এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > মুকুলের পথে হেটেই বিজেপি ত্যাগ হেভিওয়েট নেতার, পাল্টা বিদ্রোহ তৃণমূলে!

মুকুলের পথে হেটেই বিজেপি ত্যাগ হেভিওয়েট নেতার, পাল্টা বিদ্রোহ তৃণমূলে!


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বঙ্গ রাজনীতির চানক্য বলেই পরিচিত তিনি। একসময় তৃণমূল কংগ্রেস ছেড়ে বিজেপিতে যোগদান করার পরই মুকুল রায়ের হাত ধরে তৃণমূলের বহু নেতা ভারতীয় জনতা পার্টিতে নাম লিখিয়েছিলেন। প্রত্যাশিত মত সেই মুকুল রায় এখন বিজেপিতে যোগদান করার কারণে ভারতীয় জনতা পার্টির অনেক পদাধিকারী থেকে শুরু করে জনপ্রতিনিধি গেরুয়া শিবিরে নাম লাগাতে পারেন বলে জল্পনা ছড়িয়েছে। এমনিতেই বিজেপি এবার রাজ্যের ক্ষমতা দখল করতে পারেনি।

আর বাংলায় ভারতীয় জনতা পার্টি তাদের নির্দিষ্ট লক্ষ্যে না পৌঁছানোর পরেই বিজেপি নেতা-নেত্রীরা বেসুরো হতে শুরু করেছেন। যাকে কেন্দ্র করে জল্পনা এমনিতেই বাড়তে শুরু করেছিল। আর তার মধ্যেই মুকুল রায়ের তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান বিজেপি নেতা কর্মীদের মনে যেন বাড়তি অক্সিজেন যুগিয়েছে। আর এই পরিস্থিতিতে এবার মুকুল রায় তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পরেই বিজেপি ত্যাগ করার কথা ঘোষণা করলেন উত্তর 24 পরগনা বারাসাতের সাংগঠনিক জেলার বিজেপির নির্বাচনী পরিদর্শক রতন ঘোষ।

বস্তুত, রতনবাবু আগে তৃণমূল কংগ্রেসে ছিলেন। কিন্তু এখন মুকুল রায় দল পরিবর্তন করার পরেই তিনি আবার বিজেপি ত্যাগ করার কথা জানিয়ে দিয়েছেন। তবে তিনি বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যুক্ত হওয়ার ইচ্ছা প্রকাশ করলেও, তাতে আপত্তি জানিয়েছেন সেখানকার তৃণমূলের একাংশ নেতা-কর্মীরা। যেখানে রতনবাবুর বিরুদ্ধে বিস্ফোরক অভিযোগ তুলে পোস্টার লাগাতে দেখা গেছে ঘাসফুল শিবিরের একাংশকে।

সূত্রের খবর, এদিন সাংবাদিক বৈঠক করে বিজেপি ত্যাগ করার কথা জানিয়ে দেন রতন ঘোষ। যেখানে তিনি বলেন, “তৃনমুল ত্যাগ করে বিজেপিতে যুক্ত হয়েছিলাম। কিন্তু ছয় মাসের মধ্যে আমার এই তিক্ত অভিজ্ঞতা হবে, তা বুঝতে পারিনি। বিজেপি হিন্দু- মুসলমান, হিন্দুস্তান-পাকিস্তান করে ভোট করতে চায়। বাংলার মানুষের সামনে বিজেপির হয়ে রাজনীতি করায় আমার অপরাধ বোধও হচ্ছিল। মনে হচ্ছিল, হঠাৎ সিদ্ধান্ত নিয়ে কোন দলে এলাম? নির্বাচনের আগে থেকেই আমার মনে এটা নাড়া দিতে শুরু করেছিল। তারপর আমি তৃণমূলের কাছে দলে ফেরার বার্তা পৌঁছে দিয়েছি। তারা আমাকে স্বাগত জানিয়েছেন।”

তবে তিনি মুখে তৃণমূলে ফেরার কথা জানিয়ে দিলেও, সাংবাদিক বৈঠক করার সাথে সাথেই রতনবাবুর তৃনমূল কংগ্রেসে অন্তর্ভুক্তি যেন না হয়, তার জন্য বিদ্রোহ জানাতে শুরু করেছেন শাসক দলের একাংশ। ইতিমধ্যেই রতন ঘোষ তোলাবাজি এবং গরু পাচারের টাকা নিয়েছেন বলে উত্তর 24 পরগনা জেলা পরিষদ ভবনের সামনে তৃণমূলের একাংশ একটি পোস্টার লাগিয়ে দিয়েছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

যাকে কেন্দ্র করে অস্বস্তি ক্রমশ বাড়তে শুরু করেছে। অর্থাৎ তৃণমূল কংগ্রেস রতনবাবুকে দলে নেওয়ার চেষ্টা করলেও সেখানকার শাসক দলের নেতাকর্মীরা যে কোনোমতেই তাকে মান্যতা দেবেন না, তা এই পোস্টের মধ্যে দিয়ে পরিষ্কার। যার জেরে এখন রীতিমত দুদিক থেকেই চাপে পড়ে গিয়েছেন রতন ঘোষ।

পর্যবেক্ষকরা বলছেন, তৃণমূল কংগ্রেস বর্তমানে নতুন নীতি স্থাপন করেছে। যেখানে তৃতীয়বার দল ক্ষমতায় আসার পরই যারা ভোটের আগে বিজেপিতে যোগদান করেছেন, তাদের গ্রহণ করার ব্যাপারে খুব একটা নমনীয় মনোভাব নিতে চাইছে না তৃণমূল কংগ্রেস। তবে মুকুল রায় বিজেপি ত্যাগ করে তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদান করার পর থেকেই বিজেপিতে ভাঙনের আশঙ্কা করা হচ্ছে।

আর এই পরিস্থিতিতে বিজেপি ত্যাগ করার ঘোষণা করেও, তৃণমূল কংগ্রেসে যোগদানের জন্য দু পা এগিয়েও তিন পা পিছিয়ে যেতে হল রতন ঘোষকে। যেখানে মুকুল রায়ের পথে হেঁটে দলত্যাগ করলেও, স্থানীয় তৃণমুল নেতা-কর্মীদের একাংশের আপত্তির জন্য কার্যত অস্বস্তির মুখে পড়ে গেলেন বিজেপি ত্যাগী রতন ঘোষ। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!