আজ কি দিল্লিতে আবার মুকুল-ম্যাজিক? শাসকদলের আরেকটি উইকেটের পতনের আশায় গেরুয়া শিবির কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর রাজ্য January 11, 2019 বিগত কয়েকদিনে মুকুল রায়ের হাত ধরে দু-দুজন হেভিওয়েট যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। প্রথমে যোগ দেন বিগত দিনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী মৌসুমী চট্টোপাধ্যায় – আর তার রেশ মিলিয়ে যেতে না যেতেই সবাইকে চমকে দিয়ে তৃণমূল কংগ্রেসের বিষ্ণুপুরের সাংসদ সৌমিত্র খাঁ – দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় ও দলের অঘোষিত দুনম্বর নেতা অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়ের বিরুদ্ধে এক রাশ ক্ষোভ উগরে দিয়ে যোগ দেন বিজেপিতে। আর তারপরেই, তৃণমূল কংগ্রেস মহাসচিব পার্থ চট্টোপাধ্যায় সৌমিত্র খাঁকে দল থেকে বহিষ্কারের কথা ঘোষণা করেন। একই সাথে সেদিনই শাসকদলের বোলপুরের সাংসদ অনুপম হাজরাকেও দল থেকে দলবিরোধী কাজের তকমা দিয়ে বহিস্কার করা হয়। কিন্তু, অনুপমবাবু স্পষ্ট প্রশ্ন তোলেন যে তিনি সারদা-নারদ কেলেঙ্কারিতে যুক্ত নন। তাঁর বিরুদ্ধে তোলাবাজি বা অন্যান্য আর্থিক তছরুপের কোনো অভিযোগ নেই – তাহলে তিনি দলবিরোধী কি এমন কাজ করলেন যার জন্য তাঁকে বহিস্কার করা হল, তা স্পষ্ট করা হোক। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও, এই নিয়ে শাসকদলের তরফে সুস্পষ্টভাবে কিছু জানানো হয় নি – শুধু বলা হয়েছে, অনুপমবাবু নাকি সোশ্যাল মিডিয়ায় বিতর্কিত পোস্ট করতেন, যা দলকে বিব্রত করত। তাই তাঁকে বহিস্কারের সিদ্ধান্ত নেওয়া হয়েছে। আর এরপরেই জল্পনা শুরু হয়ে যায় – তাহলে কি সৌমিত্রবাবুর দেখানো পথেই অনুপম হাজরাও এবার বিজেপিতে যোগ দিতে চলেছেন? রহস্য বাড়িয়ে, অনুপমবাবু এই নিয়ে সরাসরি হ্যাঁ বা না বলে ভবিষ্যতের উপর জন্য অপেক্ষা করতে বলেছেন। এদিকে, সৌমিত্র খাঁয়ের বিজেপিতে যোগদানের পর মুকুল রায় স্বয়ং জল্পনা বাড়িয়ে বলেছেন – আসন্ন লোকসভা নির্বাচনের আগেই শাসকদলের আরও সাংসদ, বিধায়ক বা নেতা গেরুয়া শিবিরে যোগদান করবেন। পাশাপাশি গতকাল তাঁর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত এক সংখ্যালঘু নেতা পোস্ট করেন – আগামীকাল টি-২০ স্টাইলে হাত খুলে ব্যাটিং করবেন মুকুল রায়। ফলে জল্পনা আরো বেড়েছে – তাহলে কি অনুপম হাজরা বা অন্য কোন শাসকদলের নেতা আজ আবার বিজেপিতে যোগদান করছেন? সব জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটাতে আরও কয়েক ঘন্টার অপেক্ষা করতেই হবে বলে মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। আপনার মতামত জানান -