এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > পিসি-ভাইপোর ধ্বংসের দিন চলে এলো ? শুভেন্দুর মুখে নয়া হুংকার ! উজ্জীবিত কর্মীরা!

পিসি-ভাইপোর ধ্বংসের দিন চলে এলো ? শুভেন্দুর মুখে নয়া হুংকার ! উজ্জীবিত কর্মীরা!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- দুর্নীতি, পরিবারবাদকে প্রতিষ্ঠা করতে গিয়ে রাজ্যের মানুষের স্বপ্নকে ধূলিসাৎ করে দিয়েছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। তার ওপর অনেক ভরসা করে রাজ্যের মানুষ তাকে তৃতীয়বার ক্ষমতায় এনেছিল। কিন্তু যেভাবে তার দলের নেতা-মন্ত্রীরা জেলে যাচ্ছেন এবং যেভাবে বেকারদের চোখের জল পড়ছে, তাতে সকলেই এই সরকারের বিদায়ের দিন গুণতে শুরু করেছেন। তবে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় আত্মবিশ্বাসী, তিনি লোকসভাতেও নাকি পশ্চিমবঙ্গ থেকে ভালো ফল করবেন। তবে পাঁচ রাজ্যের ফলাফল প্রকাশ হওয়ার পর বিজেপি কর্মীরা যথেষ্ট উজ্জীবিত। তারা দাবি করছে, আগামী লোকসভায় পশ্চিমবঙ্গে হবে আসল খেলা। আর এই পরিস্থিতিতে গোটা বিষয়ে তাৎপর্যপূর্ণ প্রতিক্রিয়া দিলেন রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তিনি যে কথা বললেন, তারপর আরও চাপে পড়ে গেল পশ্চিমবঙ্গের পিসি ভাইপোর সরকার।

প্রসঙ্গত, এদিন পাঁচ রাজ্যের ফলাফলের পর যথেষ্ট উজ্জীবিত দেখা যায় রাজ্যের বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকে। আর সেখানেই তাকে এই বিষয়ে প্রশ্ন করতেই তিনি বলেন, “চিন্তার কোনো কারণ নেই। এই রাজ্যেও হবে। পিসি-ভাইপো খুব লাফাচ্ছে। ধ্বংস হয়ে যাবে। আগামী লোকসভাতে দেখে নেবেন। গোটা দেশের সঙ্গে এই রাজ্যের মানুষ মুখিয়ে আছে।” একাংশে বক্তব্য, যে লড়াইটা শুভেন্দু অধিকারী দিচ্ছেন, তাতে তিনি একটা টার্গেট নিয়ে লড়াই করছেন। তার একটাই লক্ষ্য, এই তৃণমূল সরকারকে ক্ষমতাচ্যুত করা। তবে বিজেপি কোনো ভাবেই একটি নির্বাচিত সরকারকে এভাবে ফেলে দেওয়ার পক্ষে নয়। তারা রাজনৈতিকভাবেই মানুষের ভোট নিয়ে এই পশ্চিমবঙ্গে ক্ষমতায় আসবে। তাই এদিন শুভেন্দু অধিকারী পাঁচ রাজ্যে বিপুল জয়ের পর পশ্চিমবঙ্গেও যে তার প্রতিফলন হবে এবং সেটা যে শুধু সময়ের অপেক্ষা, তা স্পষ্ট করে দিলেন।

বিজেপির দাবি, পশ্চিমবঙ্গ থেকে পিসি ভাইপোর বিদায় শুধু সময়ের অপেক্ষা। গোটা রাজ্যের মানুষ এই তোষণ এবং দুর্নীতি থেকে মুক্তি পেতে চাইছেন। একটি নির্বাচনও সুষ্ঠুভাবে হয় না বাংলায়। সেই জায়গায় দাঁড়িয়ে লোকসভায় যদি ঠিকমত নির্বাচন অনুষ্ঠিত হয়, তাহলেই এই তৃনমূলকে উচিত শিক্ষা দেবেন বাংলার জনতা। আর তখনই তৃণমূল বুঝে যাবে, কত ধানে কত চাল। তাই সেই দুর্দিনের জন্য এখন থেকেই তৈরি হয়ে থাক এই ফ্যাসিস্ট সরকার বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, বিজেপি আর যাই হোক, তৃণমূলের আঞ্চলিক দলের সর্বভারতীয় নেতাদের মত নয়। তাদের কাছে ব্যক্তি নয়, দেশের স্বার্থ আগে। তাই দেশের মানুষ সেটা উপলব্ধি করতে পেরেই বিজেপিকে একাধিক রাজ্যে সমর্থন দিয়ে সরকার গড়ার সুযোগ করে দিয়েছেন। পশ্চিমবঙ্গেও রাষ্ট্রবাদী দেশপ্রেমিক জনসাধারণ উপলব্ধি করতে পারছেন যে, বিজেপি যদি এই রাজ্যে ক্ষমতায় না আসে, তাহলে কোনোমতেই তৃণমূল সরকারের দ্বারা এই উন্নয়ন সম্ভব হবে না। তাই লোকসভার পর বিধানসভায় পরিবর্তনের অপেক্ষায় গোটা বাংলা। পাঁচ রাজ্যের এই ফলাফলেই স্পষ্ট হয়ে গিয়েছে যে, ইন্ডিয়া জোটের কি করুন ভবিষ্যৎ হতে চলেছে। তাই আগামী দিন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজের রাজ্যের ক্ষমতা ধরে রাখতে পারবেন কিনা, এটাই বড় সংশয়ের কারণ। শুভেন্দু অধিকারীর বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!