এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > অনুব্রতর “ভয়ঙ্কর খেলার” পাল্টা বিজেপির “গুলির খেলা”! বিতর্ক তুঙ্গে!

অনুব্রতর “ভয়ঙ্কর খেলার” পাল্টা বিজেপির “গুলির খেলা”! বিতর্ক তুঙ্গে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – নির্বাচন এলেই বিভিন্ন রকম মন্তব্য করে শোরগোল তুলে দেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডল। কখনও গুড় বাতাসা, আবার কখনও বা চড়াম চড়াম ঢাকের কথা বলে ইঙ্গিতপূর্ণ মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে তাকে। আর এবার 2021 এর বিধানসভা নির্বাচনের আগে রীতিমত প্রতি সভা থেকেই ভয়ঙ্কর খেলা হবে বলে মন্তব্য করতে দেখা যাচ্ছে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তবে অনুব্রত মণ্ডলকে জবাব দিতে এবার রীতিমত গোটা বীরভূম জেলা জুড়ে “গুলির খেলা হবে” বলে বিতর্কিত মন্তব্য করলেন বিজেপি নেতা কালোসোনা মন্ডল। স্বাভাবিকভাবেই নির্বাচনের আগে তার এই ধরনের মন্তব্যকে কেন্দ্র করে রীতিমত শোরগোল তৈরি হয়েছে গোটা বীরভূম জেলা জুড়ে।

প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, অনুব্রত মণ্ডলের পাশাপাশি কিছুদিন আগেই সিউড়িতে তৃণমূলের সভায় “খেলা হবে” বলে স্লোগান দিয়েছিলেন জেলা শিক্ষা সংসদের চেয়ারম্যান প্রলয় নায়েক। তারপরই বিতর্ক ক্রমশ দানা বাঁধতে শুরু করেছিল। আর এর পরেই দীর্ঘদিন বহিস্কৃত থাকার পর অবশেষে বিজেপিতে সক্রিয় হন কালোসোনা মন্ডল। এবার এই ব্যাপারে বিতর্কিত মন্তব্য করে বসলেন এই বিজেপি নেতা। এদিন তিনি বলেন, “অনুব্রত মণ্ডলের সভায় তার খেলার হাতিয়ার ছিল প্রাইমারির চেয়ারম্যান। অনুব্রতবাবুর সঙ্গে তিনিও বলছেন খেলা হবে। আরে খেলা তো জরুর হবে। লড়াই তো হবেই। গুলিও চলবে। দেশহিতৈষীদের সঙ্গে দেশদ্রোহীদের খেলা হবে। আর এই খেলা বিজেপিকে করতে হবে না। জনগণ করবে। জনগণ তাদের বৃন্দাবন দেখাবে।”

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আর যেভাবে “গুলির খেলা হবে” বলে জানিয়ে দিলেন বিজেপি নেতা তাতে রীতিমত পরিস্থিতি ঘোরালো হয়ে উঠতে শুরু করেছে। নির্বাচনের আগেই যদি এই ধরনের শব্দ প্রয়োগ করতে শুরু করেন রাজনৈতিক নেতারা, তাহলে পশ্চিমবঙ্গের নির্বাচন কতটা শান্তিপূর্ণ হবে, তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে সংশয়।এদিকে বিজেপির পক্ষ থেকে এই ধরনের বিতর্কিত মন্তব্য করা হলেও, তা নিয়ে পাল্টা ময়দানে নেমে পড়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। নাম না করে প্রলয় নায়েককে আক্রমণ করা হলেও, তার জবাব দিয়েছেন প্রলয়বাবু।

এদিন তিনি বলেন, “চেয়ারম্যানের প্রশাসনিক পদ। তার বাইরেও আমার ব্যক্তিগত সত্তা আছে। সেখানে আমি তৃণমূল সমর্থক।” অন্যদিকে কালোসোনা মন্ডল যেভাবে “গুলির খেলা হবে” বলে মন্তব্য করেছেন, তাতে কড়া প্রতিক্রিয়া দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস। এদিন এই প্রসঙ্গে বীরভূম জেলা তৃণমূলের কো অর্ডিনেটর অভিজিৎ রানা সিংহ বলেন, “বিজেপির ভাষা বাহুবলীদের। তাদের সংস্কৃতি গুলিগোলা, বন্দুকের। জনগণ এর শেষ বিচার করবেন।” তবে যে যাই বলুক না কেন, নির্বাচনের আগে এই ধরনের ভাষা সংস্কৃতি যে চিন্তা বাড়িয়ে দিচ্ছে সকলের, তা বলাই যায়।

অনুব্রত মণ্ডলের “খেলা হবে” মন্তব্যের পাল্টা মন্তব্য করতে গিয়ে যেভাবে “গুলির খেলা হবে” বলে জানালেন বিজেপি নেতা, তাতে পরিস্থিতি ক্রমশ জটিল হওয়ার আশঙ্কা করছেন বিশেষজ্ঞরা। যদি এখন থেকেই রাজনৈতিক নেতাদের এই কথামত পশ্চিমবাংলার বিভিন্ন জায়গায় আইনশৃংখলার অবনতি হতে শুরু করে, তাহলে তার দায় কে নেবে! তা নিয়ে উঠতে শুরু করেছে প্রশ্ন। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!