লোকসভা নির্বাচনে প্রার্থী হচ্ছেন না বঙ্গ বিজেপির এই হেভিওয়েট? নিজেই বাড়ালেন জল্পনা কলকাতা বিশেষ খবর রাজ্য February 23, 2019 আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে বাংলায় যুযুধান সমস্ত রাজনৈতিক দলগুলির মধ্যে প্রার্থী তালিকা নিয়ে সবথেকে বেশি জল্পনা তৈরী হয়েছে গেরুয়া শিবিরকে নিয়েই। এতদিন ঐতিহাসিক ভাবে বাংলায় সেভাবে পদ্ম ফোটেনি সেভাবে, কিন্তু এবারের লোকসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির নাকি ২২-২৩ টি আসন দখল করবে বাংলায় – অন্তত এমনটাই দাবি গেরুয়া শিবিরের সর্বভারতীয় সভাপতি অমিত শাহের। আর অমিত শাহের এহেন ঘোষণার পরেই তুমুল আগ্রহ শুরু হয়েছে বিজেপির প্রার্থী তালিকা নিয়ে। বঙ্গ বিজেপির সদর দপ্তর ৬, মুরলীধর সেন লেনে শয়ে শয়ে আবেদন পত্র জমা পড়েছে প্রার্থী হবার আকুতি নিয়ে। তবে, এই প্রক্রিয়ার বহুদিন আগেই শোনা গিয়েছিল – আসন্ন লোকসভা নির্বাচনে তিনটি আসনে ৩ জন প্রার্থীর নাম চূড়ান্ত গেরুয়া শিবিরের অভ্যন্তরে। আলিপুরদুয়ার থেকে বিধায়ক মনোজ টিগ্গা, মেদিনীপুর থেকে রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষ ও বীরভূম আসন থেকে মহিলা মোর্চার রাজ্যনেত্রী লকেট চট্টোপাধ্যায়। কিন্তু, বর্তমানে শোনা যাচ্ছে একমাত্র আলিপুরদুয়ার থেকে মনোজবাবুর নামটিই ‘কনফার্ম’। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - লকেট চট্টোপাধ্যায় অবশ্যই টিকিট পাচ্ছেন তবে সেটি বীরভূম আসন কিনা নিশ্চিত নয়। অন্যদিকে, বঙ্গ বিজেপির সবথেকে বড় ‘সারপ্রাইজ’ হতে চলেছে স্বয়ং রাজ্য সভাপতি দিলীপ ঘোষের টিকিট পাওয়া। কিন্তু, ঘরের ছেলে হিসাবে মেদিনীপুর আসন থেকে তো দিলীপবাবুর টিকিট একদম নিশ্চিত ছিলই! বিশেষ করে প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদীর মেদিনীপুর জনসভায় যে জনজোয়ার দেখা গিয়েছিল – তারপর মনে করা হচ্ছিল বাংলায় মেদিনীপুর আসনটিই গেরুয়া শিবিরের কাছে সবথেকে নিরাপদ। তাহলে কি এমন হল যে সেখানে বাংলার প্রধান সেনাপতিকে টিকিট না দেওয়ার মত সিদ্ধান্ত হয়ে গেল? এই জল্পনার মূল কারণ স্বয়ং দিলীপবাবুর একটি মন্তব্য – গত মঙ্গলবার কলকাতার এক অভিজাত হোটেলে বিজেপির প্রাথমিক প্রার্থী তালিকা নিয়ে একটি বৈঠক হয়, যেখানে উপস্থিত ছিলেন স্বয়ং দিলীপবাবুও। আর সেই বৈঠকের শেষে জল্পনা বাড়িয়ে তিনি বলেন, লোকসভা নির্বাচনে প্রতিদ্বন্দ্বিতা করব কিনা সেটা দল ঠিক করবে। দল যদি মনে করে নির্বাচনে দাঁড়ালে দল লাভবান হবে, তাহলে দাঁড়াব আর দল যদি মনে করে না দাঁড়ালে আরও বেশি লাভবান হবে, তাহলে দাঁড়াব না! আর দিলীপবাবুর এই শেষ কথাতেই জল্পনা চরমে উঠেছে! এমনকি দলের মধ্যে তাঁর ঘনিষ্ঠ নাম প্রকাশে এক নেতার বক্তব্য, দিলীপবাবুকে বিধানসভা নির্বাচনকে মাথায় রেখেই ৪২ টি লোকসভা আসনে ঘুরে ঘুরে প্রচারের দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে এবং সেক্ষত্রে নাকি বলায় যায়, খুব বড় ‘অঘটন’ না ঘটলে দিলীপবাবুকে প্রার্থী করার থেকে কেন্দ্রীয় নেতৃত্ব প্রচারের দায়িত্বই দিতে বেশি পছন্দ করছে। আপনার মতামত জানান -