এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > ২০২৪-এ ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে রাহুল-বিদায়ে সুর চড়ছে বিক্ষুব্ধ শিবিরের!

২০২৪-এ ঘুরে দাঁড়াতে কংগ্রেসের শীর্ষ নেতৃত্ব থেকে রাহুল-বিদায়ে সুর চড়ছে বিক্ষুব্ধ শিবিরের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – অনেকেই রসিকতা করে বলে থাকেন কংগ্রেস দলে এখন শনির দৃষ্টি চলছে। না হলে যে কংগ্রেস দল গত ২০১৮ সালে এতগুলো বিধানসভার দখল করল বিজেপিকে হারিয়ে, ২০১৯ এর লোকসভা নির্বাচনে আবার মুখ থুবড়ে পড়লো সে কংগ্রেস। শুধু কি তাই, বিজেপিকে হারিয়ে দখল করা রাজ্যগুলির মধ্যে বেশকিছু রাজ্য বিজেপির পুনরায় দখল করে নিল।এই কিছুদিন আগেই তো রাজস্থানে কংগ্রেসের গণেশ উল্টানোর প্রবল আশঙ্কা দেখা গিয়েছিল।

যদিও কোনভাবে সামাল দেয়া সম্ভব হয়েছে কংগ্রেসের পক্ষে। কিন্তু মনিপুর, গুজরাট, ছত্রিশগড়ের মত রাজ্যগুলিতে কংগ্রেসের দলীয় সংগঠনে যথেষ্ট ফাটল দেখা যাচ্ছে, যা মেরামত করা কংগ্রেসের পক্ষে যথেষ্ট কষ্টসাধ্য হয়ে পড়ছে।আর এই পরিস্থিতির মধ্যেই কংগ্রেসের ২৩ জন নেতা আবার কংগ্রেসের সভাপতির বদল চেয়ে সোনিয়া গান্ধীকে চিঠি দিয়েছিলেন। কংগ্রেসের ২৩ জন বিদ্রোহীদের মধ্যে কংগ্রেসের বহু গুরুত্বপূর্ণ নেতারা আছেন যারা কেউই রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি পদে আসীন দেখতে চান না। যাদের মধ্যে আছেন গুলাম নবি আজাদ, কপিল সিব্বলের মতো গুরুত্বপূর্ণ কংগ্রেস নেতারা।

ইতিমধ্যেই এঁরা রাহুল গান্ধীকে কংগ্রেসের সভাপতি না করার দাবি জানিয়েছেন। এবার কংগ্রেসের অপর এক গুরুত্বপূর্ণ নেতা রাহুল গান্ধী সম্পর্কে জানালেন যে, রাহুল গান্ধী যদি আগামী ২০২৪ এর লোকসভা নির্বাচনে কংগ্রেসের সভাপতিত্ব করেন, তবে সেই নির্বাচনে কংগ্রেস জিতবে, এমন সম্ভাবনা তিনি দেখতে পাচ্ছেন না। এ ব্যাপারে তিনি আরো বলেন যে, গত ২০১৪ ও ২০১৯ এর নির্বাচনের পরাজয় থেকে কংগ্রেসের শিক্ষা গ্রহণের যথেষ্ট প্রয়োজন আছে। অল্প কিছুদিন আগেই দলের সভাপতি ও দলের গুরুত্বপূর্ণ নেতৃত্বর পরিবর্তনের দাবি জানিয়ে ২৩ জন কংগ্রেস নেতা চিঠি লিখেছিলেন কংগ্রেস সভানেত্রী সোনিয়া গান্ধীকে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

এই ২৩ জন বিক্ষুব্ধ নেতার তালিকাতে নাম জানাতে অনিচ্ছুক এই বিশেষ কংগ্রেস নেতাও আছেন। এ প্রসঙ্গে তিনি বলেছেন, ” আমরা এমন কোনও জায়গায় নেই যাতে বলা যায়, ২০২৪ লোকসভায় রাহুলের নেতৃত্বে কংগ্রেস ৪০০ আসন জিতবে। আমাদের বুঝতে হবে ২০১৪ এবং ২০১৯ লোকসভা নির্বাচনে আমরা যথেষ্ট আসন পায়নি। শিমলা থেকে নাগপুর পর্যন্ত মাত্র ১৬টি আসন পেয়েছে কংগ্রেস। তার মধ্যেও আবার আটটা শুধু পাঞ্জাবেই। আসলে আজ বাস্তবের মাটি অন্য কথা বলছে। দল যদি কোনও বৈঠক ডাকে তাহলে আমি আমার মতামত জানাতে চাই।”

তবে ২৩ জন বিক্ষুব্ধ কংগ্রেসি নেতা চিঠি দেওয়ার পরও কংগ্রেস এখনো সভাপতিব বদল করেনি। এখনো পর্যন্ত অন্তর্বর্তীকালীন কংগ্রেসের সভানেত্রী পদে আসীন হয়েছেন সোনিয়া গান্ধী। তবে আগামী ৬ মাসের মধ্যে আভ্যন্তরীণ নির্বাচনের মাধ্যমে স্থায়ী সভাপতি নির্বাচিত করার উদ্যোগ নিতে চলেছে কংগ্রেস দল। অন্যদিকে, কংগ্রেসের বেশ কিছু নেতৃত্ব আবার রাহুল গান্ধীকেই পুনরায় কংগ্রেসের সভাপতি পদে অভিষিক্ত করার দাবি জানিয়েছেন কিছু সময় ধরে।

অধিকাংশ কংগ্রেস নেতৃত্ব প্রাক্তন সভাপতি রাহুল গান্ধীকে পুনরায় কংগ্রেস সভাপতির পদে আসীন করতে চেয়েছেন। কিন্তু কংগ্রেস দলের এই বিখ্খুব্ধ নেতারা আবার সম্পূর্ণ উল্টো শুরে গান গাইছেন। ইতিমধ্যেই তাঁরা গান্ধী পরিবারের কোনো সদস্য কংগ্রেসের সভাপতির পদে আসীন দেখতে চান না জানিয়ে দিলেন। জনৈক বিক্ষুব্দ নেতা পরিস্কার ভাবেই জানিয়ে দিলেন, কংগ্রেস সভাপতি নির্বাচন কোন ব্যক্তিগত লড়াই নয়। ভারতের সংবিধান রক্ষার জন্য বিজেপির বিরুদ্ধে একটি শক্তিশালী রাজনৈতিক বিকল্প হিসেবে নিজেকে তৈরি করাই কংগ্রেসের মূল লক্ষ্য বলে তিনি ঘোষণা করলেন।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!