোভ দেখাবেন। আমরা চাই না নির্বাচন করতে গিয়ে কারও প্রাণহানি হোক।”

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!