পুজো নিয়ে কোর্টের নয়া কোন নির্দেশে অশনি সংকেত দেখছে রাজ্য? অন্যান্য কলকাতা পুজো, শাস্ত্র ও ভাগ্য রাজ্য October 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – ভারতের ধর্মনিরপেক্ষ রাষ্ট্র। এখানে ধর্মের নামে সরকার কোনও অনুদান দিতে পারে না এবং এটি সংবিধানবিরোধী, এই অভিযোগে কলকাতা হাইকোর্টে জনস্বার্থ মামলা দায়ের করা হয়েছিল কিছুদিন আগে। আর সম্প্রতি সেই মামলার রায় জানা গেছে। আর সেই নিয়ে নাকি রাজ্যে নতুন ফাঁড়া ঝুলছে বলেই মনে করছেন অনেকে। তবে এটা প্রথমবার নয়, এর আগেও ২০১৮ সালে দুর্গাপূজায় সরকারি অনুদান নিয়ে রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে উচ্চ আদালতে মামলা দায়ের হয়েছিল। তখন রাজ্য সরকারের তরফে জানানো হয়েছিল, দুর্গাপূজা উপলক্ষে নয়, মানুষের সচেতনতা বৃদ্ধির কারণে ‘সেফ ড্রাইভ সেভ লাইফ প্রকল্পে’র আওতাতেই রাজ্যের ক্লাবগুলিকে টাকা দেওয়া হচ্ছে। তবে শেষ পর্যন্ত মামলাটি সুপ্রিম কোর্ট পর্যন্ত গড়ালে পুলিশের মাধ্যমেই কিন্তু ক্লাবগুলিকে ওই টাকা প্রদানের নির্দেশ দিয়েছিল শীর্ষ আদালত। তবে এবার মামলাটি করেন এক বাম নেতা। তাঁর কাছ থেকে জানা গিয়েছিল ধর্মাচারের জন্য এভাবে কোন সরকার অর্থ দিতে পারে না। সেইসঙ্গে মহামারী পরিস্থিতির কথাও সরকারের ভাবা উচিত ছিল। আর এই নিয়েই রাজ্য সরকারের বিরুদ্ধে তিনি উচ্চ আদালতে অভিযোগ জানিয়েছেন। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - বস্তুত, করোনাতে এই বছর মানুষের পকেট ফাঁকা। তাই চাঁদা থেকে শুরু করে ক্লাবের পুজোয় টান পড়েছে সর্বত্রই। সেই সঙ্গে পুজোর কাজেও একই সমস্যা রয়েছে। তাই রাজ্য সরকারের তরফে পুজোর উদ্যোক্তাদের উদেশ্যে কিছু পদক্ষেপ নেওয়ার কথা ভাবা হয়েছিল। সেই মত মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় রাজ্যের ৩৬,৯৪৬ টি পুজো কমিটির প্রত্যেকে ৫০ হাজার টাকা করে অনুদান দিয়েছিলেন। সেইসঙ্গে বিদ্যুত্, দমকলের অনুমোদনের জন্য আবেদনেও ছাড় দেওয়া হয়েছিল। আর সেই নিয়েও মামলার রায় ঘোষণা হয়েছে বলে জানা গেছে। এদিন মামলার রায়ে কোর্টের তরফে বলা হয় যে, সরকারি অনুদানের টাকা পুজোর জাঁকজমকে খরচ করা যাবে না। অন্যদিকে সেই টাকার ৭৫ শতাংশ দিয়ে কোভিড মোকাবিলার সরঞ্জাম কিনতে হবে পুজো কমিটিগুলোকে। বাকি ২৫ শতাংশ পুলিশ-সাধারণ মানুষ সমন্বয়ে খরচ করতে হবে। কলকাতা হাইকোর্টের তরফে এর সঙ্গে জানানো হয়েছে যে, পুজোর পর অনুদানের টাকা কীভাবে খরচ করা হয়েছে, তা সংশ্লিষ্ট পুজো কমিটিগুলিকে জেলা প্রশাসনের কাছে হিসেব দিতে হবে। সেই হিসেব আবার পরে হাইকোর্টে জমা দিতে হবে। আর তারপরেই এই মামলার পরবর্তী শুনানি হবে বলে জানিয়েছে কলকাতা হাইকোর্ট। আপনার মতামত জানান -