নারদে গ্রেপ্তার শুধুই বিধায়ক-মন্ত্রীরা! কোন জাদুতে ‘বেঁচে’ গেলেন সাংসদরা? জানুন বিস্তারে কলকাতা জাতীয় তৃণমূল রাজনীতি রাজ্য May 17, 2021 প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – সদ্য তৃতীয় বার ক্ষমতায় এসেছে তৃণমূল কংগ্রেস। মন্ত্রিসভা গঠন করে শুরু করা হয়েছে কাজ। কিন্তু তার মাঝেই অস্বস্তিকর ঘটনা ঘটে গেল। সোমবার সকালে সিবিআইয়ের পক্ষ থেকে গ্রেফতার করা হল নারদ কান্ডে অভিযুক্ত রাজ্যের দুই মন্ত্রী তথা তৃণমূল নেতা সুব্রত মুখোপাধ্যায় এবং ফিরহাদ হাকিমকে। এছাড়াও গ্রেপ্তার করা হয়েছে তৃণমূল বিধায়ক মদন মিত্র এবং রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী শোভন চট্টোপাধ্যায়কে। স্বাভাবিক ভাবেই এই পরিস্থিতিতে নানা প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে রাজ্যজুড়ে। তৃণমূলের পক্ষ থেকে দাবি করা হচ্ছে, গোটা ঘটনার পেছনে রাজনৈতিক উদ্দেশ্য রয়েছে। পাশাপাশি যে সময়ে ভিডিও প্রকাশ করা হয়েছিল, সেই সময় তৃণমূলে থাকা বর্তমান বিজেপির বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী এবং বিজেপি বিধায়ক মুকুল রায়কে কেন গ্রেফতার করা হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলতে শুরু করেছে ঘাসফুল শিবির। তবে বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের গ্রেপ্তার করা হলেও, কেন নারদ কান্ডে ভিডিও ফুটেজে দেখা যাওয়া সাংসদের বিরুদ্ধে কোনো ব্যবস্থা নেওয়া হল না, এখন তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে নানা মহলে। প্রসঙ্গত উল্লেখ্য, নারদ কান্ডে বিধায়ক এবং মন্ত্রীদের পাশাপাশি বেশ কয়েক জন সাংসদের নাম সামনের সারিতে উঠে এসেছিল। সেই সময় তৃণমূল সাংসদ শুভেন্দু অধিকারী মুকুল রায় এখন ভারতীয় জনতা পার্টিতে। তবে তাদেরকে গ্রেফতার করা হল না কেন, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছে বিজেপি। এছাড়াও তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়, কাকলি ঘোষ দস্তিদার, প্রসূন বন্দ্যোপাধ্যায়, সুলতান আহমেদ এবং অপরুপা পোদ্দার নিয়েও নানা মহলে প্রশ্ন উঠেছে। আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে। আপনার মতামত জানান - অনেকে বলছেন, তিন বিধায়ক তথা এক প্রাক্তন বিধায়ককে গ্রেপ্তার করার পর চার্জশিট পেশ করার কথা রয়েছে। আর সেই চার্জশিট পেশ হওয়ার পরই পরিষ্কার হয়ে যাবে, সাংসদদের ক্ষেত্রে কেন ব্যবস্থা গ্রহণ করা হল না? ইতিমধ্যেই রাজ্যের দুই মন্ত্রী ও এক বিধায়ককে গ্রেফতার করা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। রাজ্যপাল অনুমোদন দিলেও, সেক্ষেত্রে তার বিধানসভার সদস্যদের গ্রেফতার করতে কেন তার অনুমতি নেওয়া হল না, তা নিয়ে প্রশ্ন তুলে দিয়েছেন তিনি। এমনকি গোটা ব্যাপারকে বেআইনি বলেও দাবি করেছেন রাজ্য বিধানসভার অধ্যক্ষ বিমান বন্দ্যোপাধ্যায়। অনেকে বলছেন, রাজ্যপাল অনুমোদন দেওয়ার কারণে দুই মন্ত্রী এবং এক বিধায়ককে গ্রেফতার করা সম্ভব হয়েছে। তবে লোকসভার সদস্য থাকা সাংসদদের গ্রেপ্তার করার ক্ষেত্রে এখনই কোনরকম রাস্তায় হাঁটতে চাইল না কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এক্ষেত্রে লোকসভার অধ্যক্ষের অনুমতি নেওয়ার পরেই কি তারা এই ব্যাপারে পরবর্তী পদক্ষেপ নেবে, তা নিয়ে জল্পনা ক্রমশ ঊর্ধ্বমুখী। বিশ্লেষকরা বলছেন, গোটা পরিস্থিতি নিয়মের বেড়াজালে আরও জটিল হতে শুরু করেছে। রাজ্যপালের এক্তিয়ার নিয়ে প্রশ্ন তুলছে তৃণমূল কংগ্রেস। আর এই অবস্থায় নারদা কান্ডের ভিডিও ফুটেজ টাকা নিতে দেখা যাওয়া সাংসদদের গ্রেপ্তার না করা নিয়ে বড় প্রশ্ন উঠতে শুরু করল। যা বর্তমান সময়ে অত্যন্ত তাৎপর্যপূর্ণ বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। সব মিলিয়ে মন্ত্রী এবং বিধায়করা গ্রেপ্তার হলেও, সাংসদদের গ্রেপ্তারি নিয়ে কি পদক্ষেপ গ্রহণ করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা, সেদিকেই নজর থাকবে সকলের। আপনার মতামত জানান -