নিহত সেনাকর্মীকে শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চে বিজেপি সাংসদকে যেতে বাধার অভিযোগ তৃণমূলের বিরুদ্ধে কলকাতা তৃণমূল বিজেপি রাজনীতি রাজ্য November 17, 2020 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – এবার নিহত সেনাকর্মীকে শ্রদ্ধা জানানোর মঞ্চেও রাজনীতি করার অভিযোগ উঠল তৃণমূলের বিরুদ্ধে। যেখানে সেই মঞ্চে যাওয়ার জন্য রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে বাধা দেওয়া হয়েছে বলে অভিযোগ করা হয়েছে। স্বাভাবিক ভাবেই এই ঘটনায় তৃণমূলের দিকে অভিযোগ ওঠায় ব্যাপক অস্বস্তিতে পড়েছে শাসকদল। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, গত রবিবার রাতে কাশ্মীরে পাক সেনার গুলিতে তেহট্টের যুবক সেনাকর্মী সুবোধ ঘোষ নিহত হন। রবিবার রাতে তার মরদেহ গ্রামে আসলে গান স্যালুটের আয়োজন করা হয়েছিল রঘুনাথপুরের নিমতলা বিদ্যানিকেতন স্কুলের মাঠে। যেখানে শ্রদ্ধা জানাতে গিয়েছিলেন রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার, প্রাক্তন বিধায়ক রঞ্জিত মন্ডল এবং এসএম সাদি সহ অন্যান্যরা। তবে সেই নিহত সেনাকর্মীর দেহ আসার আগেই ব্যারিকেডের মধ্যে যেতে বাধা দেওয়া হয় রানাঘাটের বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকারকে। আর এই ঘটনাতেই এবার ব্যাপক চাঞ্চল্যের সৃষ্টি হয়েছে এলাকায়। যেখানে একজন সেনা কর্মী মৃতদেহের প্রতি শ্রদ্ধা জানাতে যাবেন একজন জনপ্রতিনিধি, সেখানে কেন তাকে বাধা দেওয়া হচ্ছে! তা নিয়ে নানা মহলে তৈরি হয়েছে প্রশ্ন। একজন নিহত সেনাকর্মীর শেষকৃত্যের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য কেন আটকে দেওয়া হল বিজেপি সাংসদকে! তাহলে কি এক্ষেত্রেও রাজনৈতিক বিভাজনের অভিযোগ উঠল! কিন্তু কেন এমনটা হবে? এদিন এই প্রসঙ্গে বিজেপি সাংসদ জগন্নাথ সরকার বলেন, “আমাকে ঢুকতে বাধা দেয় প্রশাসন। প্রায় কুড়ি মিনিট আমাকে দাঁড়িয়ে থাকতে হয়েছে। প্রশাসন এটা করেছে। এলাকার সাংসদ নিজে উপস্থিত থেকেও এই বিষয়ে নীরব ছিলেন। সেখানে উপস্থিত জেলাশাসক ও পুলিশ সুপার কোনো পদক্ষেপ গ্রহণ করেননি। বাংলার বুকে নোংরা রাজনীতি চলছে। তা আরও একবার প্রমান করলো শাসকদল। প্রশাসন শাসকদলের দলদাসে পরিণত হয়েছে।” আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - একইভাবে তৃণমূলের এই আচরণ নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন নিহত সেনাকর্মী সুবোধ ঘোষের স্কুল শিক্ষক সুবোধ বিশ্বাস। এদিন তিনি বলেন, “শহীদকে শ্রদ্ধা জানানোর মত একটি অনুষ্ঠানে তৃণমূল রাজনীতি নিয়ে আসতে চেয়েছে। তৃণমূল ছাড়া কাউকেই শ্রদ্ধা মঞ্চে প্রবেশ করতে দেওয়া হয়নি। অত্যন্ত জঘন্য ব্যাপার। শেষ পর্যন্ত অনেকেই ফুলের তোড়া বা মালা দেহ নিয়ে আসার গাড়িতে রেখে চলে যান।” কিন্তু এই ধরনের ঘটনা যে সত্যিই দুর্ভাগ্যজনক, সেই ব্যাপারে সকলেই একমত। তৃণমূলের বিরুদ্ধে যে অভিযোগ উঠেছে, তা কতটা সত্যি? কেন তারা এই ধরনের ঘটনার সঙ্গে যুক্ত হলেন! এদিন এই প্রসঙ্গে তৃণমূল বিধায়ক গৌরীশঙ্কর দত্তর পক্ষ থেকে কোনো বক্তব্য পাওয়া যায়নি। তবে এই ব্যাপারে তেহট্ট ওয়ানের বিডিও অচ্যুতানন্দ পাঠক বলেন, “রাজনীতির কোনো বিষয় নেই। আসলে ওই অনুষ্ঠানে কারা কারা উপস্থিত থাকবেন, তার একটি তালিকা প্রস্তুত করা ছিল। সেই মোতাবেক আমরা কাজ করেছি। যাতে বিশৃঙ্খলা তৈরি না হয়, তাই কড়া নিরাপত্তা ব্যবস্থা করা হয়েছিল।” একাংশের মতে, যেভাবে সেনাকর্মীর দেহ নিয়ে শেষ পর্যায়ে রাজনীতির অভিযোগ উঠল, তাতে এই গোটা ঘটনা তৃণমূলকে বড় অস্বস্তিতে ফেলে দিতে পারে। বিরোধী দলের পক্ষ থেকে তাদের জনপ্রতিনিধিকে শ্রদ্ধা জানানোর থেকে বিরত রাখার জন্য যেভাবে বাধাদানের অভিযোগে উঠেছে, তা নিঃসন্দেহে সমালোচনার কারণ হয়ে দাঁড়িয়েছে এলাকা জুড়ে। সব মিলিয়ে গোটা পরিস্থিতি কোথায় গিয়ে দাঁড়ায়, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -