খড়্গপুরে প্রেমচাঁদ ঝায়ের নাম ভেসে উঠতেই তীব্র অসন্তোষ বিজেপির স্থানীয় মহলেই মেদিনীপুর রাজ্য October 30, 2019 ক্রমশ জমজমাট হচ্ছে বাংলার ৩ আসনের উপনির্বাচনের রাজনৈতিক চিত্রপট! মাঝে কদিন উৎসবের জন্য বাংলার টানটান উত্তেজনাপূর্ন রাজনৈতিক আবহ যেন একটু থিতিয়ে পড়েছিল! কিন্তু, পুজো মিটতে না মিটতেই রাজ্যের ৩ আসনের উপনির্বাচন ঘোষণা হয়ে যেতেই – আবার বঙ্গ-রাজনীতি স্বমহিমায়! কোন আসনে কে প্রার্থী হবেন বা বাম-কংগ্রেস জোট হবে কিনা – এই সব নিয়েই চায়ের কাপে উঠছে তুফান! এর মাঝেই, সবথেকে বেশি উৎসাহ খড়্গপুর-সদর বিধানসভা আসন নিয়ে। এই আসন থেকেই জিতে বিধায়ক হন বিজেপি রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ। শুধু তাই নয়, এই আসনকে কার্যত নিজের খাসতালুক বানিয়ে ফেলেছিলেন কংগ্রেসের জ্ঞান সিংহ সোহনপাল ওরফে চাচা। কিন্তু, সেই চাচাকেই তাঁর জীবনের শেষ নির্বাচনে দিলীপবাবুর কাছে হেরে যেতে হয়। আর পরে, মেদিনীপুর থেকে জিতে সাংসদ হওয়ায়, দিলীপবাবু এই আসনে ইস্তফা দিতেই এখানে হতে চলেছে উপনির্বাচন। বিগত বেশ কয়েকদিন ধরেই জল্পনা চলছে, এই আসনে বিজেপি প্রার্থী হতে পারেন দিলীপবাবুর অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত নেতা প্রেমচাঁদ ঝা। এমনকি, এই কেন্দ্রের জন্য নাকি শুধু তাঁরই নাম দিল্লিতে পাঠানো হয়েছে। কিন্তু এই খবর প্রকাশ্যে আসতেই, বিজেপি স্থানীয় মহলে শুরু হয়েছে তীব্র অসন্তোষ বলে খবর! নাম প্রকাশে অনিচ্ছুক একাধিক বিজেপি নেতার বক্তব্য, এই আসনে তৃণমূলের সাম্ভাব্য প্রার্থী হতে চলেছেন দীনেশ ত্রিবেদী। তাঁর বিরুদ্ধে হাই-ভোল্টেজ লড়াইয়ে প্রেমচাঁদ ঝাকে দিলে, বিজেপিকে অনেক পিছিয়ে থেকে নাকি শুরু করতে হবে! আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু, কেন এমন ভাবনা? তাঁদের বক্তব্য, প্রেমচাঁদ ঝা আগে আরজেডি করতেন, এমনকি আরজেডির টিকিটে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করে হারেনও। পরে তিনি বিজেপিতে এসে বিজেপির টিকিট পান, সেখানেও হারেন। ফলে, ইতিমধ্যেই এই নিয়ে একটা চাপা অসন্তোষ কাজ করছে। এছাড়াও, বিজেপির রাজ্য সভাপতি তথা সাংসদ দিলীপ ঘোষ যখন বিধায়ক ছিলেন, সেই সময় প্রেমচাঁদবাবু তাঁর প্রতিনিধি ছিলেন। দিলীপবাবুকে দলের কাজে গোটা রাজ্য চষে বেড়াতে হত। ফলে, বিধানসভার কাজ সবটাই দেখতেন প্রেমচাঁদবাবু। কিন্তু, তাঁর হাত ধরে সেভাবে নাকি উন্নয়নই হয় নি। তার পরেও মানুষ দুহাত উজাড় করে লোকসভাতে ভোট দিয়েছেন। কেননা ভোটটা ছিল নরেন্দ্র মোদী ও দিলীপ ঘোষের জন্য। কিন্তু, এই আসনে প্রেমচাঁদবাবু দাঁড়ানো মানেই, সেই উন্নয়ন না হওয়ার ক্ষোভের একটা বহিঃপ্রকাশ হওয়ার সমূহ সম্ভাবনা। তাছাড়া সহ-সভাপতি হিসাবে তিনি টিকিটের দাবিদার হলে, আরেক সহ-সভাপতি গৌতম ভট্টাচার্য কি দোষ করলেন? বাকি আরও অনেক ধারে ও ভারে এগিয়ে থাকা নেতা রয়েছেন, তাঁরা কি দোষ করলেন? উঠছে সেই প্রশ্নও! সব মিলিয়ে, দিলীপবাবুর ঘনিষ্ঠ এই নেতাকে টিকিট দেওয়ার সম্ভাবনা উজ্জ্বল হতেই তীব্র অসন্তোষের বাতাবরণ গেরুয়া শিবিরের অন্দরমহলেই। এমনকি, প্রয়োজনে, তাঁর প্রার্থীপদ আটকাতে দিল্লিতে পর্যন্ত দরবার করার কথা ভাবছেন একাংশ! এখন দেখার এই ডামাডোল উপেক্ষা করে দিলীপবাবুর ঘনিষ্ঠ এই নেতাকেই টিকিট দেন দিল্লির কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব? নাকি, দলীয় কর্মীদের ক্ষোভকে সম্মান দিয়ে অন্য কোনো প্রার্থীকে সামনে নিয়ে আসা হয়? নাকি স্থানীয় এই দ্বন্দ্বকে চাপা দিতে ও দীনেশ ত্রিবেদীর মত হেভিওয়েটের মোকাবিলাতে – কোনো হেভিওয়েট নেতাকে টিকিট দিয়ে এক ঢিলে দু পাখি মারার ব্যবস্থা করা হয়! আপনার মতামত জানান -