আমজনতার আশঙ্কা উত্তেজনার মাঝে হোয়াটস অ্যাপ নিয়ে নতুন সিদ্ধান্ত হাইকোর্টের অন্যান্য টেকনোলজি বিশেষ খবর January 19, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – হোয়াটস অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক চলছিল বহুদিন ধরেই। সেখানে ব্যবহারকারীদের সতর্ক করতে স্ট্যাটাস দিতেও দেখা গিয়েছিল সংস্থাকে। তবুও মানুষের মধ্যে কিন্তু হোয়াটস অ্যাপ নিয়ে বিতর্ক চলছিলই। ব্যক্তিগত তথ্যের গোপনীয়তা নিয়ে কার্যত শঙ্কিত হয়ে পড়েছিলেন মানুষ। এমন পরিস্থিতিতে হোয়াটসঅ্যাপের নতুন পলিসির বিরুদ্ধে আদালতে মামলা করেছিলেন রোহিল্লা নামের এক ব্যক্তি। আর গতকাল চিরাগ রোহিল্লার পিটিশনের ভিত্তিতে বিচারপতি সঞ্জীব সচদেবের বেঞ্চে শুনানি হয়েছে বলেই জানা গেছে। তবে ফের ২৫ তারিখ এই মামলার শুনানি হওয়ার কথাও রয়েছে। কিন্তু এদিন শুনানি চলাকালীন বিচারপতির কথায় কার্যত স্তম্ভিত হয়েছেন ওই ব্যক্তি। জানা গেছে, মামলার শুনানিতে বিচারপতি জানিয়েছেন যে ওই সংশ্লিষ্ঠ ব্যক্তির যদি হোয়াটস অ্যাপ ব্যবহারে আপত্তি থাকে, তাহলে চাইলে তিনি অন্য অ্যাপ ব্যবহার করতে পারেন। সেইসঙ্গে তাঁদের অভিযোগের ভিত্তিতে কি কি তথ্য ফেসবুকের সঙ্গে শেয়ার করা হবে বলে দাবি করা হচ্ছে, সেই প্রসঙ্গেও প্রশ্ন তুলতে দেখা গেছে বিচারপতিকে। এদিন বিচারপতি জানান, যেকোনো অ্যাপ ব্যবহারের ক্ষেত্রেই কিছু পারমিশন দিতে হয় সংশ্লিষ্ট ব্যবহারকারীকে। সেক্ষেত্রে ওই ব্যক্তির দাবি মত ফেসবুকের সঙ্গে কি তথ্য শেয়ার করা হচ্ছে সেটা স্পষ্ট করে জানাতে হবে আদালতকে। এই কথার প্রেক্ষিতে আবেদনকারীর আইনজীবী আদালতকে জানান যে, সেই তথ্য জোগাড় করে, সেগুলির বিশ্লেষণ করে ফেসবুককে জানানো হবে। যদিও এই কথায় মোটেই সায় দেয়নি। বরং এই নিয়ে আরো আলোচনার প্রয়োজন রয়েছে বলেই মনে করছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, হোয়াটস অ্যাপের নতুন পলিসির কথা জানার পর তার বিরুদ্ধে মুখ খুলতে দেখা যায় সিএআইটি কে। সেক্ষেত্রে তাঁরা দাবি করেন যে, হোয়াটস অ্যাপের এন্ড টু এন্ড এনক্রিপটেড পলিসি কার্যকরী হবে না। সেইসঙ্গে এই নতুন পলিসি মানুষের শুধু ব্যক্তিগত তথ্যই নয়, দেশের সুরক্ষা ব্যবস্থার জন্যও মারাত্মক হতে পারে বলেই দাবি করেছিলেন তাঁরা। আর তাই এই নতুন পলিসির প্রতিবাদ করে ব্যবসায়ীদের সংগঠন সিএআইটি তথ্য ও প্রযুক্তি মন্ত্রী রবি শঙ্কর প্রসাদকে চিঠি লিখে ভারতে এই মেসেজিং অ্যাপ এবং তার মূল সংস্থা ফেসবুকের উপর নিষেধাজ্ঞা আরোপের দাবি করে। হোয়াটসঅ্যাপের পক্ষ থেকে যদিও এরপর স্ট্যাটাস দিয়ে ব্যবহারকারীদের আশ্বস্ত করার চেষ্টা করা হয় এবং পলিসির জন্য আরো ৩ মাস সময় নির্ধারণ করা হয়, তবুও মানুষের মধ্যে হোয়াটস অ্যাপ নিয়ে জল্পনা চলতেই থাকে। যদিও এরই মধ্যে আদালতে পিটিশনকারী ওই ব্যক্তির তরফে দাবি করা হয় যে এই নতুন পলিসি সংবিধানে যে গোপনীয়তার অধিকার দিয়েছে সেটি ভঙ্গ করছে। যদিও এদিন কোর্টে হোয়াটস অ্যাপের তরফে জানানো হয়েছে যে গত পাঁচ বছর ধরে তাদের পলিসিতে কোনও বদল হয়নি। শুধু বিজনেস অ্যাকাউন্টের সঙ্গে চ্যাটগুলি নিয়ে পলিসি বদল হয়েছে। ফলে আগের মতোই সমস্ত ব্যবহারকারীর ব্যক্তিগত তথ্য সুরক্ষিত থাকবে। আপনার মতামত জানান -