এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > নন্দীগ্রামে তুলকালাম, চরম বেকায়দায় মমতা পুলিশ! বিক্ষোভ বিজেপির!

নন্দীগ্রামে তুলকালাম, চরম বেকায়দায় মমতা পুলিশ! বিক্ষোভ বিজেপির!


 

প্রিয়বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট- বিগত বাম আমলে যেমন পথ দেখিয়েছিল নন্দীগ্রাম, তৃণমূল সরকারের আমলেও সেই নন্দীগ্রাম 2021 থেকে পথ দেখাতে শুরু করেছে রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় পরাজিত হয়েছেন এই নন্দীগ্রামে। বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এই নন্দীগ্রামের বিধায়ক হিসেবে শপথ নিয়ে এই সরকারকে যারপরনাই প্রতিমুহূর্তে চাপের মুখে ফেলেছেন। বুঝিয়ে দিচ্ছেন, বিরোধিতা কাকে বলে! যা সামাল দিতে গিয়ে রীতিমতো নাস্তানাবুদ তৃণমূলের নেতা-মন্ত্রীরা। তবে বিজেপির পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, নন্দীগ্রাম যেভাবে আন্দোলন করছে এই সরকারের বিরুদ্ধে, সেই পথেই হাঁটা উচিত গোটা রাজ্যের গ্রাম বাংলার। তাহলেই এই সরকারকে উৎখাত করে ছুঁড়ে ফেলা সম্ভব হবে। আর এবার সেই নন্দীগ্রাম থেকেই বিজেপি মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে শুরু হল এই সরকারের আমলে নারী নিরাপত্তার অভাববোধের বিরুদ্ধে প্রতিবাদ বিক্ষোভ। যাকে কেন্দ্র করে রীতিমত ছুটির দিনে তুলকালাম পরিস্থিতি শুরু হয়েছে জমি আন্দোলনের এই আতুড়ঘরে।

প্রসঙ্গত এদিন নন্দীগ্রামে মহিলা মোর্চার পক্ষ থেকে একটি বিক্ষোভ কর্মসূচির আয়োজন করা হয় যেখানে নন্দীগ্রাম কলেজ মোড় থেকে থানা পর্যন্ত একটি মিছিল করেন মহিলা মোর্চার কর্মী সমর্থকরা। তাদের মূল দাবি, গোটা রাজ্য জুড়ে মহিলাদের নিরাপত্তা বিঘ্নিত। দিকে দিকে নারীরা নির্যাতনের শিকার হচ্ছেন। তাই এর প্রতিবাদে সঠিক নিরাপত্তা এবং ব্যবস্থা দাবিতেই তারা পথে নেমেছেন। অনেকে বলছেন, শুধু নন্দীগ্রাম নয়, নারীদের স্বার্থের কথা মাথায় রেখে গোটা রাজ্য জুড়েই রাস্তায় নামানো উচিত মহিলা ব্রিগেডকে। শুধুমাত্র সামান্য ভাতা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের ভোট পেতে চাইছেন। কিন্তু যেভাবে তার সরকারের আমলে নারী নিরাপত্তা বিঘ্নিত, তাতে সজাগ হওয়া উচিত সাধারণ মহিলাদের। তারা নন্দীগ্রামের দেখানো পথে নামলে আগামী দিনে মহিলাদের আন্দোলনে জেরবার হতে বাধ্য এই রাজ্য বলেই দাবি একাংশের।

ইতিমধ্যেই গোটা বিষয়ে কটাক্ষ করতে শুরু করেছে বিজেপি। তাদের দাবি, মহিলা মুখ্যমন্ত্রীর আমলে রাজ্য সবথেকে বেশি নারী নির্যাতন হয়েছে। এখানে 500 টাকার ভাতা দিয়ে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় মহিলাদের মুখ বন্ধ করতে চাইছেন। কিন্তু এসব করে লাভ হবে না। মহিলারা জেগে উঠলে এবং রাস্তায় নামলে এই সরকারকে বিদায় নিতেই হবে। কারণ ফ্যাসিস্ট সরকারকে একমাত্র উৎখাত করতে পারে নারী সমাজ বলেই দাবি গেরুয়া শিবিরের।

পর্যবেক্ষকদের মতে, নারীরা নির্যাতনের শিকার হবেন নাই বা কেন? যে সরকারের আমলে সবথেকে বেশি রেকর্ড মদ বিক্রি হয়, যে সরকারের আমলে লটারির বাড়বাড়ন্তু হয়, সেখানে ঘরে ঘরে মহিলাদের ওপর অত্যাচার হবে, এটাই তো স্বাভাবিক। ভাতা, ভর্তুকি দিয়ে এই রাজ্যের সর্বনাশ করেছেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বেকারদের চাকরি না দিয়ে, মদের দোকানের লাইসেন্স দিয়ে দিয়েছে এই সরকার। ফলে দুষ্কৃতীরা সাহস পেয়ে যাচ্ছে মহিলাদের অপমান করার। কিন্তু পুলিশ প্রশাসন কার্যত নীরব। তাই যে প্রতিবাদ নন্দীগ্রাম করেছে, সেই প্রতিবাদেই আগামী দিন যদি গোটা রাজ্য সামিল হয়, তাহলে আরও একটা চরম বেকায়দার মুখে পড়তে হবে এই রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীকে। কারণ কথায় আছে, না জাগিলে বঙ্গ ললনা, এ ভারত জাগে না জাগে না। তাই বাংলার নারী সমাজ এই সরকারের বিরুদ্ধে যত দ্রুত জেগে উঠবে, যত দ্রুত পথে নামবে, ততই সুদিনের মুখ দেখবে পশ্চিমবঙ্গ। দিনের শেষে তেমনটাই বলছেন রাজনৈতিক সমালোচকরা।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!