এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > নয়া কমিটি গঠন হওয়া মাত্রই তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার ফালাকাটা, পদ থেকে অপসারিত হয়েই ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ নেতাদের!

নয়া কমিটি গঠন হওয়া মাত্রই তীব্র গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব এবার ফালাকাটা, পদ থেকে অপসারিত হয়েই ব্যাপক ক্ষোভপ্রকাশ নেতাদের!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – আগামী বিধানসভা নির্বাচন উপলক্ষে ঘর গোছাতে শুরু করেছে শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। সংগঠনগত পরিবর্তন ঘটিয়ে নতুন করে ঘোষণা করা হচ্ছে ব্লক ও জেলা কমিটি। অনেক স্থানে পুরোনো সভাপতিদের অপসারিত করে দিয়ে আনা হচ্ছে নতুন মুখ। কিন্তু পদ থেকে অপসারণের ফলে অপসারিত প্রাক্তন জেলা ও ব্লক সভাপতিদের অনেকেই দলের প্রতি বেজায় ক্ষুব্ধ হচ্ছেন। যার ফলে দলের মধ্যে বাড়ছে গোষ্ঠী দ্বন্দ্বের আশঙ্কা। সম্প্রতি নতুন জেলা কমিটি গঠনের কারণে আলিপুরদুয়ার জেলার ফালাকাটা ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হলেন সঞ্জয় দাস, স্থলাভিষিক্ত হলেন তৃণমূল যুব নেতা শুভব্রত দে। যুব ব্লক সভাপতির পদের দায়িত্ব পেয়ে যথেষ্ট আনন্দিত শুভব্রত দে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, প্রাক্তন ব্লক যুব সভাপতি সঞ্জয় দাসের অভিজ্ঞতাকে কাজে লাগিয়ে শাসক দলের যুব সদস্যদের সামনে এগিয়ে নিয়ে যাবার সংকল্প নিয়েছেন তিনি।

কিন্তু দলের ব্লক যুব সভাপতির পদ থেকে অপসারিত হবার পর দলের বিরুদ্ধে যথেষ্ট ক্ষোভ প্রকাশ করলেন ফালাকাটার প্রাক্তন ব্লক যুব তৃণমূল সভাপতি সঞ্জয় দাস। ব্লকের প্রাক্তন যুব সভাপতি ছাড়াও সঞ্জয় দাস ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির একজন নির্বাচিত জনপ্রতিনিধি ও ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির কর্মাধ্যক্ষ। এই সমস্ত পদ থেকেই তিনি ইস্তফার ঘোষণা করলেন এক সাংবাদিক সম্মেলনে। এ প্রসঙ্গে তিনি জানালেন যে, মরার ডাঙ্গা গপু মেমোরিয়াল উচ্চ বিদ্যালয় এর পরিচালনা কমিটির সভাপতির পদ থেকেও অব্যাহতি নেবেন তিনি। আজ সোমবার থেকে সরকারি দেহরক্ষীও তিনি ছেড়ে দিতে চলেছেন। এমনটাই জানালেন তিনি, সাংবাদিক সম্মেলনে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

দলকে অভিযোগের কাঠগড়ায় তুলে তিনি জানালেন যে, তাঁর দল প্রতারণা করেছে তাঁর সঙ্গে। এই প্রসঙ্গে তিনি জানান যে, ইতিপূর্বে ফালাকাটার বিধায়ক সুনীল অধিকারী এবং আলিপুরদুয়ার জেলার প্রাক্তন সভাপতি মোহন শর্মার সঙ্গে তাঁর একটি বিশেষ চুক্তি হয়েছিল। যে চুক্তিতে স্পষ্টভাবে বলা হয়েছিল যে, সম্প্রতি ফালাকাটা পঞ্চায়েত সমিতির যিনি সভাপতি আছেন, তিনি আরও দু’বছর এই পদে বহাল থাকবেন, এবং তাঁর পরবর্তী তিন বছর পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি হবেন সঞ্জয় দাস। তাঁর অভিযোগ এখনো পর্যন্ত এই চুক্তি মাফিক পদ মেলেনি তাঁর।

চুক্তি ভঙ্গ করার কারণে তিনি দলের সঙ্গে এ বিষয়ে একাধিকবার কথা বলতে চাইলেও তাঁর সঙ্গে কোনরকম আলোচনা দল করে নি। এ বিষয়টি তিনি দলের অবজারভার ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় ও বিশেষ অবজারভার রাজীব বন্দ্যোপাধ্যায়কে একাধিকবার জানিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও বিশেষ কিছু কাজ হয়নি। এই সমস্ত কারণে এবারে তিনি দলের প্রতি প্রচন্ড ক্ষুব্ধ হয়ে সমস্ত পদ থেকে ইস্তফা দিতে চলেছেন। তাঁর সঙ্গে সঙ্গে তাঁর অনুগামী অঞ্চল সভাপতিরাও দিচ্ছেন ইস্তফা।

সবমিলিয়ে বড় রকম গোষ্ঠীদ্বন্দ্বের দিকে এগোলো ফালাকাটায় তৃণমূল দল। বিক্ষুব্দ নেতা সঞ্জয় দাস আগামী দিনে দলের বিরুদ্ধে কোনো বড় পদক্ষেপ গ্রহণ করেন কিনা, সেদিকেই দৃষ্টি সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!