প্রকল্প শুরুর আগেই ফের দুর্নীতির অভিযোগ উঠলো টেইনামূলের বিরুদ্ধে, অস্বস্তিতে শাসক শিবির ! তৃণমূল মেদিনীপুর রাজ্য October 13, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – দুর্নীতি নিয়ে আবারও শোরগোল তৃণমূল শিবিরে। শাসকদলের বিরুদ্ধে দুর্নীতি নিয়ে বরাবরই তীব্র প্রতিবাদ জানিয়ে আসছে রাজ্যের বিরোধী দলগুলি। সম্প্রতি তৃণমূলের নতুন একটি প্রকল্প শুরু হয়েছে রাজ্যজুড়ে। আর সেই প্রকল্পের সূত্রেই এবার সামনে আসছে একের পর এক দুর্নীতি। উত্তরবঙ্গ সফরে গিয়ে মুখ্যমন্ত্রী পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন। কিন্তু এই প্রকল্প ঘিরেই এবার সামনে এসেছে দুর্নীতির নতুন কাহিনী। গোয়ালতোড়ের পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এবার অভিযোগ উঠেছে পথশ্রী প্রকল্পে কাটমানি খাওয়ার। এবং এই অভিযোগ নিয়ে এসেছে তৃণমূলেরই পঞ্চায়েত সদস্য। এই নিয়ে ইতিমধ্যেই রাজনৈতিক মহলে শুরু হয়েছে তীব্র শোরগোল। তৃণমূলের অন্দরমহলেও শুরু হয়েছে এই নিয়ে গুঞ্জন। অন্যদিকে দুর্নীতির ঘটনা সামনে আসতেই তীব্র চাঞ্চল্য গোয়ালতোড় এলাকায়। সোমবার গোয়ালতোড়ের বুলানপুরে নিম্নমানের রাস্তা তৈরির অভিযোগ ওঠে পঞ্চায়েত প্রধানের বিরুদ্ধে এবং পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষীকান্ত মাহাতোর সঙ্গে পঞ্চায়েত প্রধান রুমা মান্নার সঙ্গে শুরু হয় প্রবল গন্ডগোল। অন্যদিকে পঞ্চায়েত সদস্য লক্ষীকান্ত মাহাতো জানিয়েছেন, পঞ্চায়েত প্রধান রুমা মান্না বিজেপির সঙ্গে যোগসাজশ করে ইচ্ছাকৃতভাবে কাটমানি খেয়ে রাস্তা খারাপ করছে। যদিও পঞ্চায়েত প্রধান রুমা মান্না সমস্ত অভিযোগ অস্বীকার করেছেন। অন্যদিকে স্থানীয় বাসিন্দারাও পঞ্চায়েত সদস্যের সঙ্গে দুর্নীতি প্রসঙ্গে গলা মিলিয়েছেন বলে জানা গেছে। পঞ্চায়েত সমিতির সভাপতি মঞ্জু দুলে এব্যাপারে জানিয়েছেন, পথশ্রী প্রকল্পে দুর্নীতির অভিযোগ পেয়েছেন তিনি। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অভিযোগ প্রমাণিত হলে কঠোর ব্যবস্থা গ্রহণ করা হবে বলেও তিনি জানান। অন্যদিকে জেলার বিজেপি সহ-সভাপতি রাজিব কুণ্ডু জানিয়েছেন, তৃণমূলের দুর্নীতির সঙ্গে বিজেপির কোন রকম সম্পর্ক নেই। যা ঘটেছে তা সম্পূর্ণ তৃণমূলের অন্তর্দ্বন্দ্বের ফল। প্রসঙ্গত, এ মাসের গোড়ায় শিলিগুড়ির ফুলবাড়ি থেকে পথশ্রী প্রকল্পের সূচনা করেন রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। এই প্রকল্পের আওতায় গোটা রাজ্যে 12 হাজার কিলোমিটার রাস্তা সারাই হবে বলে মুখ্যমন্ত্রী জানিয়েছিলেন। প্রকল্প উদ্বোধনের এক মাস যেতে না যেতেই শুরু হল দুর্নীতির অভিযোগ। প্রসঙ্গত, লোকসভা নির্বাচনে জঙ্গলমহলে ভরাডুবির পেছনেও শাসকদলের নিম্নস্তরের বল্গাহীন দুর্নীতির খোঁজ পাওয়া গিয়েছিল। আবারও একুশের বিধানসভা নির্বাচনের দোরগোড়ায় এসে নতুন করে শাসকদলের দুর্নীতি সামনে আসায় শুরু হয়েছে চাঞ্চল্য। বিশেষজ্ঞদের মতে, দুর্নীতি নিয়ে শাসক দলকে যে তীব্র অস্বস্তির মুখে পড়তে হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনো সন্দেহ নেই। তবে শাসক দলের দুর্নীতি যদি এখনো সামলানো না যায়, তাহলে কিন্তু আক্ষরিক অর্থেই বিপাকে পড়বে তৃণমূল। প্রসঙ্গত শাসকদলের দুর্নীতি সামলাতে বেশ কিছুদিন আগে তৃণমূল নেত্রীর পক্ষ থেকে শুদ্ধিকরণ নীতি চালু হয়েছিল। কিন্তু তাতে কতদূর কাজ হবে, তা নিয়ে প্রশ্ন ছিল। আর সে কথাই প্রমাণিত হলো গোয়ালতোড়ের ঘটনায়। আপনার মতামত জানান -