তোপসিয়ায় বাসস্ট্যান্ড লাগোয়া বস্তিতে ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড, ঘটনাস্থলে দমকলের ১২টি ইঞ্জিন। কলকাতা রাজ্য November 11, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সামনেই আসছে দীপাবলি। কিন্তু তার আগেই কলকাতার তপসিয়ায় ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড। জানা যাচ্ছে, মঙ্গলবার দুপুরে তপসিয়ার 24 নম্বর বাসস্ট্যান্ড সংলগ্ন বস্তিতে আগুনের লেলিহান শিখা দাউ দাউ করে উঠতে দেখা যায়। বাইপাস সংলগ্ন এলাকার বাসিন্দারা এ ব্যাপারে নিশ্চিত খবর জানিয়েছেন। নিমেষের মধ্যে আগুন ছড়িয়ে পড়ে, হইহই চিৎকার শোনা যায় বস্তির মধ্যে থেকে। প্রবল আশঙ্কা করা হচ্ছে এই অগ্নিকাণ্ডে প্রাণ যেতে পারে বেশকিছু বস্তিবাসীর। তপসিয়া 24 নম্বর বাস স্ট্যান্ড লাগোয়া বস্তিতে হঠাৎই মঙ্গলবার বিকেলে অগ্নিকাণ্ডের খবর মেলে। বাইপাসের ধারে বাসিন্দারা জানিয়েছেন, হঠাৎ করেই আগুনের লেলিহান শিখা দেখা যায়। সাথে সাথেই প্রাথমিকভাবে বস্তি সংলগ্ন খাল থেকে জল এনে আগুন নেভানোর কাজে হাত লাগিয়েছেন স্থানীয় বাসিন্দারাই। এরপর ঘটনাস্থলে পৌঁছায় দমকলের অন্তত 12 টি ইঞ্জিন। লেগে পড়ে তাঁরা ভয়াবহ আগুনকে নিয়ন্ত্রণের চেষ্টায়। দমকলসূত্রে জানা গিয়েছে, ওই বস্তির অন্তত 60 টি ঝুপড়ি পুড়ে সম্পূর্ণ ভস্মীভূত হয়ে গিয়েছে। তবে কি থেকে এই ভয়াবহ অগ্নিকাণ্ড ঘটল, তা অবশ্য এখনও পর্যন্ত স্পষ্ট নয়। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - দমকলের আধিকারিকরা জানিয়েছেন পুরো ব্যাপারটি তদন্ত সাপেক্ষ। অন্যদিকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় এই ঘটনার শোনার পর সাথে সাথেই ফায়ার ব্রিগেডের ডিজিকে ঘটনাস্থলে উপস্থিত থাকার নির্দেশ দিয়েছেন বলে জানা গিয়েছে। তবে এত বড় অগ্নিকাণ্ড ঘটলেও এখনো পর্যন্ত কোনো হতাহতের খবর মেলেনি। বস্তি এলাকা যেহেতু সেহেতু স্বাভাবিকভাবেই ঘিঞ্জি হয়ে দাঁড়িয়ে রয়েছে বস্তির ঘরগুলি এবং তার ফলে দ্রুত গতিতে ছড়িয়ে পড়েছে আগুন। আপাতত ভেতরে কেউ আটকে পড়েছে কিনা সেদিকে কড়া নজর রেখেছেন দমকল কর্মীরা। আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালিয়ে যাচ্ছেন দমকলের 12টি ইঞ্জিন। কিন্তু আগুনের লেলিহান শিখাকে এখনো পর্যন্ত পুরোপুরি আয়ত্তে আনতে পারেননি দমকলকর্মীরা। সেক্ষেত্রে প্রয়োজনে আরও বেশ কয়েকটি ইঞ্জিন আনা হবে বলে জানিয়েছেন দমকল আধিকারিকেরা। অন্যদিকে দমকল সূত্রে জানা গিয়েছে, এই বস্তি সংলগ্ন বেশ কয়েকটি তেল ও মোবিলের দোকান রয়েছে। যার ফলে দাহ্য পদার্থে আগুন লেগে আরো ভয়াবহ রূপ নিয়েছে এই অগ্নিকাণ্ড। তবে জানা গিয়েছে, যুদ্ধকালীন তৎপরতায় কাজ করেছেন পুলিশ, দমকল এবং স্থানীয় বাসিন্দারা। প্রত্যেকের চেষ্টায় আগুন নিয়ন্ত্রণে আনার চেষ্টা চালানো হচ্ছে। তবে, দমকলকর্মীরা পৌঁছানোর আগেই ছাই হয়ে যায় অধিকাংশ ঘর। আপনার মতামত জানান -