এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > হোয়াইট ওয়াশের স্বপ্ন দেখা এই জেলায় এখনও অগোছালো বিজেপি, হতাশা বাড়ছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে

হোয়াইট ওয়াশের স্বপ্ন দেখা এই জেলায় এখনও অগোছালো বিজেপি, হতাশা বাড়ছে কর্মী-সমর্থকদের মধ্যে


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – গত লোকসভা নির্বাচনে কোচবিহার লোকসভা কেন্দ্র বিজেপি নিজেদের দখলে নেওয়ার পর থেকেই কোচবিহার নিয়ে তাদের আশা ক্রমশ বাড়তে শুরু করে। বিধানসভা নির্বাচন যেহেতু তাদের কাছে ফাইনাল ম্যাচ, তাই সেই নির্বাচনে যাতে কোচবিহার জেলার সমস্ত আসন দখল করা যায়, তার জন্য প্রবল ভাবে প্রস্তুতি নিতে শুরু করেছে ভারতীয় জনতা পার্টি। কিন্তু তৃণমূলের মত শক্তিশালী দলকে মোকাবিলা করতে গেলে নিজেদের সংগঠনের শ্রীবৃদ্ধি যে অত্যন্ত প্রয়োজন, তা ভালোই বুঝতে পারছেন বিজেপি নেতা কর্মীরা। কিন্তু বুঝেও কোনো লাভ নেই।

একাংশ বলছেন, এই কোচবিহার জেলায় এখনও পর্যন্ত বিজেপি নিজেদের সংগঠন পুরোপুরি গুছিয়ে উঠতে পারেনি। স্বাভাবিকভাবেই নিজেদের সংগঠন যদি তারা শক্তিশালী করতে না পারে, তাহলে তারা কিভাবে তৃণমূলের সঙ্গে লড়াই করবে! এখন এটাই প্রশ্ন হয়ে দাঁড়িয়েছে দলের নেতাকর্মীদের কাছে। বলা বাহুল্য, এই কোচবিহার জেলায় বিজেপির মোট 2262 টি বুথ রয়েছে। তার মধ্যে মোট 2116 টি বুথে তারা কমিটি গঠন করতে পেরেছে। সেদিক থেকে 146 টি বুথে এখনও পর্যন্ত কমিটি গঠন করতে পারেনি ভারতীয় জনতা পার্টি। আর যে 146 টি বুথে বিজেপি কমিটি গঠন করতে পারেনি, তার অধিকাংশ দিনহাটা এবং সিতাই বিধানসভা এলাকার মধ্যে রয়েছে।

মাঝেমধ্যেই এই দুই এলাকায় বিক্ষিপ্ত অশান্তির খবর সামনে আসে। সেদিক থেকে তৃণমূল বনাম বিজেপির রাজনৈতিক তরজার কারণেই এই এলাকা অশান্ত হয়ে উঠছে বলে দাবি করেন সকলে। আর তৃণমূলের শক্ত ঘাঁটি বলে পরিচিত এই বিধানসভা কেন্দ্রগুলোতেই কেন বিজেপি কমিটি গঠন করতে এখনও পর্যন্ত পিছিয়ে রয়েছে, তা নিয়ে প্রশ্ন ক্রমশ দানা বাধতে শুরু করেছে দলের অন্দরে। আর এখানেই একাংশ বলছেন, যদি তৃণমূলের মত শক্তিশালী দলের সঙ্গে লড়াই করে সাফল্য পেতে হয়, তাহলে বিজেপিকে এতদিনে কমিটি গঠনের কাজ শেষ করে দিতে হত। কেননা এখন নির্বাচন দরজায় কড়া নাড়ছে। যে কোনো মুহূর্তে দিনক্ষণ ঘোষণা হয়ে যেতে পারে। সেদিক থেকে বিজেপি কবে কমিটি ঘোষণা করবে, আর কবে তৃনমূলের মত দলের সঙ্গে লড়াই করবে, সেটাই দেখার বিষয় হয়ে দাঁড়িয়েছে বিশেষজ্ঞদের কাছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

অনেকেরই প্রশ্ন এভাবে যদি চলতে থাকে তাহলে কি কোচবিহারে ভালো ফল করা সম্ভব হবে বিজেপির পক্ষে এই প্রসঙ্গে জেলা বিজেপির কোষাধ্যক্ষ বিরাজ বসু বলেন, “আমরা সাংগঠনিকভাবে শক্তিশালী অবস্থানে রয়েছি। আমাদের সংগঠনের যে রিতী রয়েছে, সেই অনুযায়ী কাজ চলছে। 146 টি বুথে কমিটি গঠন করা হয়নি। ওই সব জায়গায় আমাদের কিছু সাংগঠনিক দুর্বলতা ছিল। সেগুলো আমরা কাটিয়ে উঠছি। পাশাপাশি আমাদের কর্মীদের তৃণমূল কংগ্রেস নানাভাবে ভয় দেখাচ্ছে। তবে আশা করছি, জানুয়ারি মাসের মধ্যেই আমরা কমিটিগুলো ঘোষণা করতে পারব।” তবে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বিজেপির পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, বিজেপি যে তাদের থেকে অনেকটা পিছিয়ে রয়েছে, সেই ব্যাপারে পাল্টা চ্যালেঞ্জ ছুড়ে দিয়েছে তৃণমূল কংগ্রেস।

এদিন এই প্রসঙ্গে কোচবিহার জেলা তৃণমূলের সাধারণ সম্পাদক আব্দুল জলিল আহমেদ বলেন, “এসব জায়গায় ওদের কোনো সংগঠন নেই। তাই ওরা কমিটি গঠন করতে পারেনি। এখন আমাদের নামে উল্টোপাল্টা কথা বলছে।” তবে নির্বাচনের আগে রাজনৈতিক তরজা এখন চরম আকার ধারণ করেছে‌। যে দলের পক্ষ থেকে যে কথাই বলা হোক না কেন, ভোটবাক্স খোলার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে কাদের সংগঠন সবথেকে বেশি মজবুত। তবে দিনের শেষে একটা প্রশ্ন কোচবিহার জেলা জুড়ে মাথাচাড়া দিতে শুরু করেছে, বিজেপি লোকসভা নির্বাচনে ভালো ফল করার পর কি কিছুটা হলেও গা ঢিলেমি মনোভাব দেখাতে শুরু করেছিল!

যার কারণে বিধানসভা নির্বাচনে তারা ভালো ফল করবে বলে দাবি করলেও, এখনও পর্যন্ত কমিটি গঠন করা সম্ভব হল না ভারতীয় জনতা পার্টির পক্ষে! এটা কি তাদের সাংগঠনিক দুর্বলতা, নাকি অতিমাত্রায় আত্মবিশ্বাস! এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। যদি অবিলম্বে এই কমিটি গঠন করা সম্ভব না হয়, তাহলে বিজেপির পক্ষে কোচবিহার জেলার প্রতিটি বিধানসভা আসন দখল করার স্বপ্ন বাস্তবে পরিণত হবে না বলেই দাবি করছে একাংশ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!