এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম > নিখুঁত সমীকরনেই কি মালদা দখলের পরিকল্পনা সেরে ফেললেন তৃণমূল নেত্রী? বাড়ছে জল্পনা

নিখুঁত সমীকরনেই কি মালদা দখলের পরিকল্পনা সেরে ফেললেন তৃণমূল নেত্রী? বাড়ছে জল্পনা


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত মালদহ জেলায় এবার দলীয় সংগঠনকে চাঙ্গা করতে নয়া পদ্ধতি নিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। যেখানে মৌসম বেনজির নূরকেই সভাপতি রেখে চার নেতাকে গুরুত্বপূর্ণ দায়িত্ব দিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। জানা গেছে, মালদহের চেয়ারম্যান করা হয়েছে মোয়াজ্জেম হোসেনকে। অন্যদিকে কো-অর্ডিনেটর করা হয়েছে মানব বন্দ্যোপাধ্যায়, দুলাল সরকার এবং অম্লান ভাদুড়িকে।

অন্যদিকে মালদহের প্রাক্তন মন্ত্রী কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী এবং বর্তমান ইংলিশবাজার বিধানসভা কেন্দ্রের বিধায়ক নীহাররঞ্জন ঘোষকে রাজ্য কমিটির সম্পাদক করা হয়েছে। এছাড়াও এতদিন মালদহ যুব তৃনমূলের সভাপতি পদ ফাঁকা থাকলেও, এদিন কৃষ্ণেন্দু নারায়ণ চৌধুরী ঘনিষ্ঠ প্রসেনজিৎ দাসকে দেওয়া হয়েছে সেই যুব সভাপতির দায়িত্ব। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মৌসম বেনজির নূরের উপর ভরসা রেখে মোয়াজ্জেম হোসেনকে চেয়ারম্যান করে বাকি তিন নেতাকে জেলার বিভিন্ন এলাকার দায়িত্ব ভাগ করে দেওয়ার চেষ্টা করলেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এক্ষেত্রে মানব মুখোপাধ্যায়ের দায়িত্ব হরিশ্চন্দ্রপুর, চাচল, মালতিপুর এবং রতুয়া এলাকা। অন্যদিকে দুলাল সরকার সামলাবেন ইংরেজবাজার, মালদহ, হবিবপুর এবং গাজোল। আর অম্লান ভাদুড়ীর দায়িত্বের মধ্যে রয়েছে সুজাপুর, মোথাবাড়ি, বৈষ্ণবনগর এবং মানিকচক বিধানসভা কেন্দ্র। রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা বলছেন, গোষ্ঠীদ্বন্দ্বে জর্জরিত মালদহ জেলায় ভালো ফল করতে গেলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের এই ফরমুলা ছাড়া আর বিকল্প কিছু ছিল না।

কেননা কাউকে কোনো দায়িত্ব দিলেই বিরোধী গোষ্ঠী তার ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করতেন। সেক্ষেত্রে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় শীর্ষ নেতাদের মধ্যে দায়িত্ব ভাগ করে দিয়ে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব যেমন বন্ধ করার চেষ্টা করলেন, ঠিক তেমনই সংগঠন চাঙ্গা করার জন্য তাদের নির্দেশ দিলেন।

এদিন এই প্রসঙ্গে মালদহ জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “নেত্রী জেলার সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনার জন্য পাঁচজনের কমিটি গঠন করেছেন। তাদের সকলকে নিয়ে নেত্রীর নির্দেশে আমরা সাংগঠনিক কাজকর্ম পরিচালনা করব। আগামী বিধানসভা ভোটকে সামনে রেখে এখন থেকেই ময়দানে নেমে পড়ব।” তবে চতুষ্কোণ সমীকরণে বিশ্বাস করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের মালদহ জেলায় এই নয়া কমিটি কতটা সাফল্য আনতে পারে, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!