এখন পড়ছেন
হোম > রাজনীতি > বিজেপি > সংখ্যালঘু তো দূরের কথা, হিন্দুদের একটা বড় অংশও এবার মুখ ফিরিয়ে নেওয়াতেই ভরাডুবি বিজেপির?

সংখ্যালঘু তো দূরের কথা, হিন্দুদের একটা বড় অংশও এবার মুখ ফিরিয়ে নেওয়াতেই ভরাডুবি বিজেপির?


প্রিয় বন্ধু মিডিয়া রিপোর্ট – বিধানসভা নির্বাচনে বিজেপির শোচনীয় পরাজয় এসেছে। ২০০ টি আসনের লক্ষ্যমাত্রা রেখেও মাত্র ৭৭ টি আসনে আটকে গেছে বিজেপির বিজয়রথ। দলের এই ফলাফলের পর এর কারণ খুঁজতে সচেষ্ট হয়েছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক। নানা দিক উঠেছে তাঁদের বিশ্লেষণে। দেখা যাচ্ছে, সংখ্যালঘু ভোট বিজেপি দিকে একদমই আসেনি। আবার হিন্দুদের একটা বড় অংশও বিজেপির দিক থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছিলেন। যে কারণে দলের এই পরাজয় এসেছে।

রাজ্যের সংখ্যালঘু ভোট বিজেপি দিকে অত্যন্ত কম পড়েছে। যেসব স্থানে সংখ্যালঘু সম্প্রদায়ের মানুষের সংখ্যা বেশি সেখানে সাফল্য এসেছে তৃণমূলের। মেরুকরণের রাজনীতিতে খুব একটা সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। কারণ সংখ্যালঘুদের ভোট বিজেপি টানতে পারে নি। আবার হিন্দুদের একটা বড় অংশও বিজেপির পক্ষে যায়নি। হিন্দুপ্রধান বেশ কিছু কেন্দ্রে বিজেপির ভোট ৫০% অতিক্রম করতে পারেনি। হিন্দুদের একটা বড় অংশ আস্থা রেখেছেন তৃণমূলের উপরে। এদিকে সংখ্যালঘুরা বাম কংগ্রেসের ওপর আস্থা না রেখে রেখেছেন তৃণমূলের উপরে।

যার ফলে তৃণমূলের অনেকটা লাভ হয়েছে। এক ধাক্কায় অনেক আসনে তৃণমূলের হাতে এসেছে। সংখ্যালঘু ভোটারদের সঙ্গে সঙ্গেই মহিলা ভোটের সিংহভাগ তৃণমূলে গেছে। মহিলাদের ৫০ % ভোট তৃণমূলের পক্ষে, বিজেপির পক্ষে পড়েছে ৩৭%। রাজ্যের উচ্চবিত্ত ও মধ্যবিত্ত মহিলারা তৃণমূল ও বিজেপিকে প্রায় সমান শতাংশ ভোট দিলেও দরিদ্র ও নিম্নবিত্ত মহিলারা তৃণমূলের দিকে অধিক আস্থা রেখেছেন। এর ফলে তৃণমূলের দিকে ভোট পড়েছে অনেক বেশি। যার ফায়দা তুলেছে তৃণমূল।

গত লোকসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট এর অনেক ভোট বিজেপিতে গেলেও এবার তা তেমন একটা দেখা যায়নি। বামফ্রন্ট এর অনেকটাই তৃণমূলের দিকে গেছে। ২০১৬ সালের বিধানসভা নির্বাচনে বামফ্রন্ট ৩২ টি আসন ও কংগ্রেস পেয়েছিল ৪৪ টি আসনে। এবার এই দল দুই দল একটি আসনও পায়নি। বেশিটা চলে গেছে তৃণমূলের দিকে। কংগ্রেসের ২৯ টি আসন, বামের হাতে থাকা ২৩ টি আসন চলে গেছে তৃণমূলের হাতে। বাকি আসনগুলোতে বিজেপি জয় পেলেও তৃণমূলের সঙ্গে পাল্লা দিয়ে ওঠা সম্ভব হয়ে ওঠেনি।

আমাদের নতুন ফেসবুক পেজ (Bloggers Park) লাইক ও ফলো করুন – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের টেলিগ্রাম গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে

আমাদের সিগন্যাল গ্রূপে জয়েন করতে – ক্লিক করুন এখানে



আপনার মতামত জানান -

মেরুকরণের কোন সুবিধা করতে পারেনি বিজেপি। চতুর্থ পর্যায়ে শীতলকুচির ঘটনার পর মেরুকরণের সম্ভাবনা ছিল। কিন্তু এর পরও দেখা যাচ্ছে, পরবর্তী পর্যায় গুলিতে সে ভাবে এগোতে পারেনি বিজেপি। সংখ্যালঘু ও হিন্দুদের একটা বড় অংশও বিজেপির পক্ষ থেকে মুখ ফিরিয়ে নিয়েছে। তৃণমূলের বিরুদ্ধে একাধিক অভিযোগ থাকলেও, কর্মসংস্থান নিয়ে, শিল্প নিয়ে অভিযোগ থাকলেও দেখা যাচ্ছে, গ্রামের মানুষেরা যথেষ্ট আস্থা রেখেছেন শাসকদল তৃণমূলের উপরে। রাজ্যে স্বাভাবিকভাবেই গ্রামের সংখ্যা বেশি, গ্রামবাংলার মানুষেরও সংখ্যা বেশি। যার যথেষ্ট ফায়দা নিতে পেরেছে তৃণমূল।

অনেকে মনে করছেন, দীর্ঘ সময় ধরে রাজ্যে বাম শাসন চালু ছিল। ধর্মনিরপেক্ষতার একটা পরিবেশে দীর্ঘদিন ধরেই অভ্যস্ত রাজ্যের মানুষ। তাই হিন্দুত্ববাদী চিন্তাধারা, মেরুকরণ রাজ্যে কতটা সফল হতে পারেনি। মেরুকরণের উপর জোর দিতে গিয়ে সংখ্যালঘু ভোট যেমন হারাতে হয়েছে বিজেপিকে, তেমনই সংখ্যাগুরুর ভোটকেও সেভাবে কাছে টানতে পারা যায় নি। সে কারণেই সাফল্য আসে নি গেরুয়া শিবিরের, এমনটাই মনে করছেন একাধিক রাজনৈতিক বিশ্লেষক।

আপনার মতামত জানান -

Top
error: Content is protected !!