এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > 26 এর আগেই তৃনমূল বিদায়? শাসকের অন্দরে চরম ধাক্কা শুভেন্দুর! উত্তাল রাজ্য!

26 এর আগেই তৃনমূল বিদায়? শাসকের অন্দরে চরম ধাক্কা শুভেন্দুর! উত্তাল রাজ্য!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- যারা একটু স্বাধীন ভাবে বাঁচতে চায়, যারা কথা বলার অধিকার চায়, যারা ন্যূনতম গণতন্ত্রটুকু চায়, তারা কেউ তৃণমূল সরকারের আমলে খুশি নয়। সকলেই চাইছেন, কবে এই সরকার বিদায় নেবে এবং কবে গণতন্ত্র প্রেমী রাজ্যের সাধারণ মানুষ বুক ভরে নিশ্বাস নিতে পারবেন। কিন্তু প্রশ্ন হচ্ছে, আদৌ কি এই সরকারকে বিদায় দেওয়া সম্ভব হবে? যেভাবে তারা পুলিশকে ব্যবহার করে প্রত্যেকটি নির্বাচনী বৈতরণী পার হয়, তাতে তো এই সরকারের বিদায় নেওয়া আষাঢ়ে গল্প ছাড়া আর কিছুই নয়। কিন্তু যে দিন আসছে, তাতে এই তৃণমূল সরকারের বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। হিসাব অনুযায়ী, 2026 পর্যন্ত এই সরকারের ক্ষমতায় থাকার কথা। কিন্তু এমন এক রাজনৈতিক সমীকরণের কথা উঠে এলো, যাতে একটা জিনিস সম্পর্কে ধারণা হতে শুরু করেছে যে, না, 2026 নয়, বরঞ্চ তার আগেই বিদায় নিতে পারে তৃণমূল সরকার। রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এদিন যে ইঙ্গিত দিয়েছেন, তাতে গণতন্ত্র প্রেমী মানুষেরা আশার আলো দেখতে শুরু করেছেন।

প্রসঙ্গত, এদিন পাঁচ রাজ্যের ফলাফল নিয়ে যথেষ্ট উজ্জীবিত দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর সেখানেই তাকে এই বিষয় নিয়ে প্রশ্ন করা হলে তিনি একটি তাৎপর্যপূর্ণ কথা বলেন। তিনি বলেন, “2026 পর্যন্ত এই সরকার টিকবে না। তার আগেই এরা বিদায় নেবে। লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গে বিজেপির দারুণ ফল হবে। আর তাতেই তৃণমূল ধ্বংস হয়ে যাবে।” অর্থাৎ শুভেন্দু বাবুর বক্তব্যের মধ্যে দিয়ে একটা জিনিস বোঝা যাচ্ছে যে, লোকসভার সময় যত এগিয়ে আসছেড় ততই চাপ বাড়ছে তৃণমূলের মধ্যে। ইন্ডিয়া জোট গঠন করেছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই জোটের নেতৃত্ব দেওয়ার স্বপ্ন দেখেছিলেন তিনি এবং তার বন্ধু দলগুলো। কিন্তু পাঁচ রাজ্যের এই ফলাফল স্পষ্ট করে দিয়েছে যে, দেশের মানুষ ভরসা রেখেছে বিজেপির ওপর। আর আগামী দিনে পশ্চিমবঙ্গকে যে বিজেপি টার্গেট করে রেখেছে, তা বলার অপেক্ষা রাখে না। তাই লোকসভায় শোচনীয় পরাজয়ের পর তৃণমূলের অন্দরে এমন কোনো বিপদ আসতে চলেছে, যার ফলে অনেক বিধায়ক হয়ত দল বদল করে নিতে পারেন। আর তাতেই চরম সংকটের মুখে পড়তে পারে তৃণমূল সরকার বলেই মনে করছেন একাংশ।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে তৃণমূলকে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, তৃণমূল সরকারের ওপর মানুষ চরম বিরক্ত। বাংলার মানুষ আজকে আওয়াজ তুলছে, গোটা দেশের বিভিন্ন জায়গায় বিজেপির সরকার হলেও, কেন পশ্চিমবঙ্গে তা হচ্ছে না! কবে পশ্চিমবঙ্গের মানুষ মুক্তি পাবে! এই প্রশ্ন দেশের মানুষেরও। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকসভায় বিজেপি বাংলায় ভালো ফলাফল করার পর তৃণমূলের অনেকেই বিজেপিতে যুক্ত হতে পারেন। আর তখন গোটা তৃণমূল দলে পিসি-ভাইপো ছাড়া আর কাউকে খুঁজে পাওয়া যাবে না। ফলে একদিকে নেতাদের জেলযাত্রা এবং অন্যদিকে দল ভাঙ্গনে অতিষ্ঠ হয়ে বিদায় নিতে হবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। তাই আর কিছু দিনের অপেক্ষা। তারপরেই পশ্চিমবঙ্গের মানুষ এই ফ্যাসিস্ট সরকারের হাত থেকে মুক্তি পাবেন বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সেই নেতারই দাম আছে, যিনি কোনো কথা বললে তা পরোতে পরোতে ফলে যায়। শুভেন্দু অধিকারী কিন্তু ইতিমধ্যেই তৃণমূলের অনেক ভান্ডা ফোর করে দিয়েছেন। তার অনেক কথা মিলে গিয়েছে। তাকে দেখে ক্রমাগত ভয় পাচ্ছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সাথীরা। তাই সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে সেই শুভেন্দু অধিকারী যখন বলছেন যে, আগামী ২০২৬ পর্যন্ত তৃণমূল সরকার টিকবে না, তখন তার কাছে নিশ্চয়ই সেরকম কোনো তথ্য রয়েছে। আর এটাও যদি বাস্তব হয়ে যায়, তাহলে যে লড়াই শুভেন্দুবাবু এবং বিজেপি করছেন, তাতে সাফল্য পাওয়া আর কিছু সময়ের অপেক্ষা। সেদিক থেকে দেখতে গেলে আর বেশি দিন তাদের এই অত্যাচারী শাসকের বিরুদ্ধে লড়াই করতে হবে না। বিজেপির হাত ধরে এবং শুভেন্দু অধিকারীর নেতৃত্বে এই রাজ্যে আইনের শাসন প্রতিষ্ঠা হবেই হবে। বিরোধী দলনেতার বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!