মনীশ শুক্ল হত্যায় আরও গাড্ডায় তৃণমূল? প্রভাবশালী নেতার অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ অনুগামী গ্রেপ্তার! তৃণমূল নদীয়া-২৪ পরগনা বিজেপি রাজনীতি রাজ্য October 8, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট –সম্প্রতি গুলিবিদ্ধ হয়ে খুন হয়েছেন টিটাগড়ের বিজেপি কাউন্সিলর মনীশ শুক্লা। আর তারপরেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে রাজ্য রাজনীতি। গোটা ঘটনায় তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগের আঙুল তুলে ময়দানে নেমে পড়েছে ভারতীয় জনতা পার্টি। পাল্টা তৃণমূলের পক্ষ থেকে তাদের বিরুদ্ধে ওঠা অভিযোগ অস্বীকার করা হয়েছে। তবে এবার শাসক দলের পক্ষ থেকে এই গোটা ঘটনায় তাদের যোগের কথা অস্বীকার করা হলেও, সিআইডি পক্ষ থেকে এক তৃণমূল কর্মী গ্রেপ্তার করার ঘটনায় রীতিমত চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়ল। যার ফলে বিজেপির পক্ষ থেকে তৃণমূলের বিরুদ্ধে তোলা অভিযোগে সীলমোহর পড়ল বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে সুবোধ যাদব নামে এক তৃণমূল কর্মীকে ব্যারাকপুর এলাকা থেকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে। যার ফলে ব্যাপক চাঞ্চল্য তৈরি হয়েছে। তাহলে কি সুবোধ যাদবকে গ্রেপ্তার করে সিআইডি মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় তদন্ত প্রক্রিয়াকে এগিয়ে নিয়ে যেতে চাইছে? জানা গেছে, সুবোধ যাদবের বিরুদ্ধে মূল অভিযোগ যে, তিনি বিজেপি কাউন্সিলর খুনের পুরো ঘটনাটাই আগে থেকে জানতেন। এমনকি রবিবার ঘটনা ঘটার দিন এই সুবোধ যাদব গোটা ব্যবস্থা নজরে রেখেছিলেন বলে জানতে পেরেছেন তদন্তকারীরা। স্বাভাবিকভাবেই বিজেপি কাউন্সিলর খুনের ঘটনায় তাই সেই তৃণমূল কর্মীকে গ্রেপ্তার করেই এগোতে চাইছে সিআইডি। অনেকে বলছেন, এতদিন তৃণমূলের পক্ষ থেকে এই ঘটনায় তাদের যোগের কথা সম্পূর্ণ অস্বীকার করা হয়েছিল। কিন্তু এবার রাজ্য সরকারের নিয়ন্ত্রণাধীন সিআইডি যেভাবে মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় তৃণমূল কর্মী সুবোধ যাদবকে গ্রেপ্তার করল, তাতে শাসকদল অনেকটাই চাপে পড়ল বলেই মনে করছে বিশেষজ্ঞরা। ইতিমধ্যেই এই মনীশ শুক্ল খুনের ঘটনায় মহম্মদ খুররম খান এবং গোলাপ শেখ নামে দুই ব্যক্তিকে গ্রেফতার করেছে সিআইডি। আর তারপরেই এবার সুবোধ যাদব নামে আর একজন গ্রেফতার হওয়ায় ব্যাপক চাঞ্চল্য ছড়িয়ে পড়েছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - এদিকে সুবোধ যাদব তৃণমূল কর্মী বলে খবর পাওয়ার সাথে সাথেই শাসকদলের বিরুদ্ধে সরব হয়েছেন ব্যারাকপুরের বিজেপি সাংসদ অর্জুন সিংহ। তিনি বলেন, “সুবোধ ব্যারাকপুর পৌরসভার চেয়ারম্যান উত্তম দাসের অত্যন্ত ঘনিষ্ঠ। ফলে মনীশ শুক্ল খুনে তৃণমূলের যোগ থাকার সম্ভাবনা অনেকটাই বেড়ে গেল।” রাজনৈতিক পর্যবেক্ষকদের অনেকে বলছেন, সুবোধ যাদব গ্রেপ্তার হলেও এখনও পর্যন্ত তার রাজনৈতিক পরিচয় সুস্পষ্টভাবে জানা যায়নি। তবে নানা মহলে কান পাতলে শোনা যাচ্ছে, তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের কর্মী বলেই পরিচিত। স্বাভাবিকভাবেই এতদিন প্রভাবশালী বিজেপি নেতা গুলিবিদ্ধ হওয়ার পর যখন তৃণমূলের বিরুদ্ধে অভিযোগ উঠতে শুরু করেছিল, তখন তা অস্বীকার করেছিল শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস। কিন্তু এবার সেই তৃণমূল কর্মী গ্রেপ্তার হওয়ার খবর পেয়ে বিজেপি তৃণমূলের ওপর ব্যাপকভাবে চাপ বাড়াতে শুরু করবে বলেই মনে করছেন রাজনৈতিক বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -