শুভেন্দুর রোষের মুখে একাধিক প্রভাবশালী নেতা! পদ হারানোর ভয়ে কাঁপছে শাসকদলের অন্দরমহল! তৃণমূল মালদা-মুর্শিদাবাদ-বীরভূম রাজনীতি রাজ্য June 23, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দলের তরফে কড়া বার্তা দেওয়া সত্ত্বেও কিছুতেই শোধরানো যাচ্ছে না। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায় থেকে শুরু করে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় প্রত্যেকেই বিভিন্ন জেলা নেতাদের বার্তা দিয়ে বলছেন, এখন দ্বন্দ্ব বন্ধ করুন। বিধানসভা নির্বাচনের লক্ষ্যে এগিয়ে চলুন। কিন্তু সামগ্রিকভাবে নেতাদের সেই কথা শুনে কাজ করতে গিয়ে আবার একে অপরের বিরুদ্ধে সরব হচ্ছেন তৃণমূলের জেলা নেতারা। যার ফলে অস্বস্তি বাড়ছে শাসক শিবিরের। সম্প্রতি এই প্রবণতা দেখা গিয়েছে মালদহ জেলায়। তবে এইভাবে চলতে থাকলে ভবিষ্যতে ভরাডুবি নিশ্চিত, তা দলীয় পর্যালোচনায় বারবার উঠে এসেছে। তাই এমন পরিস্থিতিতে মালদহে দলের গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব বন্ধ করতে এবার কড়া বার্তা দিলেন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক তথা মন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। সূত্রের খবর, সম্প্রতি শুভেন্দুবাবু মালদহ জেলা নেতাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে বৈঠক করেন। সেখানে দলের পরিচালনা নিয়ে একাধিক প্রশ্ন তুলতে দেখা যায় তাকে। তৃণমূল পরিচালিত বিভিন্ন পঞ্চায়েতে অনিয়মের অভিযোগ ওঠায় রীতিমতো ক্ষুব্ধ হন জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষক। বিধানসভা নির্বাচনকে সামনে রেখে দ্রুত দলের জেলা এবং ব্লক কমিটি গঠনের নির্দেশ দেন তিনি। আর ভিডিও কনফারেন্সের বৈঠকে শুভেন্দু অধিকারী একদিকে জনসংযোগ এবং অন্যদিকে দলের সংগঠনকে চাঙ্গা করার বার্তা দেওয়ার সাথে সাথেই মাঠে নেমে পড়েছেন জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর। জানা গেছে, সোমবার সন্ধ্যায় মালদহের নূর ম্যানশনে জেলার বেশ কয়েকজন নেতা নেত্রীকে নিয়ে বৈঠক করেন মৌসমদেবী। তবে বৈঠকে কী নিয়ে আলোচনা হল, তা অবশ্য জানা যায়নি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - কিন্তু জেলা তৃণমূলের পর্যবেক্ষকের করা দাওয়াইয়ের পর জেলা নেতৃত্ব এবার যে নড়েচড়ে বসেছে এবং কিভাবে ভবিষ্যতে পথ চলা যাবে, তার বিষয়ে আলোচনা করতেই যে এই বৈঠক, তা কার্যত স্পষ্ট রাজনৈতিক মহলের কাছে। এদিন এই প্রসঙ্গে জেলা তৃণমূলের সভানেত্রী মৌসম বেনজির নূর বলেন, “দলের সাংগঠনিক বিষয় নিয়ে নেতৃত্বদের সঙ্গে আলোচনা হয়েছে। এর বেশি কিছু বলা সম্ভব না।” বিশেষজ্ঞরা বলছেন, মৌসম নুর দলের অভ্যন্তরীণ কথা বাইরে না বলতে চাইলেও, অনেকেই তা আঁচ করে ফেলেছেন।কেননা মালদহ জেলা তৃণমূলের অবস্থা খুব একটা ভালো নয়। নেতায়-নেতায় গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সবথেকে বেশি অস্বস্তিতে ফেলেছে জেলা নেতৃত্বকে। তাই এমন পরিস্থিতিতে শুভেন্দু অধিকারীর করা বার্তার পর সকলে যে ঐক্যবদ্ধ হতে চাইছেন, তাই এই বৈঠক থেকেই পরিষ্কার হয়ে গেছে। কিন্তু অতীতেও এমন ঘটনা ঘটেছে যে, নেতৃত্বের কড়া বার্তার পর জেলা নেতৃত্ব ঐক্যবদ্ধ হওয়ার জন্য বহু বৈঠক করেছে। কিন্তু তারপরেও সমস্যার সমাধান হয়নি।তাই এবারে শুভেন্দু অধিকারী হস্তক্ষেপ করার পর মৌসম নুর জেলা নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে সমস্যা সমাধান করতে চাইলেও, তা আদৌ কতটা সম্ভব হয়, তার দিকেই নজর থাকবে রাজনৈতিক মহলের। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে অবশ্য দাবি করা হচ্ছে, তৃণমূল যে বৈঠকই করুক না কেন, ভবিষ্যতে বিধানসভা নির্বাচনে মালদহ জেলায় পদ্মফুল ফুটবে। আপনার মতামত জানান -