এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > তৃণমূল > দলবদলকারী নেতাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে এবার আক্রমণ চালালেন মদন মিত্র

দলবদলকারী নেতাদের দিকে অভিযোগের আঙুল তুলে এবার আক্রমণ চালালেন মদন মিত্র


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বর্তমানে বাংলার রাজনীতিতে সবথেকে আকর্ষনীয় হয়ে দাঁড়িয়েছে দলবদল। হঠাৎ করে এমন এমন নাম সামনে আসছে দলবদলের ক্ষেত্রে, যা অবাক করছে প্রায় সবাইকেই। দেখা গেছে, কিছুদিন আগেই হাওড়ার তৃণমূল থেকে এক ঝাঁক নেতা-মন্ত্রী-বিধায়ক গিয়ে যোগ দিয়েছেন গেরুয়া শিবিরে। তার মধ্যে অন্যতম ছিলেন বালির বিধায়ক বৈশালী ডালমিয়া। আর বালিতে তৃণমূলের সভা থেকে গেরুয়া শিবিরের পাশাপাশি দলবদলকারী নেতা-নেত্রীদেরও একহাত নেন তৃণমূল নেতা মদন মিত্র। এদিন বালির প্রাক্তন তৃণমূল নেত্রী বৈশালী ডালমিয়ার বিরুদ্ধে তীব্র ক্ষোভ প্রকাশ করেন মদন মিত্র। পাশাপাশি বৈশালী ডালমিয়ার বাবা জগমোহন ডালমিয়ার কথা তুলে আনেন তিনি।

সেক্ষেত্রে জগমোহন ডালমিয়াকে যে যথেষ্ট শ্রদ্ধা করতেন মদন মিত্র সে কথাও বলেন। পাশাপাশি বালির বৈশালী ডালমিয়াকে রীতিমতো চ্যালেঞ্জ করে মদন মিত্র বলেন, বালি থেকেই লড়ার জন্য। অন্যদিকে গেরুয়া শিবির থেকে প্রায়শই তৃণমূলকে প্রাইভেট পার্টি এবং তৃণমূলের নেতা, মন্ত্রীদের ল্যাম্পপোস্ট বলে অভিহিত করা হয়। এদিন তাই নিয়েও তীব্র কটাক্ষ করলেন মদন মিত্র। তিনি বলেন, তৃণমূলের যদি সবাই ল্যাম্পপোস্ট এবং একটাই পোস্ট যদি মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের হয়, তাহলে অকেজো ল্যাম্পপোস্ট বিজেপিতে চলে গেছে।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

পাশাপাশি মদন মিত্র এও বলেন, তৃণমূল নেতারা চলে গেলে তাঁদের পায়ে ধরে আনা হবেনা। বরং অন্যদলে যদি কর্মীরা যান, তাহলে তাঁদের অবশ্যই ফিরিয়ে আনা হবে। পাশাপাশি মদন মিত্র এদিন দাবি করেন, বালির তৃণমূল কর্মীরা গত পাঁচ বছরে বিন্দুমাত্র সম্মান পায়নি। তার পাশাপাশি এদিন শুভেন্দু অধিকারীকে ছেড়ে কথা বলেননি মদন মিত্র। রীতিমত বেইমান বলে অভিহিত করেন শুভেন্দুকে। মদন মিত্র অভিযোগ করেন, ইডির চিঠি পেয়ে করে মুকুল, সব্যসাচী, শুভেন্দু বিজেপিতে যোগ দিয়েছেন। এরই সাথে মদন মিত্র আবারও বিতর্কিত স্লোগান দিয়ে সভা শেষ করেন।

সেই বিতর্কিত স্লোগান হল ‘খেলা হবে’। পাশাপাশি তৃণমূল নেতা এদিন আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জানিয়ে দেন, একুশের বিধানসভা নির্বাচনে গেরুয়া শিবির যাই করুক না কেন ক্ষমতায় আসতে চলেছে সেই মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সরকার ওরফে তৃণমূল কংগ্রেস। খুব স্বাভাবিকভাবেই বিশেষজ্ঞরা মনে করছেন, দলবদল নিয়ে যেভাবে রাজ্যের উত্তেজনার পারদ চড়ছে, আগামী দিনে এই উত্তেজনা আরও বাড়বে বৈ কমবে না। আর সেদিকে নজর দিয়েই রাজনৈতিক নেতারা তাঁদের আক্রমণের ধার ক্রমশ বাড়াচ্ছেন।

 

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!