আগাম জামিনের ফাঁক গলে কি ‘জেলযাত্রা’ আটকাতে পারবেন রাজীব কুমার? জল্পনা চরমে কলকাতা জাতীয় বিশেষ খবর May 17, 2019 আর মাত্র মাঝের একটা দিন – তারপরেই সরকারিভাবে শেষ হতে চলেছে দেশের সপ্তদশ লোকসভা নির্বাচনের ভোটগ্রহণ পর্ব। আর তা মিটে গেলেই অপেক্ষা ২৩ তারিখের – যেদিন বোঝা যাবে ভারতের জনতার রায়ে দেশের পরবর্তী সরকার চালানোর শাসনভার কাদের হাতে যেতে চলেছে। কিন্তু, এইসব উত্তেজনার মধ্যেও বঙ্গ-রাজনীতি এসে দাঁড়িয়েছে এক নতুন সন্ধিক্ষনে! আজকেই সমস্ত জল্পনা-কল্পনার অবসান ঘটিয়ে দেশের সর্বোচ্চ আদালত কেড়ে নিয়েছেন তৃণমূল নেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মতে পৃথিবীর শ্রেষ্ঠ পুলিশ অফিসার রাজীব কুমারের ‘রক্ষাকবচ’, এতদিন সিবিআইয়ের উপর সুপিরিম কোর্টের নির্দেশ ছিল রাজীব কুমারকে কোনোমতেই গ্রেপ্তার করা যাবে না। কিন্তু আজ সুপ্রিম কোর্ট জানিয়ে দিয়েছে, তদন্তের স্বার্থে সিবিআই যদি মনে করে, রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করতে পারে। কিন্তু, এতবড় সিদ্ধান্ত ঘোষণার পাশাপাশি দেশের সর্বোচ্চ আদালত জানিয়েছে, রাজীব কুমার যদি মনে করেন, তাহলে আগামী সাত দিনের মধ্যে হাইকোর্ট থেকে আগাম জামিনের জন্য আবেদন করতে পারেন। আর এই সিদ্ধান্তের ফলেই বেশ উল্লসিত রাজীব কুমারের আইনজীবী বিশ্বজিৎ দেব থেকে শুরু করে সাধারণ তৃণমূল সমর্থক। তাঁদের বক্তব্য, সুপ্রিম কোর্টের এই রায়েই প্রমাণিত, রাজীব কুমারকে এক্ষুনি গ্রেপ্তার করা যাবে না। তার থেকেও বড় কথা, আগামী সাত দিনের মধ্যেই কেন্দ্র থেকে বিজেপি সরকারের নাকি পতন হবে – ফলে রাজীব কুমারকে এইভাবে ‘হেনস্থা’ করা বন্ধ হবে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - যদিও, রাজীব কুমারকে নিয়ে তৃণমূল সমর্থকদের আগে বাড়িয়ে সোশ্যাল মিডিয়ায় এই ধরনের বক্তব্য নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করে দিয়েছেন বিরোধীরা। তাঁদের বক্তব্য, রাজীব কুমার তো প্রশাসনের লোক, তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে ‘রাজনৈতিক’ কোনো সম্পর্ক তো নেই! তাহলে কেন তৃণমূল সমর্থকদের এত মাথাব্যথা? অন্যদিকে, সিবিআই এই চিটফান্ড কাণ্ডের তদন্ত করছে সুপ্রিম কোর্টের নির্দেশে, এমনকি বর্তমানে রাজীব কুমারকে গ্রেপ্তার করা যেতে পারে এই সংক্রান্ত রায় দিয়েছে সুপ্রিম কোর্টই, তাহলে কেন্দ্রের সরকারের বদল হোক বা না হোক, তার সঙ্গে সুপ্রিম কোর্টের দেওয়া নির্দেশের ভিত্তিতে সিবিআইয়ের কোনো পদক্ষেপ কিভাবে থেমে যেতে পারে? তাহলে কি কেন্দ্রে সরকারের বদল হলে এই তদন্তকে প্রভাবিত করার কোনো সম্ভবনা আছে? এইসব বিতর্কের মাঝেই, নতুন করে চর্চা শুরু হয়েছে রাজীব কুমারের আগাম জামিনের বিষয়টি নিয়ে। এই প্রসঙ্গে বিভিন্ন আইনি বিশেষজ্ঞদের সঙ্গে কথা বলে যা বোঝা যাচ্ছে, রাজীব কুমারের বিরুদ্ধে সিবিআইয়ের অভিযোগ ছিল, সিটের তদন্তের নামে তিনি নথি নষ্ট করে প্রভাবশালীদের আড়াল করেছেন। আর সিবিআই এই সংক্রান্ত যথেষ্ট নথি-প্রমান তুলে না দিলে এই অভিযোগের পরিপ্রেক্ষিতে সুপ্রিম কোর্ট তাঁকে গ্রেপ্তারির মত সংবেদনশীল বিষয়ে সম্মতি জানাতো না। ফলে, সুপ্রিম কোর্ট যেখানে গ্রেপ্তারির ‘কারণ’ খুঁজে পাচ্ছে, সেখানে দেশের কোনো হাইকোর্ট কি রাজীব কুমারের আগাম জামিনের ‘ঝুঁকি’ নেবে? কেননা আদালতে সব সিদ্ধান্তই হয় উপযুক্ত নথি ও যুক্তির উপর নির্ভর করে। ফলে, সুপ্রিম কোর্ট রাজীব কুমারের জন্য আগাম জামিনের দরজা খুলে দিলেও, সেই ব্যাপারে কিন্তু খুব একটা আশাবাদী শোনায় না আইনি বিশেষজ্ঞদের গলা! আপনার মতামত জানান -