“ভোট কপালে হয় না, কাজে হয়!” – শুভেন্দু অধিকারীর নিশানায় কারা? তীব্র জল্পনা শুরু তৃণমূলে! পুরুলিয়া-ঝাড়গ্রাম-বাঁকুড়া মেদিনীপুর রাজ্য July 15, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – তৃণমূলে কি এবার ডামাডোল বাজতে চলেছে? এখন যে ব্যক্তিকে নিয়ে তৃণমূলের সবথেকে বেশি জল্পনা চলছে, তার নাম পূর্ব মেদিনীপুরের অধিকারী গড়ের সম্রাট শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বিজেপিতে যেতে পারেন, তিনি নতুন রাজনৈতিক মঞ্চ গঠন করতে পারেন, এই সমস্ত বিষয় চর্চার অঙ্গ দাঁড়িয়েছে। ইতিমধ্যেই তৃণমূলের দুর্নীতি নিয়ে দলের এক হেভিওয়েট মন্ত্রী রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায় বিস্ফোরক মন্তব্য পোষণ করেছেন যা অস্বস্তিতে ফেলেছে তৃণমূল শীর্ষ নেতৃত্বকে। বেশ কিছুদিন ধরে করোনা ভাইরাস এবং লকডাউনের কারণে দলের কোনো কর্মসূচিতে উপস্থিত হতে দেখা যায়নি শুভেন্দুবাবুকে। যার ফলে তার দলবদলে জল্পনা এবং তৃণমূলের সঙ্গে দূরত্বের সম্ভাবনা আরও প্রকট হয়েছে। আরে মত একটা পরিস্থিতিতে একুশে জুলাই এর প্রস্তুতি নিয়ে মঙ্গলবার বাঁকুড়ায় আসেন তৃণমূলের এই হেভিওয়েট মন্ত্রী যেখানে তার বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে তার রাজনৈতিক অবস্থানের কোনো ইঙ্গিত পাওয়া যায় কিনা তার দিকে নজর রেখেছিল রাজনৈতিক মহল। আর সেই প্রস্তুতি সভাতেই শুভেন্দু অধিকারী এমন একটি বাক্য প্রয়োগ করলেন, যা এখন জল্পনার অন্যতম অঙ্গ হয়ে দাঁড়িয়েছে। কি বলেছেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী? জানা গেছে, এদিন শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “যারা ক্ষমতায় থাকেন, তাদের সম্পর্কে মানুষ আড়ালে কি বলে, সেটা শোনা উচিত।” কিন্তু হঠাৎ পরিবহন মন্ত্রী এই ধরনের কথা বলতে গেলেন কেন, এটা কি তার দলের বিরুদ্ধে মন্তব্য হয়ে গেল না? রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, শুভেন্দু অধিকারী একথা বলে বোঝাতে চাইলেন যে, দলের বর্তমান ভাবমূর্তি অনেকটাই খারাপ। তাই মানুষ কি বলছে, তা শোনা উচিত! অর্থাৎ দলকে আগামী দিনে ক্ষমতায় আসার আগে আরও বেশি করে নিজেদের শ্রীবৃদ্ধির কথা ভাবতে হবে বলেই কি এই বার্তা দিতে চাইলেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে বিভিন্ন মহলে। এদিকে এতদিন লকডাউন চললেও বেশকিছু তৃণমূলের নেতা নেত্রীরা রাস্তায় নেমেছিলেন। কিন্তু তাকে কেন দেখা যায়নি? আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিন এই প্রশ্নের উত্তরে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “22 মার্চ জনতা কার্ফু, তারপরে লকডাউন, সেই সময় মিছিল-মিটিং করে করোনা ছড়িয়ে দেওয়া কোনো দায়িত্বশীল কাজ হতে পারে না।” আর তারপরেই দলের নেতৃত্বদের উদ্দেশ্যে শুভেন্দু অধিকারী বলেন, “এখন আপনারা ক্ষমতায় আছেন। মানুষ 100 দিনের কাজ পাচ্ছেন। সামনে আপনাদের স্যালুট করছেন। কিন্তু আড়ালে তারা কি বলছে, তা শুনতে হবে। ভোট কপালে হয় না কাজে হয়। ফুল পড়ে থাকে, মালা গাঁথতে হয়।” অর্থাৎ শুভেন্দুবাবু একথা বলে বোঝানোর চেষ্টা করলেন যে, শাসক দলের নেতাদের সামনে মানুষরা ভালো ভালোই কথা বলেন। কিন্তু আড়ালে মানুষ তৃণমূলের সম্পর্কে কি মনোভাব পোষণ করছেন, তা যেন বোঝার চেষ্টা করে তৃণমূল নেতৃত্ব। কিন্তু বাঁকুড়া জেলায় শুভেন্দু অধিকারীর মত নেতা একথা বললেও, তিনি যে একদম শীর্ষস্তর থেকে নীচুস্তর পর্যন্ত এই বার্তা পৌঁছে দিতে চেয়েছেন, তা পরিষ্কার রাজনৈতিক মহলের কাছে। আর এখানেই একাংশ প্রশ্ন তুলছেন, তাহলে কি শুভেন্দু অধিকারী বুঝতে পেরেছেন যে তৃণমূল সম্পর্কে মানুষের কাছে খুব একটা গ্রহণযোগ্য মনোভাব পাওয়া যাচ্ছে না। আর তাই রোগ ধরতে পেরে এবার জেলা নেতৃত্বদের এই বার্তা দেওয়ার চেষ্টা করলেন তিনি? প্রশ্ন উঠছে রাজনৈতিক মহলে। আপনার মতামত জানান -