এখন পড়ছেন
হোম > রাজ্য > উত্তরবঙ্গ > পাহাড়ে গুরুংকে ডেকে নতুন করে অশান্তির বীজ বুনলেন মমতা? মুকুল, অধীর, সুজনদের বিস্ফোরক অভিযোগ!

পাহাড়ে গুরুংকে ডেকে নতুন করে অশান্তির বীজ বুনলেন মমতা? মুকুল, অধীর, সুজনদের বিস্ফোরক অভিযোগ!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – পঞ্চমীর সন্ধ্যায় এক অভূতপূর্ব দৃশ্য দেখা গিয়েছিল কলকাতার রাজপথে। প্রায় তিন বছর ধরে ফেরার গোর্খা নেতা বিমল গুরুং সেদিন সকলের সামনে মুখ্যমন্ত্রীর ভূয়সী প্রশংসা করলেন। সেই সঙ্গে তিনি রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে সমর্থনের কথা জানালেন। এরপর তিনি তাঁর পাহাড়ে ফিরে আসার কথাও ঘোষণা করলেন। কিন্তু তাঁর পাহাড়ে ফিরে আসার ঘোষণার পর থেকেই উত্তপ্ত হয়ে উঠেছে পাহাড়ের রাজনৈতিক পরিস্তিতি। তাঁর বিরোধী বিনয় তামাং শিবির একাধিকবার মিছিল ও স্লোগান দিয়েছে বিমল গুরুংয়ের বিরুদ্ধে।

এই পরিস্থিতিতে গতকাল মঙ্গলবার বিনয় তামাং প্রমুখের সঙ্গে নবান্নে বৈঠক করেছেন মুখ্যমন্ত্রী। এরপরেই রাজ্যের রাজ্যের বিরোধী শিবির শাসকদলের বিরুদ্ধে নানা অভিযোগ করেছে। বিরোধী শিবির অভিযোগ করেছে যে, বিমল গুরুং ও বিনয় তামাংদের নিয়ে সরকারের বর্তমান অবস্থান ও নীতি ভবিষ্যতে বিরাট অশান্তির সৃষ্টি করতে চলেছে পাহাড়ে। গতকাল মঙ্গলবার বিনয় তামাং নবান্নে বৈঠক করেছিলেন। তবে বৈঠক শেষে বিনয় তামাং জানিয়েছেন যে, বিমল গুরুংকে নিয়ে কোনো কথা হয়নি মুখ্যমন্ত্রীর সঙ্গে। তবে, তাঁর এই বক্তব্য মেনে নেয়নি বিরোধীরা।

গতকালের এই বৈঠকের পর বিজেপির সর্বভারতীয় সহ সভাপতি মুকুল রায় অভিযোগ করেছেন যে, প্রথমে বিমল গুরুংকে কলকাতায় সাংবাদিক বৈঠকের আয়োজন করতে দিয়ে, এরপর মুখ্যমন্ত্রী বিমল গুরুংয়ের বিরোধীদলের নেতাদের সঙ্গে বৈঠক করে অকারণে জটিল করে তুলছেন পাহাড়ের রাজনীতি। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, এসব করে পাহাড়ে অশান্তি ডেকে আনছেন মুখ্যমন্ত্রী। পাহাড়ের অশান্তি কিভাবে মোকাবেলা করবেন তা মুখ্যমন্ত্রীকেই ভাবতে হবে বলে তিনি দাবি করেছেন। তাঁর দাবি, মুখ্যমন্ত্রীর ভাবা প্রয়োজন যে, আবার পাহাড়ে অশান্তি শুরু হলে, কিভাবে তার মোকাবিলা করবে
প্রশাসন, কিভাবে তা তিনি সামাল দেবেন।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

প্রদেশ কংগ্রেস সভাপতি অধীর চৌধুরীও পাহাড় বিষয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসকে অভিযুক্ত করলেন। তবে তিনি এ বিষয়ে রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেসের সঙ্গে সঙ্গে কেন্দ্রের শাসক দল বিজেপিকেও অভিযুক্ত করেছেন। এ প্রসঙ্গে অধীর চৌধুরী জানালেন যে, প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি ও মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় দার্জিলিংয়ের পাহাড়কে ‘রাজনীতির আহার’ বানিয়েছেন। তিনি অভিযোগ করেছেন যে, মুখ্যমন্ত্রীর কথার আর কাজের তফাৎ রাজ্যবাসী দেখছেন। একটা সময় মুখ্যমন্ত্রীর কাছে বিমল গুরুং ছিলেন দেশদ্রোহী। এখন তিনি মুখ্যমন্ত্রীর কাছে হয়েছেন পাহাড়ি দেশপ্রেমিক। তিনি প্রশ্ন তুলেছেন যে, ভবিষ্যতে বিমল গুরুংয়ের অবস্থা কিষেণজির মত হয়ে যাবে না তো?

গতকাল বিজেপি ও কংগ্রেসের মতো পাহাড়ের বিষয়ে শাসক দল তৃণমূলকে অভিযুক্ত করলেন সুজন চক্রবর্তী। বাম পরিষদীয় দলনেতা সুজন চক্রবর্তী অভিযোগ করেছেন যে, রাজ্য সরকার বিপদে ফেলে দেবার চেষ্টা করছে পাহাড়বাসীকে। কখনো বিমল গুরুং, কখনো বিনয় তামাংকে মদত না দিয়ে রাজ্য সরকারের উচিত পাহাড়বাসীর জন্য সর্বোচ্চ স্বায়ত্তশাসন দেওয়া, বলে তিনি দাবি করেছেন। সরকারের প্রতি অভিযোগ জানিয়ে তাকে বলতে শোনা গেল যে, রাজ্যের শাসক দল তৃণমূলের অবস্থা এতটাই খারাপ হয়ে পড়েছে যে, জঙ্গলমহলে ছত্রধর মাহাতো ও পাহাড়ে বিমল গুরুংয়ের মত UAPA ধারায় অভিযুক্তদের উপর ভরসা করতে হচ্ছে রাজ্য সরকারকে। প্রসঙ্গত পাহাড়ে রাজনৈতিক স্বার্থ সিদ্ধির উদ্দেশ্যেই রাজ্যের শাসক দল তৃণমূল কংগ্রেস জোট বেঁধেছে বিমলের সঙ্গে। বিমলের শক্তি বৃদ্ধির পরেই পাহাড়ে শুরু হয়েছে রাজনৈতিক জটিলতা। বিভিন্ন বিরোধী দল বাম, কংগ্রেস, বিজেপি যা নিয়ে শাসকদল তৃণমূলকে অভিযুক্ত করল।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!