এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > 500 দিয়ে মাথা কিনে নিয়েছেন মমতা? রাজ্যের ভন্ডামির পর্দাফাঁস, কটাক্ষ সুকান্তর!

500 দিয়ে মাথা কিনে নিয়েছেন মমতা? রাজ্যের ভন্ডামির পর্দাফাঁস, কটাক্ষ সুকান্তর!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী অনেক বড় বড় কথা বলেন। যখনই প্রশ্ন করা হয়, রাজ্যে চাকরি নেই, রাজ্যে বেকারদের সমস্যার সমাধান হচ্ছে না, রাজ্যে শিল্প নেই। তখনই একের পর এক ফিরিস্তি দিতে শুরু করে এই রাজ্য সরকার তাদের নেতারা বলতে শুরু করেন, আমাদের মুখ্যমন্ত্রী তো মহিলাদের 500 এবং 1000 টাকা করে দিচ্ছেন। কোনো রাজ্য কি এটা দিতে পারে? কিন্তু পশ্চিমবঙ্গের মানুষকে এভাবে ভুল বোঝানোর দিন শেষ। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় 500, 1000 টাকা দিয়ে যদি ভাবেন, মাথা কিনে নিয়েছেন, তাহলে তিনি ভুল করছেন। তার চালাকির পর্দা এবার ফাঁস করে দিলেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক কম জনসংখ্যা থাকা সত্ত্বেও, অনেক কম রোজগার থাকা সত্ত্বেও, আসাম সরকার সেখানকার মহিলাদের প্রতি মাসে দেয় 1250 টাকা করে। যা এই পশ্চিমবঙ্গ সরকারের থেকে অনেক বেশি। তাই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এতদিন বাংলার মহিলাদের ভোট কেনার চেষ্টা যে 500 টাকা দিয়ে করেছিলেন, এবার সেটাও প্রশ্নের মুখে পড়ে গেল। বোঝা গেল, এই সরকার মিথ্যের বেসাতি করছে প্রতিদিন, প্রতিমুহূর্তে।

প্রসঙ্গত, এদিন 500 টাকার ভাতা নিয়ে এবং লক্ষীর ভান্ডার নিয়ে যে বড়াই করেন তৃণমূল নেতারা, তার মুখোশ খুলে দেন বিজেপির রাজ্য সভাপতি সুকান্ত মজুমদার। তিনি বলেন, “এই রাজ্য সরকার 500 টাকা দিয়ে অনেক বড় বড় কথা বলছে। কিন্তু আসাম সরকার যেখানে আমাদের থেকে জনসংখ্যা অনেক কম, রোজগারও স্বাভাবিক ভাবেই অনেক কম। তারপরেও তারা মহিলাদের 1250 টাকা করে দিচ্ছে। কিন্তু তারপরও মুখ্যমন্ত্রী বড় বড় গলায় মিথ্যা কথা বলে যাচ্ছেন।” অনেকে বলছেন, এই রাজ্য তো মাথা তুলে দাঁড়াতে পারবে না কোনোদিনই। কারণ মদের দোকান করে এবং ডিয়ার লটারি করে সব টাকা পৌঁছে যায় তৃণমূলের ওপরতলায়। ইনকাম করার কোনো চেষ্টা এই রাজ্য সরকারের নেই। ফলে তারা মহিলা থেকে শুরু করে বেকার যুবক যুবতীদের পরিষেবা দেবে কি করে? সামান্য কিছু টাকা দিয়ে মানুষের ভোট কেনার চেষ্টা করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। আর তারপরে এমন একটা ভাব দেখানোর চেষ্টা করছেন, যেন তার রাজ্যই লক্ষ্মীর ভান্ডার চালু করেছে। অন্য কোনো রাজ্য চালুই করেনি। কিন্তু একের পর এক ভান্ডা যেভাবে ফোর হচ্ছে, তাতে বোঝা যাচ্ছে, বাংলার মানুষকে কতটা অন্ধকারে রাখে এই সরকার!

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে রাজ্যের মানুষের সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এতদিন বড় বড় গলায় তিনি অনেক কথা বলেছিলেন। কিন্তু এসবে আর চিড়ে ভিজবে না। তিনি বাংলার মা-বোনেদের 500 টাকার ভাতা দিয়ে অপমান করেছেন। তাই এভাবে ভোট কেনার চেষ্টা ফলপ্রসু হবে না তৃণমূলের পক্ষে। মানুষ এই সরকারের মুখোশ খুব দ্রুত খুলে ফেলবে। আগামী দিন এই সরকারকে বিদায় না জানালে রাজ্যে সুদিন আসবে না বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, সত্যিই আজ বাংলার মানুষকে দেখলে কষ্ট হয়। কিভাবে প্রতিমুহূর্তে সামান্য কিছু ভাতা দিয়ে এই রাজ্যকে পঙ্গু করছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এবং তার সরকা।র মানুষকে ভুল বোঝাচ্ছেন যে, তার সরকারই নাকি একমাত্র লক্ষীর ভান্ডার দিচ্ছে। কিন্তু এবার বাংলার মানুষের চোখ খুলে গিয়েছে। তারা অনুভব করতে শুরু করেছেন যে, দেশে এমন অনেক রাজ্য আছে, যেখানে মা বোনেদের প্রতি মাসে আর্থিক ব্যবস্থা রয়েছে। আর সেটা পশ্চিমবঙ্গের থেকে অনেক অনেক পরিমাণে বেশি। ফলে এই রাজ্য সরকার এই সামান্য অর্থ দিয়ে যে মা বোনেদের মাথা কিনে নেয়নি, তা বোঝাই যাচ্ছে। তাই বড় বড় গলায় নারী নিরাপত্তা এবং নারী সুশাসন নিয়ে আওয়াজ দেওয়া তৃণমূল নেতারা অন্তত এবার নীরবতা পালন করুন। আসামকে দেখে একটু লজ্জা করতে শিখুন মাননীয়া মুখ্যমন্ত্রী। সুকান্ত মজুমদারের বক্তব্যের পর তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!