এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃণমূলের মহা-ব্রিগেডে রাহুল গান্ধীর অবস্থান সুবিধা করে দিল বিজেপির, হাত কামড়াচ্ছে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট

তৃণমূলের মহা-ব্রিগেডে রাহুল গান্ধীর অবস্থান সুবিধা করে দিল বিজেপির, হাত কামড়াচ্ছে কংগ্রেস-বামফ্রন্ট


বর্তমানে সাড়া দেশের রাজনৈতিক পরিস্থিতি যাই হোক না কেন – বাংলার ক্ষেত্রে সমীকরণটা একদম সোজা। হয় তৃণমূল-পন্থী, নাহয় তৃণমূল বিরোধী। একদিকে যখন শাসকদলের কর্মী-সমর্থকদের দাবি বাম জামানায় রাজ্য যতখানি পিছিয়ে পড়েছিল, রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী হিসাবে দায়িত্ব নিয়ে বিপুল ঋণের বোঝা মাথায় নিয়েও রাজ্যজুড়ে শুধুই উন্নয়ন করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের পরিস্থিতি পুরোটাই পাল্টে দিয়েছেন। অন্যদিকে বিরোধীদের অভিযোগ, ‘উন্নয়ন’ হয়েছে শুধু তৃণমূল নেতাদের – রাজ্য চলে গেছে আরও গভীর অন্ধকারে।

এই পরিস্থিতিতে দাঁড়িয়ে রাজ্য-রাজনীতিতে বিজেপির তীব্র উত্থান। শ্যামাপ্রসাদ মুখোপাধ্যায়ের হাত ধরে বিজেপির প্রবর্তন হলেও, বাংলায় সেভাবে কোনোদিনই পাপড়ি মেলে নি পদ্মশিবির। কিন্তু, ২০১৬ নির্বাচনে বামফ্রন্ট-কংগ্রেস জোট করেও পরাভূত হওয়ার পর এবং হাতে গোনা যে কজন বামফ্রন্ট বা কংগ্রেস বিধায়ক ছিলেন – তাঁদের শাসকদলে যাওয়ার হিড়িকে – বিরোধীদের ভরসার জায়গা বলতে এখন বিজেপি। আর তাই, রাজ্যজুড়ে সাংগঠনিক শক্তি সেভাবে না বাড়িয়েও – প্রতিটি নির্বাচনেই লাফিয়ে লাফিয়ে বাড়ছে বিজেপির ভোট।

এই পরিস্থিতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে – আরেকবার জোট করে তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে টক্কর নেওয়ার পরিকল্পনায় ছিল বিধান ভবন ও আলিমুদ্দিন স্ট্রিটের কর্তারা। কেননা বর্তমান পরিস্থিতিতে, রাজ্যের শাসন ক্ষমতায় ফেরা তো দূরের কথা – এই দুই শক্তির কাছে মহা চ্যালেঞ্জ আপাতত বিজেপির দ্বিতীয় স্থান পাওয়া আটকানো। কিন্তু, তা করতে গেলে যে তৃণমূলের বিরুদ্ধে লড়াইয়ের বার্তাটা দেওয়া দরকার ছিল – কংগ্রেসের সর্বভারতীয় সভাপতি রাহুল গান্ধী সেই তৃণমূলের পাশে দাঁড়িয়েই কার্যত ভরাডুবি ঘটিয়ে দিলেন কংগ্রেস ও বামফ্রন্টের।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

আগেই, রাহুল গান্ধী জানিয়েছিলেন তৃণমূল কংগ্রেসের ব্রিগেডে সমর্থন জানিয়ে লোকসভার বিরোধী দলনেতা মল্লিকার্জুন খাড়গেকে কংগ্রেসের তরফে পাঠানো হবে। আর তার উপরে গতকাল আবার তৃণমূল কংগ্রেসকে সনর্থন জানিয়ে বিশেষ বার্তা পাঠিয়েছেন রাহুল গান্ধী – যেখানে তৃণমূল কংগ্রেসের প্রশংসায় একের পর এক গালভরা বিশেষণ। আর এই সবের পরিপ্রেক্ষিতে কংগ্রেস নেতারা যখন তৃণমূলের ‘ অপশাসন এবং অগণতান্ত্রিক আচরণের’ জিগির তুলে ভোট চাইতে যাবেন – তখন জনতার প্রশ্নের সামনে দাঁড়ানোর জায়গায় থাকবেন তো? প্রশ্ন রাজনৈতিক মহলের।

কেননা, একবার কংগ্রেসের শীর্ষনেতা তৃণমূলকে ‘দুর্দান্ত’ সার্টিফিকেট দিচ্ছেন – আবার সেই দলেরই রাজ্য নেতারা বলছেন তৃণমূল ‘গণতন্ত্র ধ্বংস’ করছে – এতো সহজ সমীকরণ হতে পারে না। আর এই পরিস্থিতিতে কংগ্রেসের সঙ্গে জোটে গেলে – মুখ দেখানোর বা মানুষের প্রশ্নের উত্তর দেওয়ার জায়গায় থাকবেন না বাম নেতারাও। কার্যত তৃণমূলের ‘বি’ বা ‘সি’ টিমের মর্যাদা পেতে হবে। আর সেই পরিস্থিতিতে আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে চতুর্মুখি লড়াই হলে সব থেকে বেশি ফায়দা পাবে যে দলটি তার নাম বিজেপি। আর কে বলতে পারে – তৃণমূল বিরোধী ভোট তাদের বাক্সেই এসে হাওয়া ঘুরিয়ে দিতেও পারে! আশায় মুরলীধর সেন লেনের নেতারা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!