বাংলা এখন পাখির চোখ,ভোট জিততে কি ছক তৈরী বিজেপির? রাজ্য December 19, 2017 মোদি-রাজ্যে ক্ষমতা কায়েম রেখে কংগ্রেসের থেকে হিমাচল প্রদেশ কেড়ে নিয়েছে পদ্ম শিবির।এখন তাদের একমাত্র লক্ষ্য দিদির বাংলা।উত্তরপ্রদেশে বিপুল জয়ের পর টার্গেট ছিল উত্তর-পূর্ব ভারত,সেইমতো অসম , মণিপুরে ও বিহারে তারা সফল গেরুয়া ধ্বজা ওড়াতে।মাঝে বাদ রয়ে গেছে বাংলা, ওড়িশা আর ত্রিপুরা। আপাতত এই তিন রাজ্যেই পাখির চোখ বিজেপির।এরই মধ্যে বাংলায় পঞ্চায়েত ভোট ও ২০১৯ এ লোকসভা ভোটের দামামা বেজে গেছে ।বাংলা বিজয়ের লক্ষ্যে মোদি-অমিত শাহরা কতকগুলি পরিকল্পনা তৈরি করেছেন। তারমধ্যে প্রথম লক্ষ্যই হল বাংলায় সংগঠন বাড়ানো সেই লক্ষ্যেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এর ট্রাম কার্ড দলিত ও সংখ্যালঘু ভোটে ভাগ বসানোর চেষ্টা করছে বিজেপি।পাশাপাশি মুকুল রায়ের মতো তৃণমূলের শীর্ষ নেতা কে দলে নেওয়ায় তৃণমূলের দল ভাঙ্গনের লক্ষ্যও উড়িয়ে দেওয়া যাচ্ছে না।পাশাপাশি তাঁকে দিয়ে সেইমতো তৃণমূলের নিচুতলার ও বিক্ষুব্ধ কর্মীদের দলে টানার প্রক্রিয়াও শুরু হয়ে গিয়েছে। ২০১৬র বিধানসভা ভোটে বিজেপি তেমন দাগ না কাটতে পারলেও ভুল থেকে শিক্ষা নিয়ে নতুন পরিকল্পনায় দেখা যাবে অমিত শাহর দলের নেতাদের এমন টাই মত রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞদের। সেই লড়াইয়ে রাম নবমীর মতো উৎসবকে রাজনীতির আঙিনায় ব্যাবহার হোক কিংবা তৃণমূলের সংখ্যালঘু তোষণের রাজনীতি সবেতেই সুপারহিট পদ্ম। পদ্মের এই উত্থানে জুবুথুবু তৃণমূলের শীর্ষ স্থানীয় নেতারা ।একদিকে সারদা-নারদা, অন্যদিকে রাম নবমীর অস্ত্র মিছিলে দলগত সাফল্য সবই কাঁটার মতো গলায় আটকে। তারই জেরে হনুমান জয়ন্তী যাতে হাইজ্যাক না হয়ে যায় তারজন্য উঠে পড়ে লেগেছিল শাসকদল।বঙ্গে পদ্ম ফোটাতে ঘাসফুলের বিরুদ্ধে লাগাতার প্রচারই একমাত্র পথ বলে মনে করছে বিজেপি শিবির । সেক্ষেত্রে কতটা সফল মোদি-অমিত শাহ -দিলীপ ঘোষ রা তা বলবে ভোটের অঙ্ক .. আপনার মতামত জানান -