এবার পরিযায়ী শ্রমিকদের বড়সড় পরিত্রাতা হয়ে উঠতে চলেছেন মমতা, দিলেন বিশাল বড় সুখবর কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য May 18, 2020 করোনা আবহের প্রথমেই শুরু হয়েছিল দেশজুড়ে লকডাউন। সেই সময় সব থেকে বেশি মুশকিলে পড়ে ছিলেন ভিন রাজ্যে কর্মসূত্রে থাকা শ্রমিকরা। কারণ তাদের হাতে ছিল না কোন কাজ। খাবারের যোগান হয়ে উঠছিল ক্রমশ মুশকিল। অবস্থা বেগতিক দেখে তাঁরা বিভিন্নভাবে বাড়ি ফিরে যাওয়ার চেষ্টা চালান। কিন্তু সেখানেও বিপত্তি। তাঁরা কোনরকম সাহায্য না পেয়ে শেষমেষ পায়ে হেঁটে বাড়ি ফেরার পথ ধরেন। তাই নিয়ে ইতিমধ্যে সংবাদ-মাধ্যমে বিতর্ক তুঙ্গে। অন্যদিকে, পশ্চিমবঙ্গের পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে আরো একশ কুড়িটি ট্রেন চাওয়া হবে বলে জানা গেছে এদিন। সোমবার মুখ্যমন্ত্রী এ প্রসঙ্গে জানিয়েছেন, ‘আপনারা ক্ষমতায় না থাকলেও রাজ্যের প্রতি আপনাদেরও দায়িত্ব আছে। সেটা সঠিকভাবে পালন করুন।’ একই সঙ্গে তিনি কেন্দ্রের বর্তমান আর্থিক প্যাকেজটিকে কটাক্ষ করেও বলেন, ‘কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজ আদপে অশ্বডিম্ব’। ইতিমধ্যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা নিয়ে কেন্দ্র-রাজ্য দ্বন্দ্ব বেধেছে। রাজ্য ও কেন্দ্রের বিরোধীদল একযোগে রাজ্যের শাসক দলের প্রতি অভিযোগ জানাচ্ছেন যে পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরাতে রাজ্য সরকার উপযুক্ত ব্যবস্থা নিচ্ছে না। এমন কি ঘরে ফিরতে শ্রমিকদেরই ট্রেনের ভাড়া মেটাতে হচ্ছে। এরপর এই রাজ্যের সিদ্ধান্ত অনুযায়ী জানা যায়, এবার থেকে পরিযায়ী শ্রমিকদের ট্রেনের ভাড়ার দায়িত্ব নিয়েছে পশ্চিমবঙ্গ। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শ্রমিকদের ফেরার ব্যাপার নিয়ে বলেন, ‘১০০টি ট্রেন বুক করা হয়েছে। এছাড়াও ১৫টি ট্রেন এসেছে।আগামী দু-তিনদিনের মধ্যে আরও ১২০ টি ট্রেন চাইব। সমস্ত খরচ দেবে রাজ্য। মোট ২৩৫ টি ট্রেন আসবে। কেউ রাজ্যের সীমানায় এলে খবর দিন। তবে সন্ধে বেলা আসবেন না। কেন্দ্র কারফিউ জারি করেছে।’ অন্যদিকে শ্রমিকদের সম্পর্কে বলতে গিয়ে রাজ্যের বিরোধী দল বিজেপি সম্পর্কেও তিনি রীতিমত ক্ষোভ প্রকাশ করেন তিনি। রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী বলেন, ‘বিরোধী দলগুলি শুধু বিরোধিতা করছে। ওঁদের লজ্জা নেই। শুধু বলছে, লক্ষ-লক্ষ মানুষ ফিরছে। বাসের ব্যবস্থা করুন। ট্রেনের ব্যবস্থা করুন। নিজেরাও কিছু দায়িত্ব নিন না।’ অন্যদিকে কেন্দ্রের আর্থিক প্যাকেজকে কটাক্ষ করে এদিন মুখ্যমন্ত্রী আরো বলেন, ‘গত কয়েকদিন ধরে শুধু প্রতিশ্রুতি দেওয়া হল। কেন্দ্রের অনুদান পেতে গেলে যুক্তরাষ্ট্রিয় কাঠামো ভাঙতে হবে। আমি মানবিকতার রাজনীতি করি। তাই এই নিয়ম মানব না।’ অন্যদিকে রাজ্যের বিভিন্ন জায়গায় রাজনৈতিক গন্ডগোলের প্রসঙ্গে মুখ্যমন্ত্রী এদিন বলেন, ‘বাংলার নামে বদনাম করা হচ্ছে। নিজেরা অশান্তি করে, বাংলার ঘাড়ে দোষ চাপানো হচ্ছে।’ আপাতত সমস্ত বিতর্কের অবসান করে ভিন রাজ্যে কর্মরত বাংলার পরিযায়ী শ্রমিকদের বাড়ি ফেরানোর খরচ বহন করবে পশ্চিমবঙ্গ সরকার। এ ব্যাপারে নিশ্চিত করেছে স্বয়ং মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিযায়ী শ্রমিকদের ফেরার ব্যাপারে রেলমন্ত্রীর কাছেও আবেদন জানানো হয়েছে বলে জানা গেছে। অন্যদিকে বিশেষজ্ঞদের মতে রাজ্যের উচিত এই মুহূর্তে করোনা পরিস্থিতির দিকে নজর রাখা এবং কড়া হাতে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণ করা। কারণ রাজ্যের চিত্র কিন্তু এখনো খুব একটা আশাব্যঞ্জক নয়। আপাতত পরিযায়ী শ্রমিকদের রাজ্যে ফেরা নিয়ে যে রাজনৈতিক কোন্দল শুরু হয়েছে, তা কোথায় গিয়ে থামে সেটাই দেখার। আপনার মতামত জানান -