এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > কলকাতা > তৃনমূলে কি এখন ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু হল? পদ হারালেন হেভিওয়েট নেতা!

তৃনমূলে কি এখন ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু হল? পদ হারালেন হেভিওয়েট নেতা!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –তৃনমূলে কি এখন ডানা ছাটার প্রক্রিয়া শুরু হল? এবার ডোমকল পৌরসভায় কড়া সিদ্ধান্ত নিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী?এমনটাই অভিযোগ উঠলো। জানা গেছে, ডোমকল পৌরসভায় তৃনমূলের উপপ্রধান প্রদীপ চাকীকে সরিয়ে দিল তৃনমূল কংগ্রেস। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত জুলাই মাসে সৌমিক হোসেনের বিরুদ্ধে ডোমকল পৌরসভায় একটি অনাস্থা আনা হয়। অভিযোগ ওঠে, সৌমিকবাবুকে তার পদ থেকে সরানোর জন্য উপপ্রধান প্রদীপ চাকী নানাভাবে চেষ্টা শুরু করেছিলেন। যার জেরে তীব্র বিড়ম্বনা তৈরি হয়েছে দলের অন্দরে। আর তাই সেই দ্বন্দ্ব মেটাতে এবার প্রদীপবাবুকে তার পদ থেকে সরিয়ে দিলেন শুভেন্দু অধিকারী বলে মনে করছে রাজনৈতিক মহল।

এদিন এই প্রসঙ্গে এক তৃণমূল নেতা বলেন, “পুরপ্রধান না হতে পেরে প্রদীপ দলেরই পুরপ্রধানের পিছনে লেগেছিলেন। এবার তাকে ফল ভুগতে হল।” অন্যদিকে এই ব্যাপারে ডোমকল পৌরসভার পৌরপ্রধান রাফিকুল ইসলাম বলেন, “যা হয়েছে, তা দলেরই নির্দেশে হয়েছে। যা করেছি তা অন্য কাউন্সিলরদের সম্মতিতে।” অন্যদিকে ডোমকল পৌরসভার প্রাক্তন পুরপ্রধান সৌমিক হোসেন বলেন, “যা হয়েছে, সেটা এই মুহূর্তে ঠিক হয়েছে বলে আমার মনে হয়নি। এখন চারিদিকে বিজেপির বাড়বাড়ন্ত। ফলে এই ঘটনা নিয়ে সুবিধা নিতে পারে গেরুয়া শিবির।”

এদিকে যাকে সরিয়ে দেওয়া নিয়ে এত কিছু, সেই প্রদীপ চাকী কি বলছেন! এদিন তিনি বলেন, “অন্যায় মানতে পারিনি। নানা দুর্নীতির প্রতিবাদ করেছিলাম বলেই হয়ত সরিয়ে দেওয়া হল।” তবে যেভাবে দলের পুরপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হল, তাতে তৃণমূলের অন্দরে এখন ব্যাপক জলঘোলা পরিস্থিতি তৈরি হয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

একাংশের মতে, বর্তমান পরিস্থিতিতে পৌর প্রধানকে সৌমিক হোসেনের এই মন্তব্য অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ। তিনি বলার চেষ্টা করলেন যে, বর্তমান সময়ে এই ধরনের সিদ্ধান্ত নিয়ে বিপাকে পড়তে হতে পারে। অর্থাৎ এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে বিরোধীরা তৃণমূলকে আরও বেশি করে চেপে ধরতে পারে বলে বোঝানোর চেষ্টা করেছেন এই তৃণমূল নেতা। অন্যদিকে মুর্শিদাবাদ জেলায় বর্তমানে তৃণমূলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। শুভেন্দু অধিকারী চেষ্টা করলেও, কংগ্রেস ধীরে ধীরে নিজেদের ঘাঁটি শক্ত করতে শুরু করেছে অধীর রঞ্জন চৌধুরীর হাত ধরে।

তাই সেদিক থেকে সংখ্যালঘু অধ্যুষিত এই জেলায় একদিকে কংগ্রেস এবং অন্যদিকে হায়দ্রাবাদের এআইএমআইএম যখন সক্রিয়, তখন এভাবে যদি গোষ্ঠী কোন্দল চলতে থাকে তৃণমূল কংগ্রেসের, তাহলে তাদের পক্ষে এই জেলায় ঘাসফুল ফোটানো অত্যন্ত কঠিন হয়ে যাবে বলেই মনে করছে একাংশ। তাই এখন একদিকে দলের দুর্নীতি এবং অন্যদিকে গোষ্ঠী কোন্দলকে দমাতে তৃণমূলের পক্ষ থেকে হেভিওয়েট পুরপ্রধানকে সরিয়ে দেওয়া হলেও, তাতে কতটা ভালো হয় শাসকদলের, তার দিকেই নজর থাকবে সকলের। তবে একাংশ বলছেন, এর ফলে শাসকদলের ভালো অপেক্ষা আরও বেশি বিরম্বনা বাড়বে। এখন গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে মোড় নেয়, তার দিকেই তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!