এখন পড়ছেন
হোম > আন্তর্জাতিক > আকাশপথে চীনের হামলা রুখতে বড় পদক্ষেপ ভারতের! চাপে পরে বড়সড় ঢোঁক গিলতে বাধ্য হল জিনপিংয়ের দেশ

আকাশপথে চীনের হামলা রুখতে বড় পদক্ষেপ ভারতের! চাপে পরে বড়সড় ঢোঁক গিলতে বাধ্য হল জিনপিংয়ের দেশ


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ১৫ জুনের রাতে সীমান্ত এলাকায় ঠিক কী হয়েছিল সে ব্যাপারে এখনও স্পষ্ট নয় সমগ্র ঘটনা। বিভিন্ন মহল থেকে ব্যাখ্যা দেওয়া হলেও তাতে থেকে যাচ্ছে একাধিক প্রশ্ন। এরপর দুই দেশের মধ্যে গোলাগুলি না চললেও লাদাখ সংলগ্ন সীমানা রেখা বরাবর এখানও থমথমে পরিবেশ। এরই মধ্যে সোমবার ফের বৈঠক হয়েছে দুই দেশের সেনা পর্যায়ে। সকাল সাড়ে ১১টা থেকে শুরু হয়ে বৈঠক চলে প্রায় ১১ ঘণ্টা। সেখানে কী আলোচনা হয়ে তা পুঙ্খানুপুঙ্খ জানা না গেলেও, এখনও চিনের দিকে অস্ত্র বাগিয়ে রেখেছে ভারত। ভারতের মিসাইল দেখে এখন চিনও কিছুটা চাপে।

আকাশপথে চিনের সম্ভাব্য হামলা রুখতে মাটি থেকে আকাশমুখী (এসএএম) ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করা হল লাদাখে। প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখার ওপারে গত ক’দিনে চিনা বায়ুসেনার সক্রিয়তা দেখেই ওই পদক্ষেপ করা হয়েছে। যদিও সরকারিভাবে প্রতিরক্ষা মন্ত্রক এ বিষয়ে নীরব।

এই তৎপরতার মধ্যেই সোমবার পূর্ব লাদাখে চুসুল সেক্টরে ফের বৈঠকে বিসেছিলেন দু’দেশের শীর্ষ সেনা কর্তারা। ভারতীয় সেনা সূত্রের খবর, বৈঠকে চিনের পক্ষ থেকে এই প্রথম স্বীকার করা হল যে, ১৫ জুনের সংঘর্ষে তাদেরও এক কমান্ডিং অফিসারের মৃত্যু হয়েছে।

এত দিন চিন সরকারিভাবে কোনও মৃত্যুর কথা স্বীকার করেনি। চিনের ৪৩ জন হতাহতের কথা ভারতীয় সেনার কোনও কোনও সূত্রে বলা হয়েছিল। চিনের একাধিক সেনা যে ভারতের হাতে আটক হয়েছিলেন, সে কথাও সামনে এসেছিল। আজ চিনের তরফে পদস্থ সেনা অফিসারের মৃত্যুর কথা মেনে নেওয়া হল প্রথম। পাশাপাশি চিন সরকারের মুখপাত্র বলে পরিচিত ‘গ্লোবাল টাইমস’ সংবাদপত্রে দাবি করা হয়েছে, সংঘর্ষে ভারতের চেয়ে কম সেনা মারা গিয়েছে চিনের। সংখ্যা জানাজানি হলে ভারত ‘চাপে পড়ে যাবে’ তাই সংখ্যা প্রকাশ করা হয়নি!

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

তবে সূত্রের মতে, এ দিনের বৈঠকেও অধিকৃত জমি না ফেরানোর প্রশ্নে অনড় থাকে চিন। জবাবে প্রকৃত নিয়ন্ত্রণরেখায় অস্ত্র ব্যবহারের নীতিতে পরিবর্তন আনার বিষয়টি এদিন চিনকে জানিয়ে দিয়েছে ভারত। সীমান্তের পরিস্থিতি ও বাহিনীর পরিকাঠামো খতিয়ে দেখতে জম্মু-কাশ্মীর ও লে যাওয়ার কথা রয়েছে সেনাপ্রধান এম এম নরবণের।

সূত্রের মতে, ভারত জানায়, গত ৪মে-র আগে পর্যন্ত পরিস্থিতি স্বাভাবিক ছিল। কোনও অনুপ্রবেশ হয়নি। সেই স্থিতাবস্থা ফিরিয়ে আনতে হবে। নয়াদিল্লির আশঙ্কা, চিনা সেনা প্যাংগং লেক ও ফিঙ্গার ফোর থেকে এইট এলাকায় যে ভাবে স্থায়ী বাঙ্কার গড়তে শুরু করেছে, তাতে তারা সহজে ফিরে যাওয়ার জন্য আসেনি বলেই মনে হচ্ছে। সেই আশঙ্কা সত্যি করে ফিরে যাওয়ার প্রশ্নে নীরব থাকে চিন।

উল্টে ভারতকে লাদাখ সীমান্ত থেকে সেনা সরানোর জন্য বৈঠকে চাপ দেওয়া হয়। ভারত পাল্টা জানায়, গালওয়ানের মতো সংঘর্ষের পরিস্থিতিতে ভবিষ্যতে আগ্নেয়াস্ত্র ব্যবহার করবে সেনা। যা নিয়ে আপত্তি জানায় লাল ফৌজ।
এ দিকে চিনের ভূখণ্ডে তিব্বতের নগৈরি-সহ একাধিক বায়ু ঘাঁটিতে সক্রিয়তা ও চপারের আনাগোনা দেখে ভারতের তরফে ক্ষেপণাস্ত্র মোতায়েন করার সিদ্ধান্ত হয়েছে।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!