প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আজ বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট। সকাল থেকেই শুরু হয়েছে ভোট দেওয়ার তোড়জোড়। কিন্তু তার মাঝেই অশান্তি শুরু কাঁথি দক্ষিণে। এলাকা জুড়ে তীব্র উত্তেজনা। অভিযোগ উঠেছে ইভিএম মেশিন নিয়ে। কোন রাজনৈতিক দল নয়, এবার ইভিএম নিয়ে অভিযোগ তুলেছেন স্থানীয় বাসিন্দারা। যারা সকালে ভোট দিতে গেছেন, তাঁরা বেড়িয়ে এসে জানাচ্ছেন তৃণমূলে ভোট দিতে গেলে বিজেপিতে ভোট পড়ছে। আর এই নিয়েই শুরু হয়েছে ব্যাপক হৈচৈ।

প্রসঙ্গত, কিছুদিন আগেই তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আশঙ্কা প্রকাশ করেছিলেন ইভিএমে কারসাজি করতে পারে গেরুয়া শিবির। তাহলে কি তাঁর এই আশঙ্কা সত্যি হতে চলেছে? বিধানসভা নির্বাচনের প্রথম দফার ভোট গ্রহণের কিছুক্ষণের মধ্যেই কাঁথি দক্ষিণের ভোটাররা ভোট বন্ধ করে দেন। তাঁরা বলতে থাকেন, তৃণমূলে ভোট দিলে চলে যাচ্ছে বিজেপিতে। পরিষ্কার ভোট বন্ধ করে তাঁরা ঘোষণা করে দেন নতুন ইভিএম না আসলে তাঁরা আর ভোট দেবেননা। খুব স্বাভাবিকভাবেই এলাকাজুড়ে উত্তেজনা ছড়িয়েছে। ঘটনাস্থলে পুলিশ এবং কেন্দ্রীয় বাহিনীকে দেখা গেছে।

নিয়মমাফিক শনিবার সকালে কাঁথি দক্ষিণে হাই মাদ্রাসায় ভোট গ্রহণ শুরু হয়। ভোট শুরু হবার কিছুক্ষণ পর থেকে স্থানীয়রা অভিযোগ করতে শুরু করেন। তাঁরা তৃণমূলের প্রতীকে ভোট দিলে ভোট যাচ্ছে বিজেপিতে। সাড়ে নটা নাগাদ এই অভিযোগকে কেন্দ্র করে তীব্র উত্তপ্ত হয়ে ওঠে এই এলাকা। হাই মাদ্রাসার ভোট বন্ধ করে দেয় স্থানীয়রা নিজেরাই। পুলিশ কেন্দ্রীয় বাহিনী পরিস্থিতি আয়ত্তে আনার চেষ্টা করলেও কোনো লাভ হয়নি। নিজেদের অবস্থানে অনড় থাকেন স্থানীয়রা।

প্রায় দেড় ঘণ্টা ভোটগ্রহণ বন্ধ থাকার পর আবার নতুন করে ভোট গ্রহণ প্রক্রিয়া শুরু হয়েছে বলে জানা যাচ্ছে। প্রসঙ্গত তৃণমূল নেত্রী বার বার কর্মীদের পরামর্শ দিয়েছিলেন এবারের ভোটে কারচুপি হওয়ার আশঙ্কা আছে। তাই কর্মীরা যেন ভালো মতন ইভিএম পরীক্ষা করে তবে ভোট দেন। খুব স্বাভাবিকভাবে স্থানীয়দের এই অভিযোগ যথেষ্ট তাৎপর্যপূর্ণ বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। আপাতত স্থানীয়দের এই অভিযোগ ঘিরে তীব্র বিতর্ক শুরু হয়েছে রাজনৈতিক মহলেও। চরমে উঠেছে তৃণমূল বিজেপির চাপানউতোর।