এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > ১৯ এর পরেই কি বিজেপিতে যোগ নাকি নতুন দল, রামনগরে ‘মেগা শো’ তে সিদ্ধান্ত জানানোর ঘোষণা শুভেন্দুর

১৯ এর পরেই কি বিজেপিতে যোগ নাকি নতুন দল, রামনগরে ‘মেগা শো’ তে সিদ্ধান্ত জানানোর ঘোষণা শুভেন্দুর


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – শুভেন্দু অধিকারী কী করবেন! এখন এটাই বড় প্রশ্ন রাজ্য রাজনীতিতে। যেভাবে দল এবং সরকারের সঙ্গে দূরত্ব তৈরি করছেন তৃণমূল কংগ্রেসের এই শীর্ষ নেতা, তাতে তাকে নিয়ে জল্পনা ক্রমশ বৃদ্ধি পেতে শুরু করেছে। কবে এই ব্যাপারে নিজের অবস্থান স্পষ্ট করবেন শুভেন্দু অধিকারী! সেই প্রশ্ন যখন জোরালো হতে শুরু করেছে ঠিক তখনই আগামী 19 শে নভেম্বর পূর্ব মেদিনীপুরের রামনগরে মেগাশো করবেন বলে জানিয়ে দিলেন শুভেন্দুবাবু।

অনেকে বলছেন, সেই মঞ্চ থেকেই শুভেন্দু অধিকারী নিজের রাজনৈতিক সিদ্ধান্তের কথা জানিয়ে দিতে পারেন। তিনি এখনও পর্যন্ত তৃণমূল কংগ্রেসের নেতা এবং রাজ্যের হেভিওয়েট মন্ত্রী। এখনও পর্যন্ত তিনি দলত্যাগ করেননি। তবে যেভাবে তার গতিবিধি জল্পনার আঙিনায় এসে দাঁড়িয়েছে, তাতে চিন্তা পারছো শাসকদলের।

বস্তুত, প্রায় দীর্ঘদিন ধরেই পূর্ব মেদিনীপুর জেলার রাজনীতিতে অধিকারী পরিবারের বিরুদ্ধে গোষ্ঠীর নেতা হিসেবে পরিচিত তৃণমূলের অখিল গিরি। আর এবার সেই অখিল গিরির বিধানসভা কেন্দ্রেই আগামী 19 নভেম্বর মেগা শো করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী।

সূত্রের খবর, শনিবার দুপুরে রামনগরের বন্ধুমহল ক্লাবের কালী পুজোর উদ্বোধন করেন শুভেন্দু অধিকারী। আর সেখানেই নাম না করে অখিল গিরিকে কটাক্ষ করেন তিনি। শুভেন্দুবাবু বলেন, “আমি ভালো সময় কম আসি। তবে খারাপ সময়ে শুভেন্দুকে অবশ্যই পাবেন। এখন তো বড় পদে আছি। রুলিং পার্টি। আগে সবাই ডাকতো না। এখন সবাই ডাকে। একটা সময় রামনগরে লুকিয়ে প্রকাশ্যে বহুকষ্টে হাজির থেকেছি। তখন বাম আমল ছিল। তাও সব সময় এলাকায় ঘুরে বেরিয়েছি। তবে তখন অনেক বাহাদুরকে দেখা যায়নি।”

অর্থাৎ শুভেন্দু অধিকারী এই মন্তব্য করে অখিল গিরির দিকেই যে অভিযোগের আঙুল তুলতে চাইলেন, তা কার্যত স্পষ্ট বলে মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে আগামী 19 নভেম্বর তিনি এই রামনগরে সভা করে অনেক কিছু বলবেন বলেও জানিয়ে দেন রাজ্যের পরিবহনমন্ত্রী শুভেন্দু অধিকারী। তিনি বলেন, “রামনগর নিয়ে বলার জন্য অনেকে বলেছিলেন। কিন্তু যা বলতে হয় তা, করতে নেই। আর যা করতে হয় তা বলতে নেই। আগামী 19 শে নভেম্বর আমার সভা আছে আম নগরের আর এস ময়দানে। সমবায় সপ্তাহ নিয়ে। ওখানে অনেক সময় পাব‌। তখন বলব। বলার সুযোগও পাব।”

স্বাভাবিকভাবেই এই সভা থেকে শুভেন্দু অধিকারী নিজের রাজনৈতিক ভবিষ্যৎ নিয়ে অনেক কিছু বলতে পারেন বলেও মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। স্বাভাবিকভাবেই এই ঘটনাকে নিয়ে এখন ব্যাপক জল্পনা তৈরি হয়েছে রাজ্য রাজনীতিতে। এদিকে শুভেন্দুবাবু এই ধরনের কথা বলায় তাকে পাল্টা কটাক্ষ করেছেন রামনগরের তৃণমূল বিধায়ক অখিল গিরি।

তিনি বলেন, “কেউ দলের ঊর্ধ্বে নয়। শুভেন্দু ওইদিন সভা করবেন বলে শুনছি। স্থানীয় বিধায়ক হিসেবে সেই সভার আয়োজকদের বলেছিলাম, মঞ্চে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের ছবি লাগাতে। কিন্তু তারা জানিয়েছেন, মঞ্চে মমতার ছবি দেওয়া হবে না‌। এভাবে চলতে পারে না।” আর তৃণমূল বিধায়কের এই মন্তব্য শুভেন্দু অধিকারীর সঙ্গে দলের দূরত্বকে আরও তীব্র করছে বলেই দাবি বিশেষজ্ঞদের।

যদি আগামী 19 নভেম্বর শুভেন্দু অধিকারী এই সভা থেকে তেমন কোনো মন্তব্য করেন এবং তার পরিপ্রেক্ষিতে তার দলবলের জল্পনা তীব্র হয়, তাহলে তৃণমূল কংগ্রেস ব্যাপকভাবে বেকায়দায় পারবে। এখন শুভেন্দু অধিকারীর এই সভার আগে যখন গোটা রাজ্য রাজনীতি তাকে নিয়ে ফুটতে শুরু করেছে, তখন তৃণমূলের পক্ষ থেকে পরিস্থিতি মোকাবিলা করার জন্য কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করা হয় কিনা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!