এখন পড়ছেন
হোম > জাতীয় > একুশে জুলাইতে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দেবার পথে বিজেপি- কেন্দ্র থেকে রাজ্য সর্বত্র গেরুয়া কর্মসূচী

একুশে জুলাইতে তৃণমূলকে কড়া টক্কর দেবার পথে বিজেপি- কেন্দ্র থেকে রাজ্য সর্বত্র গেরুয়া কর্মসূচী


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – একুশে জুলাই এর মঞ্চে তৃণমূলের পাশাপাশি এবার হাজির বিজেপিও। তৃণমূল দীর্ঘদিন ধরেই 21 শে জুলাই দিনটিকে শহীদ দিবস হিসেবে পালন করে যাচ্ছে। কিন্তু এবার বিজেপির তরফ থেকেও একুশে জুলাই দিনটিকেই বেছে নেওয়া হল শহীদ দিবস পালনের জন্য। কার্যত, দিল্লির রাজঘাটে বাংলার সাংসদদের নিয়ে শহীদ দিবস পালন করতে ধর্নায় বসতে চলেছেন রাজ্য বিজেপি সভাপতি দিলীপ ঘোষ। পাশাপাশি বাংলায় বিজেপি কর্মসূচির নেতৃত্বে রয়েছেন শুভেন্দু অধিকারী। পূর্ব নির্ধারিত কর্মসূচি অনুযায়ী আজকে দিল্লির রাজঘাটে দিলীপ ঘোষের ধর্নায় যোগ দিয়েছেন বাংলার বেশকিছু সাংসদ।

যেমন- লকেট চট্টোপাধ্যায়, প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী দেবশ্রী চৌধুরী সহ বাংলার অনেকেই। কার্যত দুপুর দেড়টায় ভার্চুয়ালি দিলীপ ঘোষ বক্তব্য রেখেছেন। অন্যদিকে হেস্টিংস থেকে বক্তৃতা দেবেন শুভেন্দু অধিকারী। অন্যদিকে তৃণমূলের পক্ষ থেকে এবার একুশে কর্মসূচিকে সর্বভারতীয় স্তরে পৌঁছে দেওয়ার প্রচেষ্টা হচ্ছে। বাংলায় যেমন পাড়ায় পাড়ায় জায়েন্ট স্ক্রীনের মাধ্যমে মুখ্যমন্ত্রীর ভার্চুয়াল বক্তব্য প্রচার করা হবে, ঠিক সেভাবেই দেশজুড়ে বিভিন্ন রাজ্যে তৃণমূল নেতৃত্বের বক্তব্য ছড়িয়ে দেওয়া হবে। আর সেকারণেই মনে করা হচ্ছে, গেরুয়া শিবির তৃণমূলকে জমি ছাড়তে রাজি নয়। তাঁঁরাও লাইমলাইট কেড়ে নেওয়ার জন্য দিল্লি থেকে বাংলা সর্বত্র কর্মসূচি গ্রহণ করেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

কার্যত একুশে জুলাইয়ের সকাল থেকেই দেখা গেছে, ভোট-পরবর্তী হিংসায় নিহত বিজেপি কর্মীদের স্ত্রী এবং পরিবারের সদস্যদের নিয়ে একটি ভিডিও কোলাজ তৈরি করে বিজেপির পক্ষ থেকে প্রচার করা হচ্ছে। প্রসঙ্গত, একুশের নির্বাচনের ফলাফলের পর থেকেই রাজ্যের ভোট পরবর্তী হিংসা নিয়ে সরব হয়েছে বিজেপি। আর এই বিষয়ে কেন্দ্রীয় নজর কাড়তে বাংলার গেরুয়া শিবির প্রথম থেকেই সচেষ্ট। এক্ষেত্রে দিল্লির বুকে ধর্নায় বসে দিলীপ ঘোষ কতটা কেন্দ্রীয় নজর কাড়তে পারেন সেটাই দেখার। এক্ষেত্রে জানা যাচ্ছে সংসদের বাদল অধিবেশনেও বাংলার গেরুয়া সাংসদরা এই নিয়ে সরব হবেন।

অন্যদিকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে বাংলার বিজেপি জাতীয় স্তরে যদি আন্দোলন করতে পারে, তাহলে জাতীয় স্তরের সংবাদমাধ্যমের নজরেও পড়বেন তাঁরা। সমস্ত হিসাব-নিকাশ করেই একুশে জুলাইকে বেছে নিয়েছে এবার বিজেপি তাঁদের কর্মসূচী পালনের মধ্য দিয়ে তৃণমূলের বিরুদ্ধে আক্রমণ শানাতে। তবে বিশেষজ্ঞদের মতে, তৃণমূল একুশে জুলাইয়ের কর্মসূচি বৃহদাকারে পালন করে প্রতিবার। আর এবার তৃতীয়বারের জন্য রাজ্যের ক্ষমতা পাওয়ার পর একুশে জুলাই এর মঞ্চ ভার্চুয়ালি হলেও তার গুরুত্ব অপরিসীম। কারণ সর্বভারতীয় স্তরে তৃণমূল নেত্রী বার্তা রাখছেন এবার। তাই সেদিকেই এখন নজর জাতীয় ওয়াকিবহাল মহলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!