এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > এক্সিট পোলের দেখানো পথে কালকের ফলাফল সামনে এলেই মুকুল রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে বড়সড় তোফা?

এক্সিট পোলের দেখানো পথে কালকের ফলাফল সামনে এলেই মুকুল রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে বড়সড় তোফা?


ভোটগ্রহণ পর্ব শেষ – এখন অপেক্ষা আগামীকালের ফলাফল ঘোষণার। কি হয়, কি হয় মনোভাব নিয়ে অপেক্ষার প্রহর গুনছে সব রাজনৈতিক দলই। তবে, সেই ফলাফল ঘোষণার আগে, বিভিন্ন সংস্থার করা এক্সিট পোল ইঙ্গিত দিচ্ছে, কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হিসাবে ফিরছেন নরেন্দ্র মোদী, একইসঙ্গে বাংলাতেও দুর্দান্ত ফলাফল করতে চলেছে গেরুয়া শিবির। তবে এ সবই ইঙ্গিত – তা বাস্তবের সঙ্গে কতটা মিলবে তার জন্য গামিকাল পর্যন্ত অপেক্ষা করা ছাড়া উপায় নেই।

তবে, এর মধ্যেই জল্পনা ছড়াতে শুরু করেছে, নরেন্দ্র মোদী যদি দ্বিতীয়বারের জন্য প্রধানমন্ত্রী হন এবং বাংলায় বিজেপি যদি কাঙ্খিত ফল করতে পারে, তাহলে বিজেপি নেতা মুকুল রায়ের জন্য অপেক্ষা করছে বড়সড় তোফা। একদা মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ঘনিষ্ঠ অনুগামী বলে পরিচিত এবং তৃণমূল নেত্রী রেলমন্ত্রক ছেড়ে বাংলার মুখ্যমন্ত্রীর কুর্সিতে এসে বসলে, তাঁর ফেলে আসা রেলমন্ত্রীর আসনে দীনেশ ত্রিবেদীর স্থলাভিষিক্ত হওয়া মুকুল রায়, আপাতত মমতা ব্যানার্জির বিরুদ্ধে জেহাদ ঘোষণা করে গেরুয়া শিবিরে নাম লিখিয়েছেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে গেরুয়া শিবিরের গুরুত্বপূর্ণ নেতা হয়ে সেইভাবে কোনো পদেই তিনি নেই। দলে যোগ দেওয়ার বহুদিন বাদে তাঁকে ন্যাশনাল এক্সিকিউটিভ কমিটির মেম্বার করা হয়। আর তারপরেই, তাঁকে দেওয়া হয় বাংলার নির্বাচনী পর্যবেক্ষকের দায়িত্ব। ফলে মুকুল রায়ের অনুগামীরা যেন কিছুটা মনমরা! তবে, তাঁদের প্রিয় নেতা যদি এবার সত্যিই বাংলায় বিজেপিকে দুর্দান্ত ফলাফল উপহার দিতে পারেন, তাহলে হাসি ফুটতে চলেছে তাঁদের মুখে। কেননা, রাজধানীর রাজনীতিতে জল্পনা ছড়িয়েছে, সেক্ষেত্রে মোদী মন্ত্রিসভার রেলমন্ত্রীর নাম হতে চলেছে মুকুল রায়।

কেন মুকুল রায়? কেন রেলমন্ত্রী? এই দুই প্রশ্নের উত্তরে যা জানা যাচ্ছে, বিজেপির তরফে ডাক দেওয়া হয়েছে – উনিশে হাফ, একুশে সাফ! অর্থাৎ কেন্দ্রে দ্বিতীয়বারের জন্য মোদী সরকার এলে, বাংলার তৃণমূল সরকারকে উৎখাত করতে উঠেপড়ে লাগবে গেরুয়া শিবির। আর সেক্ষেত্রে মুকুল রায়ের মত নেতাকে রেলমন্ত্রী করা হলে, গেরুয়া শিবিরে এলে যে যোগ্য সম্মান দেওয়া হয় – তা দলবদলে ইচ্ছুক নেতা-নেত্রীদের কাছে বার্তা দেওয়া যাবে। অন্যদিকে, মুকুল রায় ইতিমধ্যেই রেলমন্ত্রক সামলে এসেছেন, ফলে এই গুরুত্বপূর্ণ মন্ত্রক সামলাতে তাঁর কোনো অসুবিধাই হওয়ার কথা নয়। তাছাড়া রেলমন্ত্রী থেকে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হওয়ার ভুরি ভুরি উদাহরণ ভারতের ইতিহাসে আছে। হাতের কাছেই তো নীতিশ কুমার আর মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের উদাহরণ জ্বলজ্বল করছে!

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!